বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শাহবাজ শরিফ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি

ছবি-সংগৃহীত

ইমরান খানকে হটিয়ে নানা নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন শাহবাজ শরিফ। দেশটির রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার গঠন করলেও দেশ পরিচালনায় ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে। বিশেষ করে, ভঙ্গুর অর্থনীতি এবং অভ্যন্তরীণ নানা সঙ্কটের কারণে তার মেয়াদ খুব একটা সুখকর হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ বা পিএমএলএন-এর প্রধান শাহবাজ শরিফ। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ১৭৪ ভোটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ৩৪২ আসনের পরিষদে প্রধানমন্ত্রী হতে দরকার ছিল ১৭২টি ভোট। নানা নাটকীয়তার পর ইমরান খানকে হটিয়ে বিরোধী শিবির এখন ক্ষমতার মসনদে।

পাকিস্তানের রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, শাহবাজ শরিফ নতুন সরকার গঠন করলেও সামনে তার কঠিন সময়। বিশেষ করে অর্থনৈতিক সঙ্কট ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে নতুন সরকারকে।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমির জিয়া পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে বলেছেন, নতুন সরকারকে সবার আগে অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দিতে হবে। কারণ বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না। রুপির মান কমে গেছে। প্রতিটি খাতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। তাদের হাতে সময় অনেক কম। যেকোনো মুহূর্তে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হতে পারে।

নতুন সরকার কিছুটা পশ্চিমা ঘেঁষা হওয়ায় চীন ও রাশিয়া ইস্যুতে ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও মনে করছেন পাকিস্তানের এই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক।

আমির জিয়া আরও বলেন, একটা ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক দরকার। কিছুদিন আগে ইমরান খান রাশিয়া সফর করেছেন। সেক্ষেত্রে নতুন সরকার একেবারে রাতারাতি কোনো কিছু পরিবর্তন করতে পারবে না। আর যদি সেটা করতে চায়, তাহলে তার বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এটাও নতুন সরকারের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ।
দেশটির সাধারণ মানুষ মনে করছেন, অর্থনীতি ঢেলে সাজাতে ও বেকারত্ব দূর করতে ইমরান খান যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, নতুন সরকার তা বন্ধ করে দিলে সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা কমে যাবে নতুন সরকারের। আর সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে আগামী নির্বাচনে আবারও হয়তো ক্ষমতায় আসতে পারেন ইমরান খান।

শাহবাজ শরিফ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি

প্রকাশের সময় : ১২:৩৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
ইমরান খানকে হটিয়ে নানা নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন শাহবাজ শরিফ। দেশটির রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার গঠন করলেও দেশ পরিচালনায় ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে। বিশেষ করে, ভঙ্গুর অর্থনীতি এবং অভ্যন্তরীণ নানা সঙ্কটের কারণে তার মেয়াদ খুব একটা সুখকর হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ বা পিএমএলএন-এর প্রধান শাহবাজ শরিফ। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ১৭৪ ভোটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ৩৪২ আসনের পরিষদে প্রধানমন্ত্রী হতে দরকার ছিল ১৭২টি ভোট। নানা নাটকীয়তার পর ইমরান খানকে হটিয়ে বিরোধী শিবির এখন ক্ষমতার মসনদে।

পাকিস্তানের রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, শাহবাজ শরিফ নতুন সরকার গঠন করলেও সামনে তার কঠিন সময়। বিশেষ করে অর্থনৈতিক সঙ্কট ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে নতুন সরকারকে।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমির জিয়া পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে বলেছেন, নতুন সরকারকে সবার আগে অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দিতে হবে। কারণ বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না। রুপির মান কমে গেছে। প্রতিটি খাতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। তাদের হাতে সময় অনেক কম। যেকোনো মুহূর্তে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হতে পারে।

নতুন সরকার কিছুটা পশ্চিমা ঘেঁষা হওয়ায় চীন ও রাশিয়া ইস্যুতে ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও মনে করছেন পাকিস্তানের এই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক।

আমির জিয়া আরও বলেন, একটা ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক দরকার। কিছুদিন আগে ইমরান খান রাশিয়া সফর করেছেন। সেক্ষেত্রে নতুন সরকার একেবারে রাতারাতি কোনো কিছু পরিবর্তন করতে পারবে না। আর যদি সেটা করতে চায়, তাহলে তার বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এটাও নতুন সরকারের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ।
দেশটির সাধারণ মানুষ মনে করছেন, অর্থনীতি ঢেলে সাজাতে ও বেকারত্ব দূর করতে ইমরান খান যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, নতুন সরকার তা বন্ধ করে দিলে সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা কমে যাবে নতুন সরকারের। আর সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে আগামী নির্বাচনে আবারও হয়তো ক্ষমতায় আসতে পারেন ইমরান খান।