বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ চাইলে গুলি করতো: জয়

ছবি-সংগৃহীত

দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বিদ্যুতায়ন হয়েছে সব শহর, গ্রাম, চর। স্বাধীনতার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের জনগোষ্ঠীর ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছিল। এরপর গত এক যুগে বাকি ৫৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎসংযোগের আওতায় এসেছে। এক যুগে এ অভাবনীয় সাফল্যের মাধ্যমে স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং মুজিববর্ষ পূর্তিতে দেশের সব নাগরিককে বিদ্যুতের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে সরকার।

চলতি বছরের ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বৃহত্তম ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের পর দেশের শতভাগ জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন। অথচ, ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ চাওয়ায় বিএনপির আমলে ২০ জন সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি সরকারের সময়ের দুর্নীতি ও মানুষের দুর্ভোগ-বিক্ষোভের ঘটনাবহুল চিত্র এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন জয়। রোববার (৩ এপ্রিল ) রাতে তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা ভিডিওর শিরোনামে লেখেন, ‘বিদ্যুৎ চাইলে গুলি করত বিএনপি, আওয়ামী লীগ পৌঁছে দিলো আলো।’

ভিডিওতে বলা হয়, ‘২০০৫ সালের রমজান মাস। কার্তিকের কাঠফাটা গরমে সাধারণ মানুষের প্রাণন্তকর অবস্থা। ঢাকা শহরজুড়ে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। আর সারাদেশে তো বিদ্যুৎই থাকে না। এমনকি ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়েও বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষুব্ধ হয় আপামর জনতা। অথচ সে সময় শুধু বিদ্যুতের খুঁটি বসিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। ফলে বিএনপির আমলজুড়েই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকটে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় দেশ।

শুধু বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণেই ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে ২০ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয় বলেও ভিডিওতে দেখানো হয়। এটির প্রমাণ হিসেবে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের সংবাদ সংযুক্ত করে দেখানো হয় ভিডিওতে।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের শেয়ার করা ভিডিওতে আরও বলা হয়, ‘২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের ৪০টি জেলার সাধারণ মানুষের ওপর একযোগে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াতের পেটোয়া বাহিনী। এভাবেই হত্যা ও খুনের রাজত্ব কায়েম করে দেশকে নৈরাজ্যের অন্ধকারে ডুবিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে তারেক রহমান ও তার বন্ধুরা।’

এরপর দেখানো হয় ২০০৯ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের বদলে যাওয়ার চিত্র। সেখানে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের ১৩ বছরে বদলে গেছে পুরো দৃশ্যপট। দেশের শতভাগ মানুষ ভোগ করছে ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুৎ সুবিধা। রাজধানীর মানুষের কাছে লোডশেডিং এখন ইতিহাস মাত্র।’

এসময় গ্রামের উদাহরণ টেনে বলা হয়, ‘সেখানকার মানুষরা ভালো আছে। ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। প্রত্যন্ত গ্রামের হারিকেনটিও এখন চলে গেছে জাদুঘরে।

আজকের বাংলাদেশ বদলে গেছে। শতভাগ বিদ্যুতের ওপর ভর করে দেশ ডিজিটাল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। অথচ এখনকার প্রজন্ম জানেই না একসময় বিদ্যুতের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে মানুষদের। প্রধানমন্ত্রী তাদের সেই রক্ত বৃথা যেতে দেননি। ক্ষমতায় আসার পরই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। টানা তৃতীয় মেয়াদের সময়ে পুরো দেশ আলোকিত হয়েছে। নতুন প্রজন্ম যাতে আর অতীতের অন্ধকারে নিমজ্জিত না হয় সেই প্রচেষ্টা চলছে।

জনপ্রিয়

বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ চাইলে গুলি করতো: জয়

প্রকাশের সময় : ১২:২৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বিদ্যুতায়ন হয়েছে সব শহর, গ্রাম, চর। স্বাধীনতার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের জনগোষ্ঠীর ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছিল। এরপর গত এক যুগে বাকি ৫৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎসংযোগের আওতায় এসেছে। এক যুগে এ অভাবনীয় সাফল্যের মাধ্যমে স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং মুজিববর্ষ পূর্তিতে দেশের সব নাগরিককে বিদ্যুতের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে সরকার।

চলতি বছরের ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বৃহত্তম ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের পর দেশের শতভাগ জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন। অথচ, ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ চাওয়ায় বিএনপির আমলে ২০ জন সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি সরকারের সময়ের দুর্নীতি ও মানুষের দুর্ভোগ-বিক্ষোভের ঘটনাবহুল চিত্র এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন জয়। রোববার (৩ এপ্রিল ) রাতে তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা ভিডিওর শিরোনামে লেখেন, ‘বিদ্যুৎ চাইলে গুলি করত বিএনপি, আওয়ামী লীগ পৌঁছে দিলো আলো।’

ভিডিওতে বলা হয়, ‘২০০৫ সালের রমজান মাস। কার্তিকের কাঠফাটা গরমে সাধারণ মানুষের প্রাণন্তকর অবস্থা। ঢাকা শহরজুড়ে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। আর সারাদেশে তো বিদ্যুৎই থাকে না। এমনকি ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়েও বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষুব্ধ হয় আপামর জনতা। অথচ সে সময় শুধু বিদ্যুতের খুঁটি বসিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। ফলে বিএনপির আমলজুড়েই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকটে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় দেশ।

শুধু বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণেই ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে ২০ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয় বলেও ভিডিওতে দেখানো হয়। এটির প্রমাণ হিসেবে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের সংবাদ সংযুক্ত করে দেখানো হয় ভিডিওতে।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের শেয়ার করা ভিডিওতে আরও বলা হয়, ‘২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের ৪০টি জেলার সাধারণ মানুষের ওপর একযোগে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াতের পেটোয়া বাহিনী। এভাবেই হত্যা ও খুনের রাজত্ব কায়েম করে দেশকে নৈরাজ্যের অন্ধকারে ডুবিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে তারেক রহমান ও তার বন্ধুরা।’

এরপর দেখানো হয় ২০০৯ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের বদলে যাওয়ার চিত্র। সেখানে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের ১৩ বছরে বদলে গেছে পুরো দৃশ্যপট। দেশের শতভাগ মানুষ ভোগ করছে ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুৎ সুবিধা। রাজধানীর মানুষের কাছে লোডশেডিং এখন ইতিহাস মাত্র।’

এসময় গ্রামের উদাহরণ টেনে বলা হয়, ‘সেখানকার মানুষরা ভালো আছে। ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। প্রত্যন্ত গ্রামের হারিকেনটিও এখন চলে গেছে জাদুঘরে।

আজকের বাংলাদেশ বদলে গেছে। শতভাগ বিদ্যুতের ওপর ভর করে দেশ ডিজিটাল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। অথচ এখনকার প্রজন্ম জানেই না একসময় বিদ্যুতের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে মানুষদের। প্রধানমন্ত্রী তাদের সেই রক্ত বৃথা যেতে দেননি। ক্ষমতায় আসার পরই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। টানা তৃতীয় মেয়াদের সময়ে পুরো দেশ আলোকিত হয়েছে। নতুন প্রজন্ম যাতে আর অতীতের অন্ধকারে নিমজ্জিত না হয় সেই প্রচেষ্টা চলছে।