রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

ঠাকুরগাঁওয়ে চঞ্চল্যকর কৃষক মোজাম্মেল হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত, সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, রানীশংকৈল উপজেলার বলাঞ্চা গ্রামের কমির উদ্দীনের ছেলে নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী ও বদির উদ্দীনের ছেলে সেকেন্দার আলী। উপজেলার চন্দন চৌহাট গ্রামের কতিব উদ্দীনের ছেলে আব্দুল জলিল, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর বালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কোফিল উদ্দীন। এসময় প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন আদালত।
সিকেন্দার আলী ও নজরুল আলী নামে সাজাপ্রাপ্ত আরো দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খলিলুর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন ও মজিবর রহমানকে খালাস দিয়েছে আদালত।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি আব্দুল হামিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবি আব্দুল হামিদ বলেন, ১২ বছর আগে অর্থাৎ ১৪ মার্চ ২০১০ সালে ভুট্টা ক্ষেতে এক‌টি মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া গেলে বালিয়াডাঙ্গি থানার এস আই মো. আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন। যার তদন্তভার একই থানার অপর এস আই মো. আতিকুল ইসলাম এর উপর অর্পিত হলে তিনি সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামির বর্ণনা মতে এক‌টি ইট ভাটা হতে এক‌টি মস্তকের কঙ্কাল উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার এস আই ফরহাদ আলীর উপর অর্পিত হলে তিনি ৮ জনকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে জেলা সিআইডি’র পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক মামলাটির অধিকতর তদন্ত করে ৮ জনকে প্রাথমিকভাবে দোষী করে পুনঃচার্জশিট দাখিল করেন।
তদন্তকালে আসামি মো. ইউনুস আলী, মো. আব্দুল জলিল ও মো. কফিল উদ্দীন ত্রয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
জনপ্রিয়

ঠাকুরগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ১১:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ে চঞ্চল্যকর কৃষক মোজাম্মেল হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত, সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, রানীশংকৈল উপজেলার বলাঞ্চা গ্রামের কমির উদ্দীনের ছেলে নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী ও বদির উদ্দীনের ছেলে সেকেন্দার আলী। উপজেলার চন্দন চৌহাট গ্রামের কতিব উদ্দীনের ছেলে আব্দুল জলিল, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর বালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কোফিল উদ্দীন। এসময় প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন আদালত।
সিকেন্দার আলী ও নজরুল আলী নামে সাজাপ্রাপ্ত আরো দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খলিলুর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন ও মজিবর রহমানকে খালাস দিয়েছে আদালত।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি আব্দুল হামিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবি আব্দুল হামিদ বলেন, ১২ বছর আগে অর্থাৎ ১৪ মার্চ ২০১০ সালে ভুট্টা ক্ষেতে এক‌টি মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া গেলে বালিয়াডাঙ্গি থানার এস আই মো. আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন। যার তদন্তভার একই থানার অপর এস আই মো. আতিকুল ইসলাম এর উপর অর্পিত হলে তিনি সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামির বর্ণনা মতে এক‌টি ইট ভাটা হতে এক‌টি মস্তকের কঙ্কাল উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার এস আই ফরহাদ আলীর উপর অর্পিত হলে তিনি ৮ জনকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে জেলা সিআইডি’র পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক মামলাটির অধিকতর তদন্ত করে ৮ জনকে প্রাথমিকভাবে দোষী করে পুনঃচার্জশিট দাখিল করেন।
তদন্তকালে আসামি মো. ইউনুস আলী, মো. আব্দুল জলিল ও মো. কফিল উদ্দীন ত্রয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।