শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শরণখোলায় পানীয় জলের তীব্র সংকট

বাগারেহাটের শরণখোলায় পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলায় বেশীরভাগ পুকুরের পিএসএফ ও নলকুপ বিনষ্ট হয়ে রয়েছে। অতি খরায় গ্রামঞ্চলের পুকুরের পানি শুকিয়ে তলানীতে পৌঁচেছে। মানুষ দুরদুরান্ত থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছে।
সাম্প্রতিক অনাবৃষ্টি ও অব্যাহত খরায় উপজেলার বেশীরভাগ পুকুরের খাবার পানি তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। মানুষ দুরদুরান্ত থেকে বিভিন্ন উপায়ে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন। দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের জাহিদুল, সোনাতলা গ্রামের রুস্তম আলী, ধানসাগর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন, জিলবুনিয়া গ্রামের গৃহবধু শেফালী বেগমসহ অনেক গ্রামবাসী বলেন বর্তমানে আমরা তীব্র খাবার পানির সংকটে আছি। অনেক কষ্টে দুর থেকে বিভিন্ন উপায়ে পানি সংগ্রহ করে আনতে হচ্ছে। গ্রামের পুকুরের পানি তলানীতে গেছে যা খাওয়ার উপযোগী নয় বলে গ্রামবাসীরা জানান।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫৪৭ টি পুকুরে স্থাপন করা পিএসএফের মধ্যে ৩৮৬টি অকেজো হয়ে রয়েছে এছাড়া গ্রামাঞ্চলে ৪৮০৪টি নলকুপের মধ্যে অচল হয়ে রয়েছে ২১৫২টি নলকুপ। অকেজো পিএসএফ ও নলকুপ মেরামতের কোন উদ্য্গো দেখা যাচ্ছেনা।
ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, তার ইউনিয়নের ধানসাগর, পশ্চিম রাজাপুর ও বান্ধারহাট এলাকায় তীব্র পানির সংকটে লোকজন নদীর লোনা পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে বলে চেয়ারম্যান জানান।

শরণখোলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, উপজেলায় অকেজো পিএসএফ মেরামতের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে শীঘ্রই মেরামত করা হবে। তিনি আরো বলেন, ধানসাগর ইউনিয়নে ৩টি নতুন পুকুর ও উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে জেলা পরিষদের ১৮টি পুকুর পুনঃখনন করা হয়েছে এসব পুকুরে ৬টি পিএসএফ চালু রয়েছে বলে ঐ প্রকৌশলী জানিয়েছেন।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

শরণখোলায় পানীয় জলের তীব্র সংকট

প্রকাশের সময় : ০৬:২২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২

বাগারেহাটের শরণখোলায় পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলায় বেশীরভাগ পুকুরের পিএসএফ ও নলকুপ বিনষ্ট হয়ে রয়েছে। অতি খরায় গ্রামঞ্চলের পুকুরের পানি শুকিয়ে তলানীতে পৌঁচেছে। মানুষ দুরদুরান্ত থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছে।
সাম্প্রতিক অনাবৃষ্টি ও অব্যাহত খরায় উপজেলার বেশীরভাগ পুকুরের খাবার পানি তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। মানুষ দুরদুরান্ত থেকে বিভিন্ন উপায়ে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন। দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের জাহিদুল, সোনাতলা গ্রামের রুস্তম আলী, ধানসাগর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন, জিলবুনিয়া গ্রামের গৃহবধু শেফালী বেগমসহ অনেক গ্রামবাসী বলেন বর্তমানে আমরা তীব্র খাবার পানির সংকটে আছি। অনেক কষ্টে দুর থেকে বিভিন্ন উপায়ে পানি সংগ্রহ করে আনতে হচ্ছে। গ্রামের পুকুরের পানি তলানীতে গেছে যা খাওয়ার উপযোগী নয় বলে গ্রামবাসীরা জানান।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫৪৭ টি পুকুরে স্থাপন করা পিএসএফের মধ্যে ৩৮৬টি অকেজো হয়ে রয়েছে এছাড়া গ্রামাঞ্চলে ৪৮০৪টি নলকুপের মধ্যে অচল হয়ে রয়েছে ২১৫২টি নলকুপ। অকেজো পিএসএফ ও নলকুপ মেরামতের কোন উদ্য্গো দেখা যাচ্ছেনা।
ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, তার ইউনিয়নের ধানসাগর, পশ্চিম রাজাপুর ও বান্ধারহাট এলাকায় তীব্র পানির সংকটে লোকজন নদীর লোনা পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে বলে চেয়ারম্যান জানান।

শরণখোলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, উপজেলায় অকেজো পিএসএফ মেরামতের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে শীঘ্রই মেরামত করা হবে। তিনি আরো বলেন, ধানসাগর ইউনিয়নে ৩টি নতুন পুকুর ও উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে জেলা পরিষদের ১৮টি পুকুর পুনঃখনন করা হয়েছে এসব পুকুরে ৬টি পিএসএফ চালু রয়েছে বলে ঐ প্রকৌশলী জানিয়েছেন।