রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ক্ষেতলালে প্রতারণা করে মুরগি ব্যবসায়ীর ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজারে মুরগী কিনতে এসে প্রতারনার শিকার হয়েছেন এক মুরগী ব্যবসায়ী। ভূক্তভুগী ওই ব্যবসায়ী বগুড়ার মহাস্থান জাদুঘর এলাকার ঘাগুরদুয়ার গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে দোলোয়ার হোসেন (২৬)।
অভিযুক্তরা হলেন, ক্ষেতলাল উপজেলার তিলাবদুল হিমাদ্রীপাড়া গ্রামের আবু প্রামানিক এর ছেলে ইসলাম প্রামানিক (৪০) ও দামগড় গ্রামের মৃত তবিজ উদ্দিন এর ছেলে তাজমহল (৪০)।
স্থানীয় সূত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘাগুরদুয়ার গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন পেশায় একজন পোল্ট্রি মুরগী ব্যবসায়ী। তিনি পোল্টি মুরগী ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করেন। অপরদিকে অভিযুক্ত ইসলাম প্রামানিক এবং তাজমহল দুজনে দালালি করে মুরগী ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করেন। ইতিপূর্বে তাদের মাধ্যমে মুরগী ক্রয় করেছেন ভুক্তভোগী ওই দোলোয়ার। তারই ধারাবাহিকতায় ২৮ (মার্চ) সোমবার সকালে দোলোয়ারের সাথে মুঠো ফোনে মুরগী বিক্রয়ের কথা হয় ইসলাম ও তাজমহল এর। তারা তাকে জানায় আমাদের কাছে দুই হাজার কেজি মুরগী আছে আপনি চলে আসেন। দোলোয়ার তাদের কথা মতো মুরগী ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ওইদিন বিকেল আনুষ্ঠানিক ৩.৩০ মিনিট এর সময় ক্ষেতলাল পৌর এলাকার বটতলী বাজারে আসেন এবং মুঠোফোনে ইসলাম ও তাজমহল এর সাথে কথা বলে একত্রিত হন। মুরগির বিষয়ে তাদের নিকট বললে তারা দোলোয়ার কে বলে মুরগি পাঁচবিবি আছে আপনি এখানে টাকা পরিশোধ করেন ওইখানে আপনাকে মুরগী  বুঝে দেওয়া হবে। দোলোয়ার তখন সরল মনে ইসলাম ও তাজমহল কে বিশ্বাস করে তার নিকট থাকা নদগ এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা এবং চেকের মাধ্যমে তিন লাখ ষাট হাজার টাকা প্রদান করে যাহা ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার চেক নং- ০২৭৫৭৭৫ পরে দোলেয়ার পাঁচবিবির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ইসলাম ও তাজমহল দুজনে মিলে ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। পাঁচবিবি গিয়ে ইসলাম ও তাজমহল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে দোলোয়ার। তখন তারা তাকে এখানে ওখানে যেতে বলে বিভিন্নভাবে  হয়রানি করতে থাকে। কয়েকবার ফোন দেওয়ার তারা রাগান্বিত হয়ে দেলোয়ার কে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে ফোন বন্ধ করেন। তখন ভুক্তভোগী দেলোয়ার বুঝতে পারে তার সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। পাঁচবিবি থেকে ঘুরে ক্ষেতলাল এসে স্থানীয় লোকজদের বিষয়টি জানায় দেলোয়ার এবং সকলের সাহায্য সহযোগিতায় টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা অনেকেই ইসলাম ও তাজমহল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তারা টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে কিন্তু আসছি আসবো বলে তালবাহানা করে ঘুরাতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ২৯ (মার্চ) মঙ্গলবার ক্ষেতলাল থানায় লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগী দেলোয়ার।
এবিষয়ে দোলোয়ার জানায়, গত সোমবার সকালে আমার সাথে ইসলাম ও তাজমহল এর মুঠোফোনে মুরগী ক্রয় বিক্রয়ের কথা হলে আমি তাদের এলাকায় মুরগী ক্রয়ের উদ্দেশ্যে আসি এবং তাদের নগদ এক লক্ষ্য ত্রিশ হাজার টাকা এবং চেকের মাধ্যমে তিন লক্ষ্য ষাট হাজার টাকা প্রদান করি। পরে তারা আমাকে মুরগী দেওয়ার নামে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে হয়রানি করতে থাকে। যখন বুঝলাম তারা আমার সাথে প্রতারণার চেষ্টা করছে তখন আমি এই এলাকার স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।  তাই আমি মঙ্গলবার  ক্ষেতলাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি প্রশাসনের নিকট ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে ইসমাইল  এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তিনি ফোন রিচিভ করে পরে সাংবাদিক পরিচয়ে ওই টাকা আত্নসাৎ এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে ফেলে। অপরদিকে তাজমহল এর ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রওশন ইয়াজদানী’র সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রিয়

