শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিরাজদিখানে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ 

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে  যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বামী দ্বীন ইসলাম ভূইয়ার  বিরুদ্ধে। বিএবিষয়ে সিরাজদিখান  থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী নারী।
 অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ১৪/০৫/২০১৭ ইং সালে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের শুলপুর গ্রামের মৃত আবুল ভূইয়ার ছেলে দ্বীন ইসলাম ভূইয়া(৪০)সাথে একি উপজেলার রাজানগর  ইউনিয়নের ভারালিয়া গ্রামের
মোঃ ইমান আলীর মেয়ে মোসাঃ মিতু আক্তার মৃত্তিকা (২৭) এর ইসলাম শরিয়ত মোতাবেক ২ লক্ষ ৫০হাজার  টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় যৌতুক হিসেবে  এক ভরি স্বর্ণের চেন ও ৫ টি ফার্নিচার তাদের কথা মতো দেওয়া হলে ও  বিয়ের কিছু দিন পর থেকে বাবা বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার শুরু করেন স্বামী  ও তার পরিবার। স্বামীর ব্যবসার জন্য বাবা বাড়ি থেকে ৫০০০০০/ টাকা না নিয়ে গেলে তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন স্বামী ও তার পরিবার।
এবিষয় মিতু আক্তার মৃত্তিকা বলেন, আজ থেকে ৬ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে উভয় পক্ষের সম্মতিতে দ্বীন ইসলাম ভূইয়ার সাথে আমার বিবাহ হয়।  বিবাহের সময় তাদের চাহিদা মোতাবেক ১ ভরি স্বর্ণের চেন ও ৫ টি ফার্নিচার দেওয়া হলে ও।  তার কিছু দিন পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে আমার বাবা বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক  ও শারীরিক নির্যাতন করেন। এমতাবস্থায় আমি অন্তঃসত্ত্বা হই। এখবর শুনে আমার স্বামী  দ্বীন ইসলাম ভূইয়া  বলেন আমার বাবা বাড়ির থেকে যদি তাকে টাকা এনে না দেই তাহলে আমাকে ও আমার গর্ভে থাকা সন্তানকে  মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। গত ০১/১১/২০২১ ইং আনুমানিক সকাল ১১ টার দিকে আমার স্বামী আমাকে বলেন আমার বাবা বাড়ি থেকে তাকে ৫০০০০০/  টাকা এনে দিতে হবে তার ব্যবসার জন্য আমি অস্বীকৃতি প্রকাশ করলে আমার স্বামী দ্বীন ইসলাম ভূইয়া(৪০) আমার  শাশুড়ী নাজমা বেগম(৫৮) স্বামী -মৃত আবুল ভূইয়া,ও আমার ননদ আইরিন বেগম(২৫)স্বামী- মৃত রফিকুল ইসলাম, আমেনা বেগম(৩০) স্বামী-মনির হোসেন,স্বর্ণা আফরিন(২২)স্বামী- পাবেল সরকার এসে আমাকে মারধর শুরু করেন আর বলেন তাদের ভাইয়ের ভাত খেতে হলে টাকা দিতে হবে তা না হলে আমাকে মেরে গুম করে ফেলবে।আমার চিৎকার চেচামেচি শুনে বাড়ির পাশের লোক জন আমাকে উদ্ধার করেন।আমি ও আমার সন্তানের প্রান বাচাতে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসি। আমার বাবা বাড়ি থেকে ফোনে আমার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে আমার স্বামী ও শাশুড়ী বলেন  টাকা দিয়ে ব্যবসা না দিয়ে দিলে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বারন করলে আমি তাদের চাকরি কথা বললে চাকরি করায় ইচ্ছা প্রকাশ করলে  আমি আল-মুসলিম গ্রুপে চাকরি ব্যবস্থা করে দেই। ১০ দিন ডিউটি করে সেখান থেকে চলে আসে।  পুনরায় আবার টাকা দিয়ে ব্যবসা দিয়ে দিতে বলেন।এবিষয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ   করা হয়েছে।
এবিষয় দ্বীন ইসলাম ভূইয়া বলেন,আমি আমার বউকে কখনো যৌতুকের  টাকার জন্য কিছু বলি নাই।  আমার মা বোন এর সাথে ঝগড়া হইছে কিন্তু তাকে তারা মারধর করছেন কিনা তা আমার জানা নেই।
শেখরনগর তদন্তকেন্দ্রের  আইসি মোঃ নাছির শেখ  জানান,তাদের এই বিষয়টি নিয়ে একবার বসা হয়েছিলো ছেলেটির  মামা তার নিজ দায়িত্বে  মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব করলে ছেলের মানুষিক সমস্যা কারনের মেয়ে ছেলের বাড়িতে যাওয়ায় অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন।  মেয়েকে বোঝার জন্য ১ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় এবিষয়টি নিয়ে সামনের শুক্রবার বসার তারিখ রয়েছে।
প্রতীকী ছবি….

