শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইমরান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, আলামতসহ গ্রেপ্তার ২

পাবনা বেড়ার ইমরান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন  এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত আলামতসহ দুই আসামী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছেন, ২৬/৩/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ১১ ঘটিকার সময় ইমরান (২২) পিতা আব্দুল কুদ্দুস সাং করমজা থানা সাথিয়া জেলা পাবনা খাওয়া দাওয়া শেষে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে।২৭/৩/২০২২ তারিখ অনুমান ০৬ঃ১০ ঘটিকায় তাকে শয়ন কক্ষে না পেয়ে বাড়ির লোকজন খোজাখুজি করে। একপর্যায়ে একই তারিখ সকাল অনুমান ০৭ঃ৩০ ঘটিকার সময় ইমরানের মৃতদেহ বেড়া থানাধীন আল হেরা নগরির লিয়াকত সরকারের বসত বাড়ির দক্ষিণ পাশে  আব্দুর রহমানের ঘাসের জমির ভিতর পাওয়া যায়।
পরে নিহতের  বাবা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে ২৮/৩/২২ তারিখ বেড়া থানায় এসে অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই বিষয়ে বেড়া থানার এফআইআর ১৪/৫৪ তারিখ ২৮/৩/২২ ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। এসআই জুবাউদুল ইসলাম কে মামলার তদন্তকারী অফিসার নিযুক্ত করা হয়।
হত্যাকান্ডের বিষয় সর্বোচ্চ  গুরুত্ব দিয়ে জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম পুলিশ সুপার পাবনা সার্বক্ষণিক  মনিটরিং করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেড়া সার্কেল জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনার নির্দেশনা ও সহযোগিতায় ওসি অরবিন্দ সরকার, এসআই জুবাইদুল,ফারুক সরকার এএসআই মতিন, আনোয়ার ও ফোর্সসহ বেড়া ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা  থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
উক্ত ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ১/ আজাদুর রহমান নবীন(২৪) পিতা আব্দুল মাজেদ ২/ আলাউদ্দিন (২০) পিতা মালপক মোল্লা উভয় সাং স্যানালপাড়া বেড়া, পাবনাদেরকে গ্রেফতার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে  নবীন জানান, ২০১৫ সালে ইমরান তার ভাই আরাফাত কে অপহরন করিয়া হত্যা করে।প্রায় পাচ বছর ইমরান যশোর কিশোর সংশোধনাগারে থেকে ৮/৯ মাস আগে বের হয়। এবং তাদের বলে কি করতে পারলি। নবীন ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইমরানের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মেয়ে কন্ঠে প্রেম করে। ২৫/৩ /২২ তারিখ নবীন কক্সবাজার থেকে নারায়ণগঞ্জ  এসে আলাউদ্দিন এর সাথে পরিকল্পনা করে। দুইজন একসাথে বেড়া চলে আসে এবং হত্যার জন্য ছুরি ও দড়ি কিনে। ২৬/৩/২২ তারিখ রাত অনুমান ১১ঃ৩০ ঘটিকার সময় নবীন পূর্ব  পরিকল্পনা মোতাবেক ইমরান কে মেয়ে কন্ঠে প্রেমিকার অভিনয় করে  আলহেরা নগর লিয়াকত হোসেন এর বাড়ির পাশে নিয়ে  আসে।
ইমরান তিন প্যাকেট চিপস নিয়ে সেখানে আসিলেই আগে থেকে ওত পেতে থাকা নবীন ও আলাউদ্দিন জাপটে ধরে রশি দিয়ে পেচিয়ে পাশের ঘাস ক্ষেতে নিয়ে যায়।ইমরান ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করিলে নবীন ও আলাউদ্দিন ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ইমরানের মৃত্যু নিশ্চিত করে পাশেই একটি পুকুরে ছুরি ফেলে দিয়ে চলে যায়।
আসামীদের দেয়া তথ্য মতে ছুরি দুটি উদ্দার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে আদালতে হাজির করা হয়।  তারা ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়  । আদালত আসামীদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

