এ ছাড়া তার শরীর কালো বর্ণ ও হাত-পা কাঠের মতো শক্ত হতে শুরু করে। এখন দুই হাতের বেশ কিছু আঙুল টুকরো টুকরো হয়ে খসে পড়ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি ‘সিস্টেমিক স্ক্লেরোসিস’ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার চিকিৎসা করাতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউম্যাটোলোজি বিভাগে চিকিৎসা নিতে হবে। এ জন্য তাকে ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হবে। এতে খরচ হতে পারে প্রায় তিন লাখ টাকা।
তিন সন্তানের জননী শরিফা বেগম (৩৫) লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা হলের বানীনগর গ্রামের শামছুল হক দুলুর স্ত্রী। তার স্বামী শামছুল হক একজন ভ্যানচালক।
প্রতিবেশী শহিন মিয়া জানান, শরিফা বেগমকে মাঝেমধ্যে ওষুধ এনে খাওয়াতেন তার স্বামী। কিতববু টুকরো টুকরো হয়ে মাংস খসে পড়া বন্ধ হতো না। দরিদ্র হওয়ার পরও বহু টাকা শেষ করেছেন তারা। সমাজে অনেক মানুষ আছেন। যারা অসহায় এই পরিবারকে সাহায্য করলে তারা একটু শান্তি পেত।
শরিফা বেগমের স্বামী শামছুল হক দুলু বলেন, স্ত্রী আগে স্বাস্থ্যবান ছিল। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তার চেহারার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। চোখমুখ ফুলে গেছে, হাত-পা কালো হয়েছে। পরে তাকে রংপুরে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসকরা বলেছেন, এটি ব্লাড ক্যানসার হতে পারে। তাকে দ্রুত চিকিৎসা না করাতে পারলে নাকি বাঁচানো যাবে না। একজন ভ্যানচালক হয়ে প্রায় তিন লাখ টাকা কোথায় পাব?
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার রায় বলেন, ওই নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই সময় তাকে বলা হয়েছিল যে তার ‘সিস্টেমিক স্ক্লেরোসিস’ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে রিউম্যাটোলোজি বিভাগে চিকিৎসা নিতে হবে।
তুষভানন্ডার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর ইসলাম বলেন, শুনেছি তার এই রোগের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও সমাজসেবা অফিসে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছি। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও সাহায্য করব। পাশাপাশি সবাই এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন চেয়ারম্যান।
শরীফা বেগমের সঙ্গে বিষয়টি জানতে তার স্বামী শামছুল হক দুলুর ০১৭৯৭৭০৩১৯৮ নম্বরে যোগাযোগ করে জানা যাবে।