শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ–প্রধানমন্ত্রী

ছবি-সংগৃহীত

ঢাকা ব্যুরো।।    যেসব দেশ করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে, তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত কিছু দেশ এখনো টিকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে অনেক দূরে রয়ে গেছে। এই দেশগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ মনোযোগ এবং সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানি এবং ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভি আয়োজিত ‘২০২২ গ্যাভি কোভ্যাক্স এএমসি সামিট: ব্রেক কোভিড নাও’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে পূর্বে ধারণকৃত ভিডিওবার্তায় এ কথা বলেন। খবর- বাসস।

গ্যাভি কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট সমর্থিত নিম্নআয়ের দেশগুলোর জন্য দাতা তহবিলে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউএস ডলারসহ কোভ্যাক্স-এর জন্য জরুরি আর্থিক সহায়তায় কমপক্ষে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউএস ডলার সংগ্রহে সহায়তা করার লক্ষ্যে নেতা-স্তরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ হাসিনা স্টেক হোল্ডারদেরকে সব দেশে টিকা প্রদানে সাহায্য করতে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি উন্নয়ন অংশীদারদের কোভ্যাক্স এএমসি-তে তাদের অবদান এবং ভ্যাকসিন বাড়ানোর জন্যও আহবান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি জনস্বাস্থ্যের জরুরি পরিস্থিতিতে কার্যকরভাবে সাড়া দিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তাকে শক্তিশালী করেছে।’

তিনি বলেন, ‘কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি এই উদ্দেশ্যে আমাদের একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম অফার করেছে। ভবিষ্যতের মহামারি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের এই প্ল্যাটফর্মটিকে প্রয়োজনীয় সংস্থান এবং দক্ষতার সঙ্গে সমর্থন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা না থাকলে মহামারির প্রভাব বাংলাদেশে ধ্বংসাত্মক হতে পারত। মহামারিতে আমরা সংক্রমণকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি এবং এখন সংক্রমণ অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত বাংলাদেশ তার লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশের বেশি জনসংখ্যাকে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘গ্যাভির সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব এই সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কোভ্যাক্স এএমসি প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহত সমর্থনের জন্য উন্মুখ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ভ্যাকসিনকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।’

ভার্চুয়াল ইভেন্টের সহ-সভাপতি ছিলেন জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী সোভেনজা শুলজে এবং গ্যাভি বোর্ডের চেয়ারম্যান জোসে ম্যানুয়েল বারোসো। উদ্বোধনী অধিবেশনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল এবং গ্যাভি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জোসে ম্যানুয়েল বারোসো বক্তব্য রাখেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন, তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. নাজলা বাউডেন এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।

লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ–প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:১১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২

ঢাকা ব্যুরো।।    যেসব দেশ করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে, তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত কিছু দেশ এখনো টিকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে অনেক দূরে রয়ে গেছে। এই দেশগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ মনোযোগ এবং সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানি এবং ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভি আয়োজিত ‘২০২২ গ্যাভি কোভ্যাক্স এএমসি সামিট: ব্রেক কোভিড নাও’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে পূর্বে ধারণকৃত ভিডিওবার্তায় এ কথা বলেন। খবর- বাসস।

গ্যাভি কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট সমর্থিত নিম্নআয়ের দেশগুলোর জন্য দাতা তহবিলে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউএস ডলারসহ কোভ্যাক্স-এর জন্য জরুরি আর্থিক সহায়তায় কমপক্ষে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউএস ডলার সংগ্রহে সহায়তা করার লক্ষ্যে নেতা-স্তরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ হাসিনা স্টেক হোল্ডারদেরকে সব দেশে টিকা প্রদানে সাহায্য করতে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি উন্নয়ন অংশীদারদের কোভ্যাক্স এএমসি-তে তাদের অবদান এবং ভ্যাকসিন বাড়ানোর জন্যও আহবান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি জনস্বাস্থ্যের জরুরি পরিস্থিতিতে কার্যকরভাবে সাড়া দিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তাকে শক্তিশালী করেছে।’

তিনি বলেন, ‘কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি এই উদ্দেশ্যে আমাদের একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম অফার করেছে। ভবিষ্যতের মহামারি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের এই প্ল্যাটফর্মটিকে প্রয়োজনীয় সংস্থান এবং দক্ষতার সঙ্গে সমর্থন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা না থাকলে মহামারির প্রভাব বাংলাদেশে ধ্বংসাত্মক হতে পারত। মহামারিতে আমরা সংক্রমণকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি এবং এখন সংক্রমণ অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত বাংলাদেশ তার লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশের বেশি জনসংখ্যাকে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘গ্যাভির সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব এই সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কোভ্যাক্স এএমসি প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহত সমর্থনের জন্য উন্মুখ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ভ্যাকসিনকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।’

ভার্চুয়াল ইভেন্টের সহ-সভাপতি ছিলেন জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী সোভেনজা শুলজে এবং গ্যাভি বোর্ডের চেয়ারম্যান জোসে ম্যানুয়েল বারোসো। উদ্বোধনী অধিবেশনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল এবং গ্যাভি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জোসে ম্যানুয়েল বারোসো বক্তব্য রাখেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন, তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. নাজলা বাউডেন এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।