রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ 

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ ও তার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন এক কলেজছাত্রী। উক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও ছাত্রী লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গত ২০২১ সালে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে মো. মনজুর হোসেনের সাথে পরিচয় হয় ওই ছাত্রীর। পরে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হলে এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার বাসাইল সরকারি বাসভবনে নিয়ে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিনি কলেজছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ ইউএনওর বিয়ের আশ্বাসের কারণে অন্যত্র বিয়ের সকল প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ঐ ছাত্রী ও তার পরিবার। এক পর্যায়ে তার দুজন টাঙ্গাইল কুমুদিনী কলেজের পাশে পাওয়ার হাউজের পিছনে একটি বাসায় একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তারা দুই মাস বসবাস করেন এবং সে সময় একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন ঐ ছাত্রী। কিছুদিন পরেই তার দু’জনে মিলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বেড়াতে যান। সেখানে পৌঁছার পর বিয়ে করে সামাজিক স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ইউএনওকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন এ কলেজছাত্রী। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান বাংলাদেশে পৌঁছে বিয়ে ও সামাজিক স্বীকৃতি প্রদান করবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন হওয়ার পরেও মনজুর হোসেন স্ত্রী মর্যাদা না দেয়ায় উক্ত বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ঐ কলেজছাত্রী।
ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী জানান, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর হোসেনের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখায় এবং তার সরকারি বাস ভবনে আমাকে নিয়ে যায়। সেখানে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। একসময় জানতে পারি মনজুর হোসেন বিবাহিত সে বিষয়টি আমার কাছে গোপন করেছিল। আমি তাকে সরল মনে তার সকল কথাই বিশ্বাস করেছি। তিনি আমাকে ব্যবহার করেছেন, কিন্তু সামাজিকভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হয়েও আমার সঙ্গে এ ধরনের প্রতারণা করবেন এটা আমি কোনদিন বিশ্বাস করিনি। সামাজিক স্বীকৃতির দাবিও জানান ঐ কলেজছাত্রী।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর হোসেন সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহানা নাসরিন বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তরন্ত চলমান রয়েছে। আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।
বার্তা/এন
জনপ্রিয়

করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ 

প্রকাশের সময় : ০৪:৪১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ ও তার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন এক কলেজছাত্রী। উক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও ছাত্রী লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গত ২০২১ সালে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে মো. মনজুর হোসেনের সাথে পরিচয় হয় ওই ছাত্রীর। পরে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হলে এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার বাসাইল সরকারি বাসভবনে নিয়ে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিনি কলেজছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ ইউএনওর বিয়ের আশ্বাসের কারণে অন্যত্র বিয়ের সকল প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ঐ ছাত্রী ও তার পরিবার। এক পর্যায়ে তার দুজন টাঙ্গাইল কুমুদিনী কলেজের পাশে পাওয়ার হাউজের পিছনে একটি বাসায় একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তারা দুই মাস বসবাস করেন এবং সে সময় একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন ঐ ছাত্রী। কিছুদিন পরেই তার দু’জনে মিলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বেড়াতে যান। সেখানে পৌঁছার পর বিয়ে করে সামাজিক স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ইউএনওকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন এ কলেজছাত্রী। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান বাংলাদেশে পৌঁছে বিয়ে ও সামাজিক স্বীকৃতি প্রদান করবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন হওয়ার পরেও মনজুর হোসেন স্ত্রী মর্যাদা না দেয়ায় উক্ত বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ঐ কলেজছাত্রী।
ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী জানান, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর হোসেনের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখায় এবং তার সরকারি বাস ভবনে আমাকে নিয়ে যায়। সেখানে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। একসময় জানতে পারি মনজুর হোসেন বিবাহিত সে বিষয়টি আমার কাছে গোপন করেছিল। আমি তাকে সরল মনে তার সকল কথাই বিশ্বাস করেছি। তিনি আমাকে ব্যবহার করেছেন, কিন্তু সামাজিকভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হয়েও আমার সঙ্গে এ ধরনের প্রতারণা করবেন এটা আমি কোনদিন বিশ্বাস করিনি। সামাজিক স্বীকৃতির দাবিও জানান ঐ কলেজছাত্রী।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর হোসেন সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহানা নাসরিন বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তরন্ত চলমান রয়েছে। আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।
বার্তা/এন