রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত–সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন

বেনাপোল প্রতিনিধি।।

যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কায়িক পরিশ্রম করছেন। পৌর মেয়র লিটনের পোষ্য সন্ত্রাসীরা হাজারও ককটেল ফাটিয়েও তাদের  দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বরং তারা গোলাবারুদের মত জ্বলে উঠে মেয়রের সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙা জবাব দেবে। রবিবার বেলা ১১টার সময় বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বন্দর শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ এনামুল হক মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় শ্রমিক সমাবেশে সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন গত ২৮ মার্চে দিনে-দুপরে বন্দরের শ্রমিকদের উপর বৃষ্টির মতো ককটেল নিক্ষেপের সেই কলঙ্কিত ঘটনার বর্ননা শ্রমিকদের মুখ দিয়েই শোনেন। সেদিনের ঘটনায় আহত শ্রমিকদের শারীরিক খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সাথে কথা বলেন। তাদের দেখভালের জন্য শ্রমিক সংগঠনের উপর দায়িত্ব দেন। তিনি বলেন, সংগঠনের টাকায় তাদের চিকিৎসা করাতে হবে, ব্যর্থ হলে এমপি’র নিজ অর্থায়নে তাদের উন্নত চিকিৎসা করা হবে।

ওই দিনের সন্ত্রাসী মামলা চলাকালে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের তৎপরতার ভূয়ষী প্রশংসা করেন সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন। তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫’র সাধারণ সম্পাদক ও শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদের উপস্থাপনায় সমাবেশে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে, সন্ত্রাসের রাজনীতি করেনা। সন্ত্রাসী পুষে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে আসলে দল তাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। এ সময় তিনি বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনকে সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, ভেবেছেন নীরিহ শ্রমিকদের উপর শতশত ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে ওরা আপনাকে বাহবা দেবে। কিন্তু দেয়নি।

এ সময় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন বেনাপোল পৌর মেয়র লিটনকে হুঁসিয়ারি দিয়ে বলেন, বেনাপোলে আকূল বাহিনী পুষে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, টেন্ডারবাজিসহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছেন। সেই আকূল এখন বিপুল পরিমাণের অস্ত্রসহ আটক হয়ে কারাগারে বসবাস করছে। সন্ত্রাসের মদদ দিয়ে রাশেদ কাউন্সিলরকে বেপরোয়া তৈরি করেছিলেন, তারা বৃষ্টির মতো ককটেল বোমাবাজি করেছিলো বন্দরের নিরীহ শ্রমিকদের উপর। সেই রাশেদ কাউন্সিলর এখন তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে জেল হাজতে বসবাস করছে। এ সময় তিনি লিটনকে তার লজ্জার বোঝা মাথায় নিয়ে পৌরসভা থেকে বিদায় নেয়ার আহবান জানান।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, যুগ্ম সম্পাদক যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সালমা আলম, শার্শাা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবল হোসেন রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন রুবেল, বাস্তহারালীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মহাতাব উদ্দিন, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আহাদুজ্জামান বকুল, জসীম উদ্দিন, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টু, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা অপু, রুবেল, মামুন, তৌহিদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জনপ্রিয়

বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত–সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন

প্রকাশের সময় : ১১:০৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২

বেনাপোল প্রতিনিধি।।

যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কায়িক পরিশ্রম করছেন। পৌর মেয়র লিটনের পোষ্য সন্ত্রাসীরা হাজারও ককটেল ফাটিয়েও তাদের  দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বরং তারা গোলাবারুদের মত জ্বলে উঠে মেয়রের সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙা জবাব দেবে। রবিবার বেলা ১১টার সময় বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বন্দর শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ এনামুল হক মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় শ্রমিক সমাবেশে সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন গত ২৮ মার্চে দিনে-দুপরে বন্দরের শ্রমিকদের উপর বৃষ্টির মতো ককটেল নিক্ষেপের সেই কলঙ্কিত ঘটনার বর্ননা শ্রমিকদের মুখ দিয়েই শোনেন। সেদিনের ঘটনায় আহত শ্রমিকদের শারীরিক খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সাথে কথা বলেন। তাদের দেখভালের জন্য শ্রমিক সংগঠনের উপর দায়িত্ব দেন। তিনি বলেন, সংগঠনের টাকায় তাদের চিকিৎসা করাতে হবে, ব্যর্থ হলে এমপি’র নিজ অর্থায়নে তাদের উন্নত চিকিৎসা করা হবে।

ওই দিনের সন্ত্রাসী মামলা চলাকালে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের তৎপরতার ভূয়ষী প্রশংসা করেন সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন। তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫’র সাধারণ সম্পাদক ও শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদের উপস্থাপনায় সমাবেশে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে, সন্ত্রাসের রাজনীতি করেনা। সন্ত্রাসী পুষে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে আসলে দল তাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। এ সময় তিনি বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনকে সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, ভেবেছেন নীরিহ শ্রমিকদের উপর শতশত ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে ওরা আপনাকে বাহবা দেবে। কিন্তু দেয়নি।

এ সময় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন বেনাপোল পৌর মেয়র লিটনকে হুঁসিয়ারি দিয়ে বলেন, বেনাপোলে আকূল বাহিনী পুষে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, টেন্ডারবাজিসহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছেন। সেই আকূল এখন বিপুল পরিমাণের অস্ত্রসহ আটক হয়ে কারাগারে বসবাস করছে। সন্ত্রাসের মদদ দিয়ে রাশেদ কাউন্সিলরকে বেপরোয়া তৈরি করেছিলেন, তারা বৃষ্টির মতো ককটেল বোমাবাজি করেছিলো বন্দরের নিরীহ শ্রমিকদের উপর। সেই রাশেদ কাউন্সিলর এখন তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে জেল হাজতে বসবাস করছে। এ সময় তিনি লিটনকে তার লজ্জার বোঝা মাথায় নিয়ে পৌরসভা থেকে বিদায় নেয়ার আহবান জানান।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, যুগ্ম সম্পাদক যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সালমা আলম, শার্শাা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবল হোসেন রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন রুবেল, বাস্তহারালীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মহাতাব উদ্দিন, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আহাদুজ্জামান বকুল, জসীম উদ্দিন, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টু, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা অপু, রুবেল, মামুন, তৌহিদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।