সিরাজদিখানে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ 

প্রকাশের সময় : ১০:২১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে  যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বামী দ্বীন ইসলাম ভূইয়ার  বিরুদ্ধে। বিএবিষয়ে সিরাজদিখান  থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী নারী।
 অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ১৪/০৫/২০১৭ ইং সালে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের শুলপুর গ্রামের মৃত আবুল ভূইয়ার ছেলে দ্বীন ইসলাম ভূইয়া(৪০)সাথে একি উপজেলার রাজানগর  ইউনিয়নের ভারালিয়া গ্রামের
মোঃ ইমান আলীর মেয়ে মোসাঃ মিতু আক্তার মৃত্তিকা (২৭) এর ইসলাম শরিয়ত মোতাবেক ২ লক্ষ ৫০হাজার  টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় যৌতুক হিসেবে  এক ভরি স্বর্ণের চেন ও ৫ টি ফার্নিচার তাদের কথা মতো দেওয়া হলে ও  বিয়ের কিছু দিন পর থেকে বাবা বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার শুরু করেন স্বামী  ও তার পরিবার। স্বামীর ব্যবসার জন্য বাবা বাড়ি থেকে ৫০০০০০/ টাকা না নিয়ে গেলে তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন স্বামী ও তার পরিবার।
এবিষয় মিতু আক্তার মৃত্তিকা বলেন, আজ থেকে ৬ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে উভয় পক্ষের সম্মতিতে দ্বীন ইসলাম ভূইয়ার সাথে আমার বিবাহ হয়।  বিবাহের সময় তাদের চাহিদা মোতাবেক ১ ভরি স্বর্ণের চেন ও ৫ টি ফার্নিচার দেওয়া হলে ও।  তার কিছু দিন পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে আমার বাবা বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক  ও শারীরিক নির্যাতন করেন। এমতাবস্থায় আমি অন্তঃসত্ত্বা হই। এখবর শুনে আমার স্বামী  দ্বীন ইসলাম ভূইয়া  বলেন আমার বাবা বাড়ির থেকে যদি তাকে টাকা এনে না দেই তাহলে আমাকে ও আমার গর্ভে থাকা সন্তানকে  মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। গত ০১/১১/২০২১ ইং আনুমানিক সকাল ১১ টার দিকে আমার স্বামী আমাকে বলেন আমার বাবা বাড়ি থেকে তাকে ৫০০০০০/  টাকা এনে দিতে হবে তার ব্যবসার জন্য আমি অস্বীকৃতি প্রকাশ করলে আমার স্বামী দ্বীন ইসলাম ভূইয়া(৪০) আমার  শাশুড়ী নাজমা বেগম(৫৮) স্বামী -মৃত আবুল ভূইয়া,ও আমার ননদ আইরিন বেগম(২৫)স্বামী- মৃত রফিকুল ইসলাম, আমেনা বেগম(৩০) স্বামী-মনির হোসেন,স্বর্ণা আফরিন(২২)স্বামী- পাবেল সরকার এসে আমাকে মারধর শুরু করেন আর বলেন তাদের ভাইয়ের ভাত খেতে হলে টাকা দিতে হবে তা না হলে আমাকে মেরে গুম করে ফেলবে।আমার চিৎকার চেচামেচি শুনে বাড়ির পাশের লোক জন আমাকে উদ্ধার করেন।আমি ও আমার সন্তানের প্রান বাচাতে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসি। আমার বাবা বাড়ি থেকে ফোনে আমার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে আমার স্বামী ও শাশুড়ী বলেন  টাকা দিয়ে ব্যবসা না দিয়ে দিলে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বারন করলে আমি তাদের চাকরি কথা বললে চাকরি করায় ইচ্ছা প্রকাশ করলে  আমি আল-মুসলিম গ্রুপে চাকরি ব্যবস্থা করে দেই। ১০ দিন ডিউটি করে সেখান থেকে চলে আসে।  পুনরায় আবার টাকা দিয়ে ব্যবসা দিয়ে দিতে বলেন।এবিষয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ   করা হয়েছে।
এবিষয় দ্বীন ইসলাম ভূইয়া বলেন,আমি আমার বউকে কখনো যৌতুকের  টাকার জন্য কিছু বলি নাই।  আমার মা বোন এর সাথে ঝগড়া হইছে কিন্তু তাকে তারা মারধর করছেন কিনা তা আমার জানা নেই।
শেখরনগর তদন্তকেন্দ্রের  আইসি মোঃ নাছির শেখ  জানান,তাদের এই বিষয়টি নিয়ে একবার বসা হয়েছিলো ছেলেটির  মামা তার নিজ দায়িত্বে  মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব করলে ছেলের মানুষিক সমস্যা কারনের মেয়ে ছেলের বাড়িতে যাওয়ায় অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন।  মেয়েকে বোঝার জন্য ১ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় এবিষয়টি নিয়ে সামনের শুক্রবার বসার তারিখ রয়েছে।
প্রতীকী ছবি….