রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট মানেই ভোগান্তি 

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে ঘাট সংকট ও ডুবোচরে পাশাপাশি তীব্র সিরিয়ালের কারণে এরুটে চলাচলকারি গাড়ি  চালক ও যাত্রীদের সীমাহিন দুর্ভোগ কয়েক গুন গেছে।
ফেরিতে যানবাহন উঠানামায় ধীর গতি ও যানবাহনে বাড়তি চাপে দীর্ঘ সিরিয়ালের সৃষ্টি  হয়েছে।
এ ছাড়া ৭ টি ফেরিঘাটের মধ্যে ১ও২ নম্বর ঘাট পূর্বেই বন্ধ ছিল, নতুন করে নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে ৬ নম্বর ঘাটটি বন্ধ  রয়েছে দিন  যাবৎ।
বর্তমানে এ নৌ বহরে ছোট বড় ১৮ টি ফেরি চলাচল করছে।
 এছাড়াও দৌলতদিয়ায় ৭টি ফেরিঘাটের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ঘাটটি পূর্বেই বন্ধ ছিল, নতুন করে নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে ৬ নম্বর ঘাটটিও বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দিন যাবৎ।
বর্তমানে এ নৌ-বহরে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ফেরিঘাটের পকেট পথ গুলো নিচু হয়ে গেছে।ফলে যানবাহন লোড আনলোড করতে দীর্ঘ সময় লাগছে।
সরেজমিন বুধবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০ টায়  দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, জিরোপয়েন্ট থেকে ঢাকা- খুলনা মহাসড়কে ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান ও যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সিরিয়াল রয়েছে। এছাড়া ঘাটকে যানজট মুক্ত রাখতে ঘাট থেকে ১৪ কিলো মিটার দুরে
রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ৩ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩ শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকে রাখা হয়েছে।
সবমিলিয়ে ৬ শতাধিক যান।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে আসা একে ট্রাভেলসের বাসের সুপারভাইজার আলম বলেন, ভোর রাতে ঘাটে এসেছি ৫ থেকে ৬ ঘন্টা ঘাটে এসে বসে আছি, ফেরি পেতে আরো দু ঘন্টা লাগবে। এমনিতে রোজার মাস
তারপরে প্রচন্ড গরমে বাসের ভিতরে যাত্রীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।  বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বেশী ভোগান্তি হয়।দীর্ঘ সময় বসে থেকে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাটে সিরিয়ালে থাকা অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক চালক জানান, ঘাটে যানজট সৃষ্টি হলেই সব থেকে বেশি দূর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের। গোয়ালন্দ মোড়ে এসে দীর্ঘসময় সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পরে ওইখান থেকে ছেড়ে এসে আবার দৌলতদিয়া ঘাটের সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। দ্বিতীয় ধাপে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও অনেক সময় আমাদেরকে টার্মিনালে দিয়ে দেয়া হয়। দীর্ঘ সময়ে নদীপাড়ের অপেক্ষা করা আমাদের জন্য  দুর্ভোগ।
জ্যামে আটকে থেকে অনেক কষ্টে সেহরি খেয়েছি, তারপরে বাথরুমে সমস্যায় পড়তে হয়। এত কষ্ট করে গাড়ি চালাতে মন চায়না।জানি ঘাটে আসলে এমন ভোগান্তি  পোহাতে হবে, তার পরও উপায় নেই, ঘরে বসে থাকলে তো পেট চলবে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কপোর্রেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্হাপক (বাণিজ্য) প্রফল্য চৌহান বলেন, এ নৌ- রুটে ১৮ টি ফেরি চলাচল করছে।
নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে পানির লেয়ার
নিচে নেমে যাওয়ায় ফেরি চলাচল সহ লোড আনলোড অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। এ ছাড়া  কয়েকদিন ধরে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরিয়ালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে যাত্রী বাহী বাস ও কাচা পণ্য বোঝাই ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
জনপ্রিয়

দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট মানেই ভোগান্তি 

প্রকাশের সময় : ১০:৩২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে ঘাট সংকট ও ডুবোচরে পাশাপাশি তীব্র সিরিয়ালের কারণে এরুটে চলাচলকারি গাড়ি  চালক ও যাত্রীদের সীমাহিন দুর্ভোগ কয়েক গুন গেছে।
ফেরিতে যানবাহন উঠানামায় ধীর গতি ও যানবাহনে বাড়তি চাপে দীর্ঘ সিরিয়ালের সৃষ্টি  হয়েছে।
এ ছাড়া ৭ টি ফেরিঘাটের মধ্যে ১ও২ নম্বর ঘাট পূর্বেই বন্ধ ছিল, নতুন করে নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে ৬ নম্বর ঘাটটি বন্ধ  রয়েছে দিন  যাবৎ।
বর্তমানে এ নৌ বহরে ছোট বড় ১৮ টি ফেরি চলাচল করছে।
 এছাড়াও দৌলতদিয়ায় ৭টি ফেরিঘাটের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ঘাটটি পূর্বেই বন্ধ ছিল, নতুন করে নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে ৬ নম্বর ঘাটটিও বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দিন যাবৎ।
বর্তমানে এ নৌ-বহরে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ফেরিঘাটের পকেট পথ গুলো নিচু হয়ে গেছে।ফলে যানবাহন লোড আনলোড করতে দীর্ঘ সময় লাগছে।
সরেজমিন বুধবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০ টায়  দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, জিরোপয়েন্ট থেকে ঢাকা- খুলনা মহাসড়কে ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান ও যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সিরিয়াল রয়েছে। এছাড়া ঘাটকে যানজট মুক্ত রাখতে ঘাট থেকে ১৪ কিলো মিটার দুরে
রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ৩ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩ শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকে রাখা হয়েছে।
সবমিলিয়ে ৬ শতাধিক যান।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে আসা একে ট্রাভেলসের বাসের সুপারভাইজার আলম বলেন, ভোর রাতে ঘাটে এসেছি ৫ থেকে ৬ ঘন্টা ঘাটে এসে বসে আছি, ফেরি পেতে আরো দু ঘন্টা লাগবে। এমনিতে রোজার মাস
তারপরে প্রচন্ড গরমে বাসের ভিতরে যাত্রীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।  বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বেশী ভোগান্তি হয়।দীর্ঘ সময় বসে থেকে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাটে সিরিয়ালে থাকা অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক চালক জানান, ঘাটে যানজট সৃষ্টি হলেই সব থেকে বেশি দূর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের। গোয়ালন্দ মোড়ে এসে দীর্ঘসময় সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পরে ওইখান থেকে ছেড়ে এসে আবার দৌলতদিয়া ঘাটের সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। দ্বিতীয় ধাপে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও অনেক সময় আমাদেরকে টার্মিনালে দিয়ে দেয়া হয়। দীর্ঘ সময়ে নদীপাড়ের অপেক্ষা করা আমাদের জন্য  দুর্ভোগ।
জ্যামে আটকে থেকে অনেক কষ্টে সেহরি খেয়েছি, তারপরে বাথরুমে সমস্যায় পড়তে হয়। এত কষ্ট করে গাড়ি চালাতে মন চায়না।জানি ঘাটে আসলে এমন ভোগান্তি  পোহাতে হবে, তার পরও উপায় নেই, ঘরে বসে থাকলে তো পেট চলবে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কপোর্রেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্হাপক (বাণিজ্য) প্রফল্য চৌহান বলেন, এ নৌ- রুটে ১৮ টি ফেরি চলাচল করছে।
নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে পানির লেয়ার
নিচে নেমে যাওয়ায় ফেরি চলাচল সহ লোড আনলোড অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। এ ছাড়া  কয়েকদিন ধরে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরিয়ালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে যাত্রী বাহী বাস ও কাচা পণ্য বোঝাই ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।