দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ৫কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের তৈরী হয়েছে। ফলে তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছে চালক ও যাত্রীরা।
ঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে ১৮টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় ও আরেকটি ছোট ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতীতে মেরামতে রয়েছে। বাকি ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঈদের আগে ও পরে ১০দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে এরুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সিরিয়ালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে যাত্রীবাহী পরিবহন ও পচনশীল পণ্যবাহী যান অগ্রাধিকার দিয়ে পার করা হচ্ছে।
সরেজমিনে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার এলাকায যাত্রীবাহী পরিবহন, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
ফরিদপুর থেকে আসা ঢাকাগামি যাত্রবাহী পরিবহন চালক মনিরুল ইসলাম বলেন, সকাল ১১টায় ফেরি ঘাটের আগেই সিরিয়ালে আটকে পড়ি। এখন বিকেল ৪ টা বাজলেও ফেরির নাগাল পাইনি। আরো দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগতে পারে ফেরি পেতে। এমনিতে যানজট এরমধ্যে গরমে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে গেছে। কিছু যাত্রী বাস থেকে নেমে চলে গেছে। অন্য যারা আছে তীব্র গরমে হাঁপিয়ে উঠছেন। এভাবে চললে গাড়িতে যাত্রী পাওয়া যাবেনা। তিনি আরো জানান, এখনি এই অবস্থা সামনে ঈদের যাত্রী ছুটলে ঘাটে দুর্ভোগের মাত্রা অনেক বেশি হবে।

ঝিনাইদাহ থেকে আসা ট্রাক চালক ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রায় ১৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো ফেরির দেখা পাইনি। গরম এবং গাড়ির ইন্জিনের তাপে আর সহ্য হচ্ছে না। একটু পরপর গাড়ি টানতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্য চৌহান বলেন, ঈদের আগে ৫দিন ও ঈদের পরে ৫ দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক বন্ধ থাকবে। বর্তমানে এ নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।