বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মেঘনা সেটের প্রশ্ন সংকটে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ৩ শতাধিক প্রার্থী বঞ্চিত 

জেলায়  মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র না পাওয়ায় জেলার কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রায় তিন শতাধিক পরীক্ষার্থী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারেননি। জেলা প্রশাসকের অবহেলার কারণেই এমন হয়েছে দাবি করে পরীক্ষা কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থী।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ও সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, এবারে লালমনিরহাটে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায়-১৫ হাজার ৬০০। এ নিয়োগ পরীক্ষায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও সুরমা এ চার সেটে পরীক্ষা হওয়ার কথা। জেলার তিনটি কেন্দ্রে পদ্মা, যমুনা ও সুরমা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারলেও যারা মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারননি। কারণ ওই তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র নির্ধারিত সময়ে আসেনি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কেন্দ্রগুলোতে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র আসে।

যদিও জেলা প্রশাসক মো.আবু জাফরের নির্দশনায় পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধানরা পরে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সময়ে মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নেন। কিন্তু পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পর মেঘনা সেটের অনেক পরীক্ষার্থী কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান।

মেঘনা সেটের এ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু সংখ্য্যক পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও অধিকাংশ পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কেন্দ্র ত্যাগ করে চলে যান।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এমন অবহেলার জন্য জেলার প্রধান জেলা প্রশাসককে দায়ী করে জামসুর রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, দির্ঘদিন প্রতীক্ষার পর মনে অনেক আনন্দ নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। কিন্তু সকাল ১১টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর জানতে পারি আমার মেঘনা সেটের কোনো প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আসেনি। তাই কেন্দ্র প্রধান মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। পরে আমরা মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে বিক্ষোভ করি।

বিক্ষোভ প্রদর্শন সময়ে কেন্দ্রে যাতে কোনো রকম বিশৃংখলা বা পরীক্ষায় ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় সেজন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরই মধ্যে আদর্শ ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র প্রধান মাহবুবুল আলম মিঠু পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের সাড়ে ১২টায় তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে জানান।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, কারিগরী ত্রুটির কারণে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র না আসায় মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি। তবে নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়।

মেঘনা সেটের প্রশ্ন সংকটে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ৩ শতাধিক প্রার্থী বঞ্চিত 

প্রকাশের সময় : ০১:২৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
জেলায়  মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র না পাওয়ায় জেলার কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রায় তিন শতাধিক পরীক্ষার্থী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারেননি। জেলা প্রশাসকের অবহেলার কারণেই এমন হয়েছে দাবি করে পরীক্ষা কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থী।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ও সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, এবারে লালমনিরহাটে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায়-১৫ হাজার ৬০০। এ নিয়োগ পরীক্ষায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও সুরমা এ চার সেটে পরীক্ষা হওয়ার কথা। জেলার তিনটি কেন্দ্রে পদ্মা, যমুনা ও সুরমা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারলেও যারা মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারননি। কারণ ওই তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র নির্ধারিত সময়ে আসেনি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কেন্দ্রগুলোতে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র আসে।

যদিও জেলা প্রশাসক মো.আবু জাফরের নির্দশনায় পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধানরা পরে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সময়ে মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নেন। কিন্তু পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পর মেঘনা সেটের অনেক পরীক্ষার্থী কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান।

মেঘনা সেটের এ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু সংখ্য্যক পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও অধিকাংশ পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কেন্দ্র ত্যাগ করে চলে যান।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এমন অবহেলার জন্য জেলার প্রধান জেলা প্রশাসককে দায়ী করে জামসুর রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, দির্ঘদিন প্রতীক্ষার পর মনে অনেক আনন্দ নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। কিন্তু সকাল ১১টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর জানতে পারি আমার মেঘনা সেটের কোনো প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আসেনি। তাই কেন্দ্র প্রধান মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। পরে আমরা মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে বিক্ষোভ করি।

বিক্ষোভ প্রদর্শন সময়ে কেন্দ্রে যাতে কোনো রকম বিশৃংখলা বা পরীক্ষায় ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় সেজন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরই মধ্যে আদর্শ ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র প্রধান মাহবুবুল আলম মিঠু পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের সাড়ে ১২টায় তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে জানান।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, কারিগরী ত্রুটির কারণে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র না আসায় মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি। তবে নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়।