মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাশের দেশে করোনা বাড়ছে, আমাদেরও বাড়তে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি-সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পাশের দেশ ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।

আজ রবিবার (২৪ এপ্রিল) মহাখালী জাতীয় নিপসম অডিটোরিয়ামে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, এখন দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। মৃতু শূন্যে পৌঁছেছে। সংক্রমণ নেই বললেই চলে। যারা করোনার টিকা নিতে চান না, তারাই বাকি আছে। আর সবাই টিকা নিয়েছে। সবাইকে সময়মতো টিকা দেয়া হয়েছে। তবে পাশের দেশে করোনা বাড়ছে।তিনি। এজন্য প্রত্যেককে সচেতন হবে।

তিনি বলেন, দেশে এতোদিন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল বলেই কোনো ধরনের খাদ্যের অভাব হয়নি। আমাদের মাথাপিছু আয় সচল আছে। সংক্রমণ নাই বললেই চলে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি সহযোগিতা করেছেন, যেন সবাই টিকা পায়।

মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের টার্গেট করা জনসংখ্যার শতভাগ মানুষকে টিকা দিয়েছি। শুধুমাত্র যারা টিকা নিতে চায় না, তারাই টিকা নেওয়া বাকি আছে। বাকি সবাইকেই আমরা টিকা দিয়েছি। সঠিক সময়ে টিকা আনতে পেরেছি। সবাইকে সময়মতো টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি।

গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য বিভাগে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের উন্নতি হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পুষ্টি সেবার উন্নয়ন হয়েছে। এগুলো সব প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার ফসল।

তিনি বলেন, সুস্থ থাকতে হলে ভালো খাবার প্রয়োজন। পরিমিত খাবার খেতে হবে। পুষ্টি সেবার উন্নয়নও হয়েছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে উন্নয়ন হয়েছে। লবণ, অতিরিক্ত তেল খাওয়া যাবে না। এখন সংক্রমণ ব্যধি নিয়ন্ত্রণে আছে। গড় আয়ু বেড়েছে। তবে অসংক্রামক ব্যধি বেড়ে যাচ্ছে। এর পেছনে খাদ্যাভাস ভূমিকা রাখে। এজন্য ভালো, পুষ্টিকর ও পরিমিত খাবার খেতে হবে।

কোনো দেশে খাবারের দাম বেশি থাকলে সমস্যা হয় উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন মানুষ খাবার কিনতে পারে। সবাই ক্যালরি বেশি গ্রহণ করে। দেশের মানুষ না খেয়ে থাকে না। খাদ্যের অভাব নাই। দেশে উৎপাদন যাতে ঠিকমতো হয়, তা নজরে রাখতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখন অনেকে মুটিয়ে যাচ্ছেন যা খারাপ, ব্যালেন্স খাবার খাওয়া জরুরি। স্কুলে ফিডিং কার্যক্রম বাড়ানো উচিত। বেশি করে ফলমূল, সবজি বেশি করে খাবেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং জাতীয় পুষ্টি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ডা. জুবাইদা নাসরীন প্রমুখ।

জনপ্রিয়

পাশের দেশে করোনা বাড়ছে, আমাদেরও বাড়তে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পাশের দেশ ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।

আজ রবিবার (২৪ এপ্রিল) মহাখালী জাতীয় নিপসম অডিটোরিয়ামে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, এখন দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। মৃতু শূন্যে পৌঁছেছে। সংক্রমণ নেই বললেই চলে। যারা করোনার টিকা নিতে চান না, তারাই বাকি আছে। আর সবাই টিকা নিয়েছে। সবাইকে সময়মতো টিকা দেয়া হয়েছে। তবে পাশের দেশে করোনা বাড়ছে।তিনি। এজন্য প্রত্যেককে সচেতন হবে।

তিনি বলেন, দেশে এতোদিন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল বলেই কোনো ধরনের খাদ্যের অভাব হয়নি। আমাদের মাথাপিছু আয় সচল আছে। সংক্রমণ নাই বললেই চলে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি সহযোগিতা করেছেন, যেন সবাই টিকা পায়।

মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের টার্গেট করা জনসংখ্যার শতভাগ মানুষকে টিকা দিয়েছি। শুধুমাত্র যারা টিকা নিতে চায় না, তারাই টিকা নেওয়া বাকি আছে। বাকি সবাইকেই আমরা টিকা দিয়েছি। সঠিক সময়ে টিকা আনতে পেরেছি। সবাইকে সময়মতো টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি।

গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য বিভাগে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের উন্নতি হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পুষ্টি সেবার উন্নয়ন হয়েছে। এগুলো সব প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার ফসল।

তিনি বলেন, সুস্থ থাকতে হলে ভালো খাবার প্রয়োজন। পরিমিত খাবার খেতে হবে। পুষ্টি সেবার উন্নয়নও হয়েছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে উন্নয়ন হয়েছে। লবণ, অতিরিক্ত তেল খাওয়া যাবে না। এখন সংক্রমণ ব্যধি নিয়ন্ত্রণে আছে। গড় আয়ু বেড়েছে। তবে অসংক্রামক ব্যধি বেড়ে যাচ্ছে। এর পেছনে খাদ্যাভাস ভূমিকা রাখে। এজন্য ভালো, পুষ্টিকর ও পরিমিত খাবার খেতে হবে।

কোনো দেশে খাবারের দাম বেশি থাকলে সমস্যা হয় উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন মানুষ খাবার কিনতে পারে। সবাই ক্যালরি বেশি গ্রহণ করে। দেশের মানুষ না খেয়ে থাকে না। খাদ্যের অভাব নাই। দেশে উৎপাদন যাতে ঠিকমতো হয়, তা নজরে রাখতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখন অনেকে মুটিয়ে যাচ্ছেন যা খারাপ, ব্যালেন্স খাবার খাওয়া জরুরি। স্কুলে ফিডিং কার্যক্রম বাড়ানো উচিত। বেশি করে ফলমূল, সবজি বেশি করে খাবেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং জাতীয় পুষ্টি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ডা. জুবাইদা নাসরীন প্রমুখ।