ক্ষেতলালে প্রতারণা করে মুরগি ব্যবসায়ীর ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ১১:৫৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজারে মুরগী কিনতে এসে প্রতারনার শিকার হয়েছেন এক মুরগী ব্যবসায়ী। ভূক্তভুগী ওই ব্যবসায়ী বগুড়ার মহাস্থান জাদুঘর এলাকার ঘাগুরদুয়ার গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে দোলোয়ার হোসেন (২৬)।
অভিযুক্তরা হলেন, ক্ষেতলাল উপজেলার তিলাবদুল হিমাদ্রীপাড়া গ্রামের আবু প্রামানিক এর ছেলে ইসলাম প্রামানিক (৪০) ও দামগড় গ্রামের মৃত তবিজ উদ্দিন এর ছেলে তাজমহল (৪০)।
স্থানীয় সূত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘাগুরদুয়ার গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন পেশায় একজন পোল্ট্রি মুরগী ব্যবসায়ী। তিনি পোল্টি মুরগী ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করেন। অপরদিকে অভিযুক্ত ইসলাম প্রামানিক এবং তাজমহল দুজনে দালালি করে মুরগী ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করেন। ইতিপূর্বে তাদের মাধ্যমে মুরগী ক্রয় করেছেন ভুক্তভোগী ওই দোলোয়ার। তারই ধারাবাহিকতায় ২৮ (মার্চ) সোমবার সকালে দোলোয়ারের সাথে মুঠো ফোনে মুরগী বিক্রয়ের কথা হয় ইসলাম ও তাজমহল এর। তারা তাকে জানায় আমাদের কাছে দুই হাজার কেজি মুরগী আছে আপনি চলে আসেন। দোলোয়ার তাদের কথা মতো মুরগী ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ওইদিন বিকেল আনুষ্ঠানিক ৩.৩০ মিনিট এর সময় ক্ষেতলাল পৌর এলাকার বটতলী বাজারে আসেন এবং মুঠোফোনে ইসলাম ও তাজমহল এর সাথে কথা বলে একত্রিত হন। মুরগির বিষয়ে তাদের নিকট বললে তারা দোলোয়ার কে বলে মুরগি পাঁচবিবি আছে আপনি এখানে টাকা পরিশোধ করেন ওইখানে আপনাকে মুরগী  বুঝে দেওয়া হবে। দোলোয়ার তখন সরল মনে ইসলাম ও তাজমহল কে বিশ্বাস করে তার নিকট থাকা নদগ এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা এবং চেকের মাধ্যমে তিন লাখ ষাট হাজার টাকা প্রদান করে যাহা ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার চেক নং- ০২৭৫৭৭৫ পরে দোলেয়ার পাঁচবিবির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ইসলাম ও তাজমহল দুজনে মিলে ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। পাঁচবিবি গিয়ে ইসলাম ও তাজমহল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে দোলোয়ার। তখন তারা তাকে এখানে ওখানে যেতে বলে বিভিন্নভাবে  হয়রানি করতে থাকে। কয়েকবার ফোন দেওয়ার তারা রাগান্বিত হয়ে দেলোয়ার কে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে ফোন বন্ধ করেন। তখন ভুক্তভোগী দেলোয়ার বুঝতে পারে তার সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। পাঁচবিবি থেকে ঘুরে ক্ষেতলাল এসে স্থানীয় লোকজদের বিষয়টি জানায় দেলোয়ার এবং সকলের সাহায্য সহযোগিতায় টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা অনেকেই ইসলাম ও তাজমহল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তারা টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে কিন্তু আসছি আসবো বলে তালবাহানা করে ঘুরাতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ২৯ (মার্চ) মঙ্গলবার ক্ষেতলাল থানায় লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগী দেলোয়ার।
এবিষয়ে দোলোয়ার জানায়, গত সোমবার সকালে আমার সাথে ইসলাম ও তাজমহল এর মুঠোফোনে মুরগী ক্রয় বিক্রয়ের কথা হলে আমি তাদের এলাকায় মুরগী ক্রয়ের উদ্দেশ্যে আসি এবং তাদের নগদ এক লক্ষ্য ত্রিশ হাজার টাকা এবং চেকের মাধ্যমে তিন লক্ষ্য ষাট হাজার টাকা প্রদান করি। পরে তারা আমাকে মুরগী দেওয়ার নামে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে হয়রানি করতে থাকে। যখন বুঝলাম তারা আমার সাথে প্রতারণার চেষ্টা করছে তখন আমি এই এলাকার স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।  তাই আমি মঙ্গলবার  ক্ষেতলাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি প্রশাসনের নিকট ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে ইসমাইল  এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তিনি ফোন রিচিভ করে পরে সাংবাদিক পরিচয়ে ওই টাকা আত্নসাৎ এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে ফেলে। অপরদিকে তাজমহল এর ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রওশন ইয়াজদানী’র সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।