শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোস্টনের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে নিউ ইয়র্ক কনসাল জেনারেলের আলোচনা

নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে অবস্থিত টাফটস ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অব ল’ এন্ড ডিপ্লোম্যাসি-র শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে এক বৈঠক করেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) উক্ত বৈঠকে ফ্লেচার স্কুলের ডিনের উপদেষ্টা জেরার্ড শিহান, অধ্যাপক আলনূর ইব্রাহিম, ভর্তি ও বৃত্তি শাখার পরিচালক ড্যানিয়েল বার্ডসাল, নির্বাহী শিক্ষা বিভাগের জেষ্ঠ্য পরিচালক হিলারি প্রাইস এবং সহযোগী পরিচালক জেনি স্ট্র্যাকোভস্কি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বর্তমানে ফ্লেচার স্কুলে অধ্যয়নরত বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন । মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
স্বাগত বক্তব্যে ডীনের উপদেষ্টা জেরার্ড শিহান ১৯৫৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ফ্লেচার স্কুলে ‘লিডারশীপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে’ অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা কর্তৃক ফ্লেচার স্কুলে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জনের কথা উল্লেখ করেন। ফ্লেচার স্কুল বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় গর্বিত এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলেতিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির কথা উল্লেখ করেন এবং এ সম্পর্কেরঅগ্রযাত্রায়ফ্লেচার স্কুলের ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নেবাংলাদেশী ফ্লেচার গ্রাজুয়েটদের অবদান উল্লেখ করে, কনসাল জেনারেল ভবিষ্যত সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উপর জোর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিগণের অংশগ্রহণে একটি সেমিনার উভয়পক্ষেরসুবিধাজনক সময়ে আয়োজনের ব্যাপারে ফ্লেচার কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সাড়া প্রদান করে। উক্ত সেমিনারে গত ৫০ বছরে দু’দেশের সম্পর্কের ধারাবাহিকতা এবং আগামী ৫০ বছরের অগ্রযাত্রার রূপরেখার উপর আলোকপাত করা যেতে পারে বলে মত প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, শিক্ষা, গবেষণা এবংতথ্য আদান-প্রদানের ব্যাপারে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমী ও ফ্লেচার স্কুলের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহের নানা দিক নিয়েবৈঠকে আলোচনা হয়।

এরপরে, কনসাল জেনারেল ফ্লেচারে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আয়োজনে “এশিয়া-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভূ-রাজনীতি ও যোগাযোগ” শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণকরেন। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্ব ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে, আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কূটনীতিকদের ভূমিকা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা করেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবের মধ্য দিয়ে এক প্রাণবন্ত আলোচনা সম্পন্ন হয়। শেষে, কনসাল জেনারেল ফ্লেচার স্কুলের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং এর কার্যাবলী সম্পর্কে অবহিত হন। ফ্লেচার স্কুলে কনসাল জেনারেলের সফর ও বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দেশের শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত সহযোগিতা আরো শক্তিশালী ও প্রসারিত হবে বলে আশা করা যায়।

বার্তা/এন

বোস্টনের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে নিউ ইয়র্ক কনসাল জেনারেলের আলোচনা

প্রকাশের সময় : ০৪:১৬:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২২

নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে অবস্থিত টাফটস ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অব ল’ এন্ড ডিপ্লোম্যাসি-র শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে এক বৈঠক করেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) উক্ত বৈঠকে ফ্লেচার স্কুলের ডিনের উপদেষ্টা জেরার্ড শিহান, অধ্যাপক আলনূর ইব্রাহিম, ভর্তি ও বৃত্তি শাখার পরিচালক ড্যানিয়েল বার্ডসাল, নির্বাহী শিক্ষা বিভাগের জেষ্ঠ্য পরিচালক হিলারি প্রাইস এবং সহযোগী পরিচালক জেনি স্ট্র্যাকোভস্কি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বর্তমানে ফ্লেচার স্কুলে অধ্যয়নরত বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন । মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
স্বাগত বক্তব্যে ডীনের উপদেষ্টা জেরার্ড শিহান ১৯৫৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ফ্লেচার স্কুলে ‘লিডারশীপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে’ অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা কর্তৃক ফ্লেচার স্কুলে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জনের কথা উল্লেখ করেন। ফ্লেচার স্কুল বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় গর্বিত এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলেতিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির কথা উল্লেখ করেন এবং এ সম্পর্কেরঅগ্রযাত্রায়ফ্লেচার স্কুলের ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নেবাংলাদেশী ফ্লেচার গ্রাজুয়েটদের অবদান উল্লেখ করে, কনসাল জেনারেল ভবিষ্যত সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উপর জোর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিগণের অংশগ্রহণে একটি সেমিনার উভয়পক্ষেরসুবিধাজনক সময়ে আয়োজনের ব্যাপারে ফ্লেচার কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সাড়া প্রদান করে। উক্ত সেমিনারে গত ৫০ বছরে দু’দেশের সম্পর্কের ধারাবাহিকতা এবং আগামী ৫০ বছরের অগ্রযাত্রার রূপরেখার উপর আলোকপাত করা যেতে পারে বলে মত প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, শিক্ষা, গবেষণা এবংতথ্য আদান-প্রদানের ব্যাপারে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমী ও ফ্লেচার স্কুলের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহের নানা দিক নিয়েবৈঠকে আলোচনা হয়।

এরপরে, কনসাল জেনারেল ফ্লেচারে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আয়োজনে “এশিয়া-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভূ-রাজনীতি ও যোগাযোগ” শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণকরেন। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্ব ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে, আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কূটনীতিকদের ভূমিকা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা করেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবের মধ্য দিয়ে এক প্রাণবন্ত আলোচনা সম্পন্ন হয়। শেষে, কনসাল জেনারেল ফ্লেচার স্কুলের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং এর কার্যাবলী সম্পর্কে অবহিত হন। ফ্লেচার স্কুলে কনসাল জেনারেলের সফর ও বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দেশের শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত সহযোগিতা আরো শক্তিশালী ও প্রসারিত হবে বলে আশা করা যায়।

বার্তা/এন