শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লাঠি দিয়ে মাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠাল ছেলে

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ছেলের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক অসহায় বৃদ্ধা মা। ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছেলে ও ছেলের বউয়ের হাতে লাঞ্চিত হন অসহায় পিতা রফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি এরশাদুল আলম।
এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ছেলে রশিদুল ইসলাম, ছেলের বউ বেবি বেগমসহ ৩ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার টিএনটি পাড়া এলাকায় বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সাথে স্ত্রীপুত্র নিয়ে একই পরিবারে বসবাস করেন রশিদুল ইসলাম। এমতাবস্থায় গতকাল সকাল ৯ টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের ঝগড়াঝাটি হয়। এর এক পর্যায়ে রশিদুল ও তার স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে বৃদ্ধা মাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে। এতে বৃদ্ধা রশিদা বেগম গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনা দেখে বাবা রফিকুল ইসলাম ঝগড়া থামাতে গিয়ে তার ছেলে ও ছেলের বউয়ের হাতে লাঞ্চিত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতা রফিকুল ইসলাম তার বৃদ্ধা স্ত্রী রশিদা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে দেন। যার রেজি নং- ১৯৩৬। এ ঘটনা ঐদিন রাতে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তার ছেলে, ছেলের বউসহ ৩ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এবিষয়ে কথা হলে রফিকুল ইসলাম বলেন, রশিদুল ইসলাম তার বউসহ প্রায়ই তাদেরকে মারধোর করেন। রশিদুলের এক ছেলে সেনাবাহিনী ও এক মেয়ে পুলিশে চাকরি করে আর সেই ক্ষমতা ও টাকার জোরে তারা কাউকেই মানেনা। ছেলে ও ছেলের বউয়ের উপযুক্ত বিচার চান অসহায় পিতা রফিকুল ইসলাম।
রশিদুলের স্ত্রী বেবি বেগম শশুর শাশুড়িকে মারধোরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার শশুরই তাকে মারধোর করেছে।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি এরশাদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লাঠি দিয়ে মাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠাল ছেলে

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ছেলের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক অসহায় বৃদ্ধা মা। ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছেলে ও ছেলের বউয়ের হাতে লাঞ্চিত হন অসহায় পিতা রফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি এরশাদুল আলম।
এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ছেলে রশিদুল ইসলাম, ছেলের বউ বেবি বেগমসহ ৩ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার টিএনটি পাড়া এলাকায় বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সাথে স্ত্রীপুত্র নিয়ে একই পরিবারে বসবাস করেন রশিদুল ইসলাম। এমতাবস্থায় গতকাল সকাল ৯ টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের ঝগড়াঝাটি হয়। এর এক পর্যায়ে রশিদুল ও তার স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে বৃদ্ধা মাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে। এতে বৃদ্ধা রশিদা বেগম গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনা দেখে বাবা রফিকুল ইসলাম ঝগড়া থামাতে গিয়ে তার ছেলে ও ছেলের বউয়ের হাতে লাঞ্চিত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতা রফিকুল ইসলাম তার বৃদ্ধা স্ত্রী রশিদা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে দেন। যার রেজি নং- ১৯৩৬। এ ঘটনা ঐদিন রাতে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তার ছেলে, ছেলের বউসহ ৩ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এবিষয়ে কথা হলে রফিকুল ইসলাম বলেন, রশিদুল ইসলাম তার বউসহ প্রায়ই তাদেরকে মারধোর করেন। রশিদুলের এক ছেলে সেনাবাহিনী ও এক মেয়ে পুলিশে চাকরি করে আর সেই ক্ষমতা ও টাকার জোরে তারা কাউকেই মানেনা। ছেলে ও ছেলের বউয়ের উপযুক্ত বিচার চান অসহায় পিতা রফিকুল ইসলাম।
রশিদুলের স্ত্রী বেবি বেগম শশুর শাশুড়িকে মারধোরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার শশুরই তাকে মারধোর করেছে।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি এরশাদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।