শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এবার পুতিনের দুই মেয়ের ওপর কানাডার নিষেধাজ্ঞা

ছবি-সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা।

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের জেরেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কানাডা সরকার। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও তার স্ত্রীও।

এ নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের কেউই কানাডায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এ বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ইউক্রেনের যা যা ঘটছে তা আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছি। এর আগে পুতিনের দুই মেয়ে মারিয়া ভরোন্তসোভা ও ক্যাটেরিনা তিখোনোভার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে রুশ বাহিনী। মস্কো রীতিমতো ঘোষণা দিয়েই নতুন করে সামরিক অভিযানের কথা জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই পুতিনের মেয়েদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। একই সঙ্গে ইউক্রেনে ভারী অস্ত্র পাঠানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। বুধবার (২০ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

নতুন করে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র পাঠানোর প্রসঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে কানাডা। ইউক্রেনীয়রা বীরের মতো লড়াই করছে। আমাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে সামনে আরও বিস্তারিত জানাব।’

চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য সম্প্রতি অস্ত্র এবং অন্যান্য সহায়তাও পাঠিয়েছে কানাডা সরকার। যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দেশটি।

অন্যদিকে ইউক্রেনে অভিযানরত রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে জার্মানির কাছ থেকে ফাইটার হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া ট্যাংক ও যুদ্ধজাহাজসহ ভারী অস্ত্র সহায়তার আবেদন অবশেষে রাখতে যাচ্ছে জার্মানি।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বার্লিনে সাংবাদিকদের জানান, সরাসরি জার্মান সেনাবাহিনীর মজুত থেকে নয় বরং অস্ত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অনুরোধ রক্ষা করা হবে। আর সে কারণেই অস্ত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থ সহায়তারও পরিকল্পনার কথা জানান শলজ।

জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, আমরা দেশের অস্ত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইতোমধ্যে জানিয়েছি কী ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করতে হবে এবং কত টাকার মধ্যে তৈরি করতে হবে। অস্ত্র তৈরিতে কী ধরনের উপাদান লাগতে পারে জানাতে বলেছি।

তবে সবার আগে ট্যাংক বিধ্বংসী গোলাবারুদ, গুলি ও যুদ্ধবিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ইউক্রেনে সরাসরি ভারী অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে চ্যান্সেলর শলজ পরিস্কার কিছু না জানালেও, দেশটির সহায়তায় সম্ভাব্য সবকিছু করার ঘোষণা দেন তিনি।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

এবার পুতিনের দুই মেয়ের ওপর কানাডার নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশের সময় : ০১:৩১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা।

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের জেরেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কানাডা সরকার। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও তার স্ত্রীও।

এ নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের কেউই কানাডায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এ বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ইউক্রেনের যা যা ঘটছে তা আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছি। এর আগে পুতিনের দুই মেয়ে মারিয়া ভরোন্তসোভা ও ক্যাটেরিনা তিখোনোভার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে রুশ বাহিনী। মস্কো রীতিমতো ঘোষণা দিয়েই নতুন করে সামরিক অভিযানের কথা জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই পুতিনের মেয়েদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। একই সঙ্গে ইউক্রেনে ভারী অস্ত্র পাঠানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। বুধবার (২০ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

নতুন করে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র পাঠানোর প্রসঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে কানাডা। ইউক্রেনীয়রা বীরের মতো লড়াই করছে। আমাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে সামনে আরও বিস্তারিত জানাব।’

চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য সম্প্রতি অস্ত্র এবং অন্যান্য সহায়তাও পাঠিয়েছে কানাডা সরকার। যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দেশটি।

অন্যদিকে ইউক্রেনে অভিযানরত রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে জার্মানির কাছ থেকে ফাইটার হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া ট্যাংক ও যুদ্ধজাহাজসহ ভারী অস্ত্র সহায়তার আবেদন অবশেষে রাখতে যাচ্ছে জার্মানি।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বার্লিনে সাংবাদিকদের জানান, সরাসরি জার্মান সেনাবাহিনীর মজুত থেকে নয় বরং অস্ত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অনুরোধ রক্ষা করা হবে। আর সে কারণেই অস্ত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থ সহায়তারও পরিকল্পনার কথা জানান শলজ।

জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, আমরা দেশের অস্ত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইতোমধ্যে জানিয়েছি কী ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করতে হবে এবং কত টাকার মধ্যে তৈরি করতে হবে। অস্ত্র তৈরিতে কী ধরনের উপাদান লাগতে পারে জানাতে বলেছি।

তবে সবার আগে ট্যাংক বিধ্বংসী গোলাবারুদ, গুলি ও যুদ্ধবিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ইউক্রেনে সরাসরি ভারী অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে চ্যান্সেলর শলজ পরিস্কার কিছু না জানালেও, দেশটির সহায়তায় সম্ভাব্য সবকিছু করার ঘোষণা দেন তিনি।