শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতা ধরে রাখতে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর কাছে ভিক্ষা চেয়েছেন ইমরান খান

ছবি-সংগৃহীত

কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। তাকে সরিয়ে দিতে পেরে খুশি বিরোধীরা। ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই ইমরান খানকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছেন তারা। এই তালিকায় এগিয়ে আছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ।

সম্প্রতি মরিয়ম নওয়াজ বলেছেন, পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে এতটাই মরিয়া ছিলেন যে, তিনি তার সরকারকে বাঁচাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেনাবাহিনীর কাছে ভিক্ষা চেয়েছেন।

বলা হয়ে থাকে, প্রায় ৭৫ বছর ধরে পর্দার আড়াল থেকে দেশটির সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এই সাত দশকের বেশি সময় ধরে কোনো বেসামরিক সরকার পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। তার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে তাদের।

মঙ্গলবার রাতে লাহোরে এক শ্রমিক সম্মেলনে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, ইমরান খান এতটাই মরিয়া হয়েছিলেন যে, ক্ষমতায় থাকার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ভিক্ষা চেয়েছেন। এমনকি তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারিকে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য অনুরোধও করেছিলেন।

মরিয়ম বলেন, তিনি অনাস্থা ভোট থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইমরান খানের জীবনে দুর্ভোগ শুরু হয়ে গেছে। নওয়াজ শরীফ লন্ডনে বসেই ইমরান খানের সরকার শেষ করে দিয়েছেন। তার বাবা যখন লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন তখন ইমরান খানের অবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক শক্তি মাত্র সাড়ে তিন বছরেই ইমরান খানকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করেছে। ইমরান খানের জন্য ক্রিকেট খেলাই সবচেয়ে উত্তম, রাজনীতিতে তিনি সফল হবেন না বলেও উল্লেখ করেন মরিয়ম নওয়াজ।

ক্ষমতা ধরে রাখতে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর কাছে ভিক্ষা চেয়েছেন ইমরান খান

প্রকাশের সময় : ০৪:১৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। তাকে সরিয়ে দিতে পেরে খুশি বিরোধীরা। ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই ইমরান খানকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছেন তারা। এই তালিকায় এগিয়ে আছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ।

সম্প্রতি মরিয়ম নওয়াজ বলেছেন, পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে এতটাই মরিয়া ছিলেন যে, তিনি তার সরকারকে বাঁচাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেনাবাহিনীর কাছে ভিক্ষা চেয়েছেন।

বলা হয়ে থাকে, প্রায় ৭৫ বছর ধরে পর্দার আড়াল থেকে দেশটির সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এই সাত দশকের বেশি সময় ধরে কোনো বেসামরিক সরকার পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। তার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে তাদের।

মঙ্গলবার রাতে লাহোরে এক শ্রমিক সম্মেলনে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, ইমরান খান এতটাই মরিয়া হয়েছিলেন যে, ক্ষমতায় থাকার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ভিক্ষা চেয়েছেন। এমনকি তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারিকে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য অনুরোধও করেছিলেন।

মরিয়ম বলেন, তিনি অনাস্থা ভোট থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইমরান খানের জীবনে দুর্ভোগ শুরু হয়ে গেছে। নওয়াজ শরীফ লন্ডনে বসেই ইমরান খানের সরকার শেষ করে দিয়েছেন। তার বাবা যখন লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন তখন ইমরান খানের অবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক শক্তি মাত্র সাড়ে তিন বছরেই ইমরান খানকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করেছে। ইমরান খানের জন্য ক্রিকেট খেলাই সবচেয়ে উত্তম, রাজনীতিতে তিনি সফল হবেন না বলেও উল্লেখ করেন মরিয়ম নওয়াজ।