বন্দর নগরী মারিওপোলে এক হাজারেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এমনই দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর মারিওপোলের চারদিক ঘিরে রেখে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
মস্কো থেকে এই সংক্রান্ত যে বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, মারিওপোল শহরে ৩৬তম মেরিন ব্রিগেডের এক হাজার ২৬ জন সেনাকর্মী তাদের অস্ত্র রেখে আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পণকারী সেনার মধ্যে রয়েছেন ১৬২ জন সেনা কর্মকর্তা, তার মধ্যে ৪৭ জন নারী। তার আগে দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
পূর্ব ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিওপোল ভৌগোলিক দিক থেকে রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ার সাথে অধুনা স্বাধীনতা ঘোষণা করা দনেৎস্ক ও লুহানস্ক এলাকাকে (ডনবাস এলাকা) যুক্ত করতে চায় মস্কো। এই সংযোগসাধনের জন্য প্রয়োজন বন্দর শহর মারিওপোলে দখল কায়েম করা। সেই কারণেই মারিওপোল রাশিয়ার কাছে এতো গুরুত্বপূর্ণ।
বস্তুত, এই শহর দখল লড়াইয়ে ইতোমধ্যেই হাজারের উপর সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ইউক্রেনের দাবি।
এদিকে মারিওপোলে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে ফের মুখ খুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) তিনি বলেছেন, মারিওপোলে রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে কি না, তা প্রমাণ করা সহজ নয়। কারণ গোটা শহরটি কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রমাণ বের করা শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব।
-আনন্দবাজার পত্রিকা ও ডয়চে ভেলে