ইমরান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, আলামতসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশের সময় : ১২:২০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
পাবনা বেড়ার ইমরান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন  এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত আলামতসহ দুই আসামী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছেন, ২৬/৩/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ১১ ঘটিকার সময় ইমরান (২২) পিতা আব্দুল কুদ্দুস সাং করমজা থানা সাথিয়া জেলা পাবনা খাওয়া দাওয়া শেষে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে।২৭/৩/২০২২ তারিখ অনুমান ০৬ঃ১০ ঘটিকায় তাকে শয়ন কক্ষে না পেয়ে বাড়ির লোকজন খোজাখুজি করে। একপর্যায়ে একই তারিখ সকাল অনুমান ০৭ঃ৩০ ঘটিকার সময় ইমরানের মৃতদেহ বেড়া থানাধীন আল হেরা নগরির লিয়াকত সরকারের বসত বাড়ির দক্ষিণ পাশে  আব্দুর রহমানের ঘাসের জমির ভিতর পাওয়া যায়।
পরে নিহতের  বাবা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে ২৮/৩/২২ তারিখ বেড়া থানায় এসে অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই বিষয়ে বেড়া থানার এফআইআর ১৪/৫৪ তারিখ ২৮/৩/২২ ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। এসআই জুবাউদুল ইসলাম কে মামলার তদন্তকারী অফিসার নিযুক্ত করা হয়।
হত্যাকান্ডের বিষয় সর্বোচ্চ  গুরুত্ব দিয়ে জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম পুলিশ সুপার পাবনা সার্বক্ষণিক  মনিটরিং করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেড়া সার্কেল জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনার নির্দেশনা ও সহযোগিতায় ওসি অরবিন্দ সরকার, এসআই জুবাইদুল,ফারুক সরকার এএসআই মতিন, আনোয়ার ও ফোর্সসহ বেড়া ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা  থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
উক্ত ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ১/ আজাদুর রহমান নবীন(২৪) পিতা আব্দুল মাজেদ ২/ আলাউদ্দিন (২০) পিতা মালপক মোল্লা উভয় সাং স্যানালপাড়া বেড়া, পাবনাদেরকে গ্রেফতার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে  নবীন জানান, ২০১৫ সালে ইমরান তার ভাই আরাফাত কে অপহরন করিয়া হত্যা করে।প্রায় পাচ বছর ইমরান যশোর কিশোর সংশোধনাগারে থেকে ৮/৯ মাস আগে বের হয়। এবং তাদের বলে কি করতে পারলি। নবীন ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইমরানের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মেয়ে কন্ঠে প্রেম করে। ২৫/৩ /২২ তারিখ নবীন কক্সবাজার থেকে নারায়ণগঞ্জ  এসে আলাউদ্দিন এর সাথে পরিকল্পনা করে। দুইজন একসাথে বেড়া চলে আসে এবং হত্যার জন্য ছুরি ও দড়ি কিনে। ২৬/৩/২২ তারিখ রাত অনুমান ১১ঃ৩০ ঘটিকার সময় নবীন পূর্ব  পরিকল্পনা মোতাবেক ইমরান কে মেয়ে কন্ঠে প্রেমিকার অভিনয় করে  আলহেরা নগর লিয়াকত হোসেন এর বাড়ির পাশে নিয়ে  আসে।
ইমরান তিন প্যাকেট চিপস নিয়ে সেখানে আসিলেই আগে থেকে ওত পেতে থাকা নবীন ও আলাউদ্দিন জাপটে ধরে রশি দিয়ে পেচিয়ে পাশের ঘাস ক্ষেতে নিয়ে যায়।ইমরান ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করিলে নবীন ও আলাউদ্দিন ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ইমরানের মৃত্যু নিশ্চিত করে পাশেই একটি পুকুরে ছুরি ফেলে দিয়ে চলে যায়।
আসামীদের দেয়া তথ্য মতে ছুরি দুটি উদ্দার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে আদালতে হাজির করা হয়।  তারা ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়  । আদালত আসামীদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।