শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে তিন দিনব্যাপী বারুণী উৎসব ও মেলা

হিন্দু ধর্মের মতে বরুণের কন্যা বারুণী। বরুণের পূজা বা গঙ্গাপূজা-সংক্রান্ত উৎসবকে বারুণী পূজা বা বারুনী উৎসব বলা হয়। প্রতি বছর চৈত্র মাসে বারুনী তিথিতে এ উপলক্ষে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুসারে ঠাকুরগাঁওয়ের সেনুয়া নদীর তীরে গত ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল এই তিন দিন ব্যাপী বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় হাজারও হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষজন অংশ নেন। তারা সেনুয়া নদীতে স্নানের মাধ্যমে বারুনী উৎসব পালন করে।
পৌর শহরের শ্মশান কালী মন্দিরের পেছনের সেনুয়া নদীর তীরে “গঙ্গা মায়ের মন্দির” প্রাঙ্গনে এ উপলক্ষে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলায় অনেকেই বিভিন্ন দোকানপাঠ বসিয়েছেন। পাশের নদীতে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সকলকে পূজা, আর্চনা, অর্পন করতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে পরিবারের পিতা-মাতাসহ যারা পরলোকগমন করেছেন তাদের জন্য মঙ্গল কামনা করা হয় বলে জানান আর্চনাকারীগণ।
বারুনী উৎসবের পরিচালক বিজয় কুমার রায় বলেন, হিন্দু ধর্মের প্রথা অনুসারে বারুনী তিথিতে গঙ্গা স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কথিত আছে এ তিথিতে গঙ্গা স্নান করে এক মনে ইশ্বরের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা প্রার্থণা করলে ইশ্বর সব পাপ ক্ষমা করে দেয় এবং সে ইশ্বরের অপার কৃপা লাভ করে। প্রতিটি বাড়িতে একটা উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। বারুণী উপলক্ষে প্রতিটি ঘরে শুরু হয় আত্মীয়-স্বজনদের আনাগোনা।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

ঠাকুরগাঁওয়ে তিন দিনব্যাপী বারুণী উৎসব ও মেলা

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২
হিন্দু ধর্মের মতে বরুণের কন্যা বারুণী। বরুণের পূজা বা গঙ্গাপূজা-সংক্রান্ত উৎসবকে বারুণী পূজা বা বারুনী উৎসব বলা হয়। প্রতি বছর চৈত্র মাসে বারুনী তিথিতে এ উপলক্ষে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুসারে ঠাকুরগাঁওয়ের সেনুয়া নদীর তীরে গত ৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল এই তিন দিন ব্যাপী বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় হাজারও হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষজন অংশ নেন। তারা সেনুয়া নদীতে স্নানের মাধ্যমে বারুনী উৎসব পালন করে।
পৌর শহরের শ্মশান কালী মন্দিরের পেছনের সেনুয়া নদীর তীরে “গঙ্গা মায়ের মন্দির” প্রাঙ্গনে এ উপলক্ষে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলায় অনেকেই বিভিন্ন দোকানপাঠ বসিয়েছেন। পাশের নদীতে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সকলকে পূজা, আর্চনা, অর্পন করতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে পরিবারের পিতা-মাতাসহ যারা পরলোকগমন করেছেন তাদের জন্য মঙ্গল কামনা করা হয় বলে জানান আর্চনাকারীগণ।
বারুনী উৎসবের পরিচালক বিজয় কুমার রায় বলেন, হিন্দু ধর্মের প্রথা অনুসারে বারুনী তিথিতে গঙ্গা স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কথিত আছে এ তিথিতে গঙ্গা স্নান করে এক মনে ইশ্বরের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা প্রার্থণা করলে ইশ্বর সব পাপ ক্ষমা করে দেয় এবং সে ইশ্বরের অপার কৃপা লাভ করে। প্রতিটি বাড়িতে একটা উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। বারুণী উপলক্ষে প্রতিটি ঘরে শুরু হয় আত্মীয়-স্বজনদের আনাগোনা।