শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড় ধরনের হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কিত নিউইয়র্কবাসী

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে বড় ধরনের হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিসহ নিউইয়র্কবাসী। সাম্প্রতিককালে নিউ ইয়র্কে গুলিবর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির রাস্তাঘাটে চলাচলে ভয় করেছেন সাধারন মানুষ।। সিটিকে সচল রাখার অন্যতম যে বাহন সেই পাতাল ট্রেন এখন আতঙ্কের আরেক নাম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
গত বুধবার নিউ ইয়র্কের ইষ্ট ভিলেজ এলাকা থেকে পুলিশ পাতাল ট্রেনে হামলাকারী ফ্র্যাঙ্ক জেমস (৬১)কে গ্রেপ্তার ও বিপুল সংখ্যক বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের পর নিউ ইয়র্কে বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা করেছে পুলিশ।
২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত শহরে ২৯৬টি গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কমিশনার কীচ্যান্ট এল সিওয়েল অবশ্য রাস্তায় গুলিবর্ষণের ঘটনাগুলোতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন এবং তাতে যে গুলিবর্ষণ কমেছে, তা নয় বরং গত মঙ্গলবার ব্রুকলিন সাবওয়ে স্টেশনে এলোপাতাড়ি গুলিতে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৯ ব্যক্তিকে আহত করার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে যে অপরাধে সংখ্যা ও ব্যাপকতা বেড়েই চলেছে। করোনা ভাইরাস মহামারী চলাকালে সব ক্ষেত্রে স্থবিরতা বিরাজ করা সত্বেও অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করেছিল যে মহামারীর অবস্থা কেটে যাওয়ার সঙ্গে অপরাধ হ্রাস পাবে। কিন্তু এর বিপরীতটাই ঘটেছে।
পুলিশ কমিশনার নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে অপরাধ দমন করার লক্ষ্যে সকল সম্পদ ও সুযোগ কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি দাবী করেছেন যে, গত তিন মাসে পুলিশ চার হাজার সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে, যা গত বছরের গ্রেফতার সংখ্যার দ্বিগুণের বেশি। কিন্তু তার বক্তব্য দেওয়ার ক’দিন পরই দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ে ব্রঙঙ্কসে এক পথচারি বৃদ্ধা গুলিবিব্ধ হয়ে নিহত হয়। ব্রুকলিনে গুলিতে নিহত হয় ১২ বছর বয়স্ক এক বালক। ব্রুকলিনের ডে-কেয়ারে তিন বছর বয়সী এক শিশুও গুলিবিদ্ধ হয়। এসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়ার কোনো কারণ নেই। সিটিতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারকারীর সংখ্যা সম্পর্কে পুলিশের কোনো ধারণা নেই। কারণ আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করা অপরাধীদের জন্য কোনো সমস্যা নয়।
গত তিন মাসে চুরি ও ডাকাতির ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ সিটিতে হত্যাকাণ্ড হ্রাস পাওয়ার যে দাবী করছে নিউইয়র্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বড় সিটিতে সংঘটিত হত্যাকান্ডের তুলনা প্রদর্শন করা হয়। এতে বলা হয়, নিউইয়র্কের চেয়ে অনেক কম জনসংখ্যা অর্থ্যাৎ মাত্র ২৩ লাখ লোকর শহর টেক্সাসের হিউস্টনে গত বছর নিহত হয়েছে ৪৭৩ টি হত্যাকাণ্ড, আর হিউস্টনের চেয়ে প্রায় চারগুণ অধিক অর্থ্যাৎ ৯০ লাখের অধিক জনসংখ্যার নিউইয়র্কে হিউস্টনের সংখ্যার চেয়ে ম্রাত্র ১৫টি বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিউইয়র্ক সিটি থেকে মাত্র ৯০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত পেনসিলভেনিয়া স্টেটে মাত্র ১৫ লাখ লোকসংখ্যা অধ্যুষিত ফিলাডেলফিয়া সিটিতে গত বছর নিহত হয়েছে ৫৫৯ জন লোক। নব্বইয়ের দশকে এক বছরে ২ হাজারেরও বেশি লোক গুলিতে নিহত হয়েছিল বলে জানা যায়।

ইসরায়েল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আক্রমণ’ও চালায়,তার জবাব হবে কঠোর-ইরানের প্রেসিডেন্ট

