শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিত্রনায়ক সোহেল হত্যা: ট্রাইব্যুনালেও আশীষ রায়ের জামিন নামঞ্জুর

ছবি-সংগৃহীত

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ট্রাইব্যুনালেও জামিন পাননি।

রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাকির হোসেন তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১০ এপ্রিল ঢাকার মহানগর হাকিমও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আজ আশীষ রায় চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু জামিনের আবেদন করেন।

শুনানিতে আইনজীবী বলেন, আশীষ রায় চৌধুরী এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। এরপর মামলাটি দীর্ঘদিন যাবৎ হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। পরে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলেও হাইকোর্টের আদেশ যথাসময়ে ট্রাইব্যুনালে না পৌঁছানোর কারণে মামলার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। হঠাৎ করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলার কার্যক্রম শুরু হলেও সেটা জানতেন না। ট্রাইব্যুনাল এ পর্যায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে আশীষ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। যেহেতু তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন, সেহেতু তিনি জামিন পেতে পারেন।

ট্রাইব্যুনাল বলেন, এই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় আশীষ চৌধুরী যে ঠিকানায় ছিলেন, এখন সেই ঠিকানায় নেই। তিনি ঠিকানা পরিবর্তন করে অন্যত্র থাকেন। এটা ট্রাইব্যুনালকে জানাননি কেন?

আইনজীবী বলেন, যেহেতু মামলার কার্যক্রম বন্ধ ছিল, সেহেতু সেটা কাকে জানাবেন? ট্রাইব্যুনাল বলেন, যা হোক, তিনি হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন। কাজেই তাকে জামিন দিচ্ছি না।

পরে ট্রাইব্যুনাল জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। আগামী ২৪ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

চিত্রনায়ক সোহেল হত্যা: ট্রাইব্যুনালেও আশীষ রায়ের জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ট্রাইব্যুনালেও জামিন পাননি।

রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাকির হোসেন তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১০ এপ্রিল ঢাকার মহানগর হাকিমও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আজ আশীষ রায় চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু জামিনের আবেদন করেন।

শুনানিতে আইনজীবী বলেন, আশীষ রায় চৌধুরী এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। এরপর মামলাটি দীর্ঘদিন যাবৎ হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। পরে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলেও হাইকোর্টের আদেশ যথাসময়ে ট্রাইব্যুনালে না পৌঁছানোর কারণে মামলার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। হঠাৎ করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলার কার্যক্রম শুরু হলেও সেটা জানতেন না। ট্রাইব্যুনাল এ পর্যায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে আশীষ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। যেহেতু তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন, সেহেতু তিনি জামিন পেতে পারেন।

ট্রাইব্যুনাল বলেন, এই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় আশীষ চৌধুরী যে ঠিকানায় ছিলেন, এখন সেই ঠিকানায় নেই। তিনি ঠিকানা পরিবর্তন করে অন্যত্র থাকেন। এটা ট্রাইব্যুনালকে জানাননি কেন?

আইনজীবী বলেন, যেহেতু মামলার কার্যক্রম বন্ধ ছিল, সেহেতু সেটা কাকে জানাবেন? ট্রাইব্যুনাল বলেন, যা হোক, তিনি হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন। কাজেই তাকে জামিন দিচ্ছি না।

পরে ট্রাইব্যুনাল জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। আগামী ২৪ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।