শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিংগাইরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ৫৪ পরিবার পেলেন জমিসহ ঘর

আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর তৃতীয় পর্যায়ে সারাদেশে ৩২ হাজার ৯০৪ টি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার জমিসহ ঘর প্রদানের অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় ৫৪ টি পরিবারকে জমির দলিল ও ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবণ থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের পর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সিংগাইর সরকারি কলেজ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথের সভাপতিত্বে ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাম্মা লাবিবা অর্ণবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, সিংগাইর উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক হাজ্বী আব্দুল মাজেদ খান, ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপকারভোগী দিপালী সরকার, আব্দুল কাদের এবং আব্দুর রাজ্জাক প্রমূখ।
এ সময় উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জমির দলিল ও ঘরের চাবি পাওয়া ধল্লা ইউনিয়নের কামুড়া গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাগো মা। বিদ্যুৎ ও পানি সুবিধাসহ মায়ের দেয়া জমি ও ঘর আমাগো ভিতর আলো জ্বালাই দিছে। আল্লাহ তারে হায়াত দান করুক।
খাসেরচর গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধি শাহেলা খাতুন বলেন, সারাজীবন অন্যের বাড়িতে থাকছি। শেখ হাসিনার দেয়া উপহার জমি ও ঘর আমারে নিজের ঠিকানা দিয়েছে। এ অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই বলেও তিনি জানান। জলিল ও শাহেলার মতো প্রতিটি উপকারভোগীর চোখ ও মুখে ছিল আনন্দের বন্যা।
উল্লেখ্য, উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ড নগর মৌজায় সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ তৃতীয় পর্যায়ে ৯৪টি ঘরের মধ্যে ৫৪টি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়। এর আগে চান্দহর ইউনিয়নের চরচামটা মৌজায় প্রথম পর্যায়ের ১২টি ঘর গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের ২০টি ও তৃতীয় পর্যায়ের বাকী ৪০টি ঘরের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলে জানা গেছে।

সিংগাইরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ৫৪ পরিবার পেলেন জমিসহ ঘর

প্রকাশের সময় : ১১:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২

আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর তৃতীয় পর্যায়ে সারাদেশে ৩২ হাজার ৯০৪ টি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার জমিসহ ঘর প্রদানের অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় ৫৪ টি পরিবারকে জমির দলিল ও ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবণ থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের পর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সিংগাইর সরকারি কলেজ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথের সভাপতিত্বে ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাম্মা লাবিবা অর্ণবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, সিংগাইর উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক হাজ্বী আব্দুল মাজেদ খান, ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপকারভোগী দিপালী সরকার, আব্দুল কাদের এবং আব্দুর রাজ্জাক প্রমূখ।
এ সময় উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জমির দলিল ও ঘরের চাবি পাওয়া ধল্লা ইউনিয়নের কামুড়া গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাগো মা। বিদ্যুৎ ও পানি সুবিধাসহ মায়ের দেয়া জমি ও ঘর আমাগো ভিতর আলো জ্বালাই দিছে। আল্লাহ তারে হায়াত দান করুক।
খাসেরচর গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধি শাহেলা খাতুন বলেন, সারাজীবন অন্যের বাড়িতে থাকছি। শেখ হাসিনার দেয়া উপহার জমি ও ঘর আমারে নিজের ঠিকানা দিয়েছে। এ অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই বলেও তিনি জানান। জলিল ও শাহেলার মতো প্রতিটি উপকারভোগীর চোখ ও মুখে ছিল আনন্দের বন্যা।
উল্লেখ্য, উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ড নগর মৌজায় সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ তৃতীয় পর্যায়ে ৯৪টি ঘরের মধ্যে ৫৪টি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়। এর আগে চান্দহর ইউনিয়নের চরচামটা মৌজায় প্রথম পর্যায়ের ১২টি ঘর গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের ২০টি ও তৃতীয় পর্যায়ের বাকী ৪০টি ঘরের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলে জানা গেছে।