বড় ধরনের হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কিত নিউইয়র্কবাসী

প্রকাশের সময় : ০৬:০২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে বড় ধরনের হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিসহ নিউইয়র্কবাসী। সাম্প্রতিককালে নিউ ইয়র্কে গুলিবর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির রাস্তাঘাটে চলাচলে ভয় করেছেন সাধারন মানুষ।। সিটিকে সচল রাখার অন্যতম যে বাহন সেই পাতাল ট্রেন এখন আতঙ্কের আরেক নাম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
গত বুধবার নিউ ইয়র্কের ইষ্ট ভিলেজ এলাকা থেকে পুলিশ পাতাল ট্রেনে হামলাকারী ফ্র্যাঙ্ক জেমস (৬১)কে গ্রেপ্তার ও বিপুল সংখ্যক বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের পর নিউ ইয়র্কে বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা করেছে পুলিশ।
২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত শহরে ২৯৬টি গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কমিশনার কীচ্যান্ট এল সিওয়েল অবশ্য রাস্তায় গুলিবর্ষণের ঘটনাগুলোতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন এবং তাতে যে গুলিবর্ষণ কমেছে, তা নয় বরং গত মঙ্গলবার ব্রুকলিন সাবওয়ে স্টেশনে এলোপাতাড়ি গুলিতে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৯ ব্যক্তিকে আহত করার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে যে অপরাধে সংখ্যা ও ব্যাপকতা বেড়েই চলেছে। করোনা ভাইরাস মহামারী চলাকালে সব ক্ষেত্রে স্থবিরতা বিরাজ করা সত্বেও অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করেছিল যে মহামারীর অবস্থা কেটে যাওয়ার সঙ্গে অপরাধ হ্রাস পাবে। কিন্তু এর বিপরীতটাই ঘটেছে।
পুলিশ কমিশনার নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে অপরাধ দমন করার লক্ষ্যে সকল সম্পদ ও সুযোগ কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি দাবী করেছেন যে, গত তিন মাসে পুলিশ চার হাজার সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে, যা গত বছরের গ্রেফতার সংখ্যার দ্বিগুণের বেশি। কিন্তু তার বক্তব্য দেওয়ার ক’দিন পরই দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ে ব্রঙঙ্কসে এক পথচারি বৃদ্ধা গুলিবিব্ধ হয়ে নিহত হয়। ব্রুকলিনে গুলিতে নিহত হয় ১২ বছর বয়স্ক এক বালক। ব্রুকলিনের ডে-কেয়ারে তিন বছর বয়সী এক শিশুও গুলিবিদ্ধ হয়। এসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়ার কোনো কারণ নেই। সিটিতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারকারীর সংখ্যা সম্পর্কে পুলিশের কোনো ধারণা নেই। কারণ আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করা অপরাধীদের জন্য কোনো সমস্যা নয়।
গত তিন মাসে চুরি ও ডাকাতির ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ সিটিতে হত্যাকাণ্ড হ্রাস পাওয়ার যে দাবী করছে নিউইয়র্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বড় সিটিতে সংঘটিত হত্যাকান্ডের তুলনা প্রদর্শন করা হয়। এতে বলা হয়, নিউইয়র্কের চেয়ে অনেক কম জনসংখ্যা অর্থ্যাৎ মাত্র ২৩ লাখ লোকর শহর টেক্সাসের হিউস্টনে গত বছর নিহত হয়েছে ৪৭৩ টি হত্যাকাণ্ড, আর হিউস্টনের চেয়ে প্রায় চারগুণ অধিক অর্থ্যাৎ ৯০ লাখের অধিক জনসংখ্যার নিউইয়র্কে হিউস্টনের সংখ্যার চেয়ে ম্রাত্র ১৫টি বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিউইয়র্ক সিটি থেকে মাত্র ৯০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত পেনসিলভেনিয়া স্টেটে মাত্র ১৫ লাখ লোকসংখ্যা অধ্যুষিত ফিলাডেলফিয়া সিটিতে গত বছর নিহত হয়েছে ৫৫৯ জন লোক। নব্বইয়ের দশকে এক বছরে ২ হাজারেরও বেশি লোক গুলিতে নিহত হয়েছিল বলে জানা যায়।