রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সদ্যপ্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।জানাজা শেষে দলের নেতাকর্মীরা এম এ মান্নানের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এম এ মান্নানের কফিনে পুস্পস্তবক অর্পন করেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন দলের নেতারা।

এরপর জানাজায় অংশ নেন বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নুল আবদিন ফারুক, শাহজাহান ওমর, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আহমেদ আজম খান, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দিন অ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ আরও অনেক নেতাকর্মী।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টায় গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এম এ মান্নানের মরদেহ নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আনা হয়।

এরপর মান্নানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গাজীপুরে। বাদ জুমা গাজীপুর জেলা রাজবাড়ি মাঠ এবং সালনা নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তার তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। অধ্যাপক মান্নান প্রথম’ ৮৪ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কাউলতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরপর চার বার তিনি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচন করে বিজয়ী হন।

তিনি ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর ও টঙ্গী) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দেশের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে এম এ মান্নান বিএনপি সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে।