শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননাশের আশঙ্কায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

ছবি-সংগৃহীত

নিজ জীবন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল শুক্রবার (১ এপ্রিল) এআরওয়াই নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন। তিনি বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি, আমার জীবন বিপন্ন।

তবে ইমরান খান বলেন, আমি ভয়ে পিছপা হবো, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক পাকিস্তানের জন্য যত দূর লড়াই করতে হয়, করব। এজন্য আমার প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলেও ভয় পাই না।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তার সামনে তিনটি পথ বেছে দেওয়া হয়েছে। তা হলো আস্থাভোট, দ্বিতীয়টি দ্রুত নির্বাচন এবং তৃতীয় পথ ইস্তফা। এই তিন পথের মধ্যে প্রথমটি রোববার। ওইদিন আস্থাভোটে ইমরানকে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। ফলাফল স্রোতের প্রতিকূলে হলে দ্বিতীয় পথটি বেছে নেবেন, দ্রুত নির্বাচন। এ পথ বেছে দিয়েছে ‘প্রতিষ্ঠান’ (পাক সেনা)।

তিনি আরও বলেন, প্রাণহানির আশঙ্কার সঙ্গে বিরোধীরাও আমাকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সে কারণে বিদেশি শক্তির সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে তারা। বিরোধীরা চরিত্রহনন করতেও ছাড়ছে না। এমনকি আমার স্ত্রীর চরিত্র তুলেও আক্রমণ করছে।

ক্রিকেট তারকা থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইমরান খান গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখোমুখি হয়েছেন। দেশটির ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রীই তাদের পাঁচ বছরের ক্ষমতার মেয়াদ কখনই পূর্ণ করে যেতে পারেননি। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে রাজনৈতিক, সামরিক অস্থিরতার মুখে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীকে।

জীবননাশের আশঙ্কায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২

নিজ জীবন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল শুক্রবার (১ এপ্রিল) এআরওয়াই নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন। তিনি বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি, আমার জীবন বিপন্ন।

তবে ইমরান খান বলেন, আমি ভয়ে পিছপা হবো, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক পাকিস্তানের জন্য যত দূর লড়াই করতে হয়, করব। এজন্য আমার প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলেও ভয় পাই না।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তার সামনে তিনটি পথ বেছে দেওয়া হয়েছে। তা হলো আস্থাভোট, দ্বিতীয়টি দ্রুত নির্বাচন এবং তৃতীয় পথ ইস্তফা। এই তিন পথের মধ্যে প্রথমটি রোববার। ওইদিন আস্থাভোটে ইমরানকে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। ফলাফল স্রোতের প্রতিকূলে হলে দ্বিতীয় পথটি বেছে নেবেন, দ্রুত নির্বাচন। এ পথ বেছে দিয়েছে ‘প্রতিষ্ঠান’ (পাক সেনা)।

তিনি আরও বলেন, প্রাণহানির আশঙ্কার সঙ্গে বিরোধীরাও আমাকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সে কারণে বিদেশি শক্তির সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে তারা। বিরোধীরা চরিত্রহনন করতেও ছাড়ছে না। এমনকি আমার স্ত্রীর চরিত্র তুলেও আক্রমণ করছে।

ক্রিকেট তারকা থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইমরান খান গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখোমুখি হয়েছেন। দেশটির ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রীই তাদের পাঁচ বছরের ক্ষমতার মেয়াদ কখনই পূর্ণ করে যেতে পারেননি। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে রাজনৈতিক, সামরিক অস্থিরতার মুখে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীকে।