কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের তামিম মিয়া অপহরণের রহস্যের জট খুলতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘোরাঘুরির আবদার পূরণে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবিতে নিজের অপহরণ নাটক সাজিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন তামিম মিয়া। নিজের অপহরণ নাটক সাজানোর ঘটনাটি জানাজানি হলে সোশ্যাল মিডিয়া ও এলাকাবাসীর মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অপহরণ নাটক এর অভিনেতা তামিম মিয়া কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মো. মাইন উদ্দিনের ছেলে এবং আফিয়া খাতুন দম্পতির ছেলে।
তামিমের মা আফিয়া খাতুন জানান, তামিম গত পাঁচ দিন আগে তামিম ঢাকায় জুতার কাজ করবে বলে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে ওই রাতে তার একটি নম্বর থেকে ফোন আসে ও মেয়ের কন্ঠে বলা হয় আপনার ছেলে তামিমকে অপহরণ করা হয়েছে। এ সময় ছেলেকে জীবিত পেতে দ্রুত এক লাখ টাকা মুক্তিপণ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী মা উপায়ন্তর না পেয়ে কুলিয়ারচর থানার দ্বারস্থ হয়। এ ঘটনা জেনে পুলিশ দীর্ঘ তিন দিনের পরিশ্রমে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার বিকালে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে তামিমকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তামিম মিয়া জানায়, প্রেমিকাকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে তারা দু’জনে মিলে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। মুক্তিপণের এক লাখ টাকা পেলে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে যেতেন বলে জানান তামিম।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অপহরণের বিষয়টি জানার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তামিম মিয়াকে উদ্ধার পর অপহরণের নাটকের বিষয়টি জানা গেছে। পরে তামিম মিয়াকে কাউন্সেলিং করে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বার্তা/এন
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।