বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শরণখোলা হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী আবু হানিফের শরীরে ভুল ক্রমে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তক মিটি গঠন করা হয়েছে। সহকারি সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট  এ কমিটি কে আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে । কমিটির অন্য দু’জন হলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মেহেদী হাসান ও শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ফয়সাল আহমেদ ।

৬ এপ্রিল সকালে কর্তব্যরত নার্স শামিমা আক্তার ভুল ক্রমে আবু হানিফ হাওলাদার (৬০) নামে এক রোগীর শরীরে দুই মাস আগে মেয়াদ শেষ হওয়া একটি স্যালাইন পুশ করে দেন । এতে রোগীর শরীরে জ্বালা-যন্ত্রনা শুরু হয়ে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেন। রোগীর ছেলে জাকারিয়া হাওলাদার জানান, সকাল পৌনে ৭টার দিকে শামীমা নামে এক নার্স তা বাবার শরীরেস সরকারি স্যালাইন পুশ করেন। স্যালাইনের প্রায় তিনের দুই ভাগ শেষ হয়। এমন সময় তার ছোট বোন হাসিনা বেগম স্যালাইনের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ০২/২০২২ লেখা দেখতে পান। পরে নার্সকে ডেকে বিষয়টি জানালে দ্রুত স্যালাইন খুলে ফেলা হয়।

অভিযুক্ত নার্স শামিমা আক্তার জানান, কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে সাধারন রোগীদের পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীদের উপচে পড়া ভীড় ছিল। যা সামাল দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছিলাম । রোজা রেখে সারারাত ডিউটি করে খুব সকালে ষ্টক থেকে স্যালাইনটি পুশ করি। রোগীর স্বজনদের তাড়াহুড়ার কারনে মেয়াদের দিকটি খেয়াল করা হয়নি ।

হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ফয়সাল আহমেদ জানান, রোগী আবু হানিফ হাওলাদার ইতিমধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তার সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃজালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে । আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে ।

 

 

শরণখোলা হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২

শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী আবু হানিফের শরীরে ভুল ক্রমে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তক মিটি গঠন করা হয়েছে। সহকারি সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট  এ কমিটি কে আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে । কমিটির অন্য দু’জন হলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মেহেদী হাসান ও শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ফয়সাল আহমেদ ।

৬ এপ্রিল সকালে কর্তব্যরত নার্স শামিমা আক্তার ভুল ক্রমে আবু হানিফ হাওলাদার (৬০) নামে এক রোগীর শরীরে দুই মাস আগে মেয়াদ শেষ হওয়া একটি স্যালাইন পুশ করে দেন । এতে রোগীর শরীরে জ্বালা-যন্ত্রনা শুরু হয়ে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেন। রোগীর ছেলে জাকারিয়া হাওলাদার জানান, সকাল পৌনে ৭টার দিকে শামীমা নামে এক নার্স তা বাবার শরীরেস সরকারি স্যালাইন পুশ করেন। স্যালাইনের প্রায় তিনের দুই ভাগ শেষ হয়। এমন সময় তার ছোট বোন হাসিনা বেগম স্যালাইনের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ০২/২০২২ লেখা দেখতে পান। পরে নার্সকে ডেকে বিষয়টি জানালে দ্রুত স্যালাইন খুলে ফেলা হয়।

অভিযুক্ত নার্স শামিমা আক্তার জানান, কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে সাধারন রোগীদের পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীদের উপচে পড়া ভীড় ছিল। যা সামাল দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছিলাম । রোজা রেখে সারারাত ডিউটি করে খুব সকালে ষ্টক থেকে স্যালাইনটি পুশ করি। রোগীর স্বজনদের তাড়াহুড়ার কারনে মেয়াদের দিকটি খেয়াল করা হয়নি ।

হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ফয়সাল আহমেদ জানান, রোগী আবু হানিফ হাওলাদার ইতিমধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তার সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃজালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে । আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে ।