শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল বন্দরে ঈদের ছুটিতে বাড়তি নিরাপত্তা 

ঈদের টানা ছুটিতে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সোমবার দুপুরে বেনাপোল বন্দর এলাকা ঘুরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি নজরদারি চোখে পড়ে। বন্দরের অভ্যন্তরে রাখা কোটি কোটি টাকার আমদানিকৃত মালামাল চুরিরোধ ও কেউ যাতে নাশকতার কোন ঘটনা না ঘটাতে পারে সেজন্য ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তার কাজ করে যাচ্ছে বন্দরের নিয়োগকৃত বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমা, আনসার ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর রাত পর্যন্ত মালামাল লোড-আনলোড হয়েছে। এর পর পরই বন্দরের শেডগুলো সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে টানা ছুটিতে বন্দরের অনেক কর্মকর্তা নিজ নিজ বাড়িতে গেছেন পরিবারের সাথে ঈদ কাটাতে। ৩০ এপ্রিল শনিবার ভারত থেকে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও বন্দরের কোন কার্যক্রম হয়নি। সেই পনগুলো রাস্তার উপর দাড়িয়ে আছে। ১ মে থেকে ৪ মে ঈদের ছুটির পর ৫ মে বন্দর খুলবে। আবার ৬ ও ৭ মে সাপ্তাহিক ছুটিতে ৭ মে শনিবার ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক আসবে বেনাপোল বন্দরে। ৮ মে রবিবার থেকে বন্দর ও কাস্টমসের সকল কায়ক্রম শুরু হবে।
 ছুটিতে বন্দরের অভ্যন্তরে ও বন্দরের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পালাক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা পাহারা দিচ্ছে বন্দরটিকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পাদন হয় এ বন্দর দিয়ে। বন্দরটিতে সব সময় প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন আমদানি পণ্য মজুদ থাকে। যার বাজারমূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। ছুটির মধ্যে সাধারণত দেখা যায় নাশকতা বা দুর্ঘটনামূলক কর্মকান্ড বন্দরে ঘটে। এজন্য এসময়টাতে নজরদারি বেশি দরকার।
বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার ব্যাটালিয়নের কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বন্দরে দেশের কয়েকশ আমদানিকারকের কোটি কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। টানা ছুটিতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ। এসময় যাতে কেউ সেখানে প্রবেশ করে পণ্যের ক্ষতি কিংবা কোনো রকম নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটাতে পারে এজন্য নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। একই কথা বলেন বন্দরের বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থা পিমার কমান্ডার শহিদুল ইসলাম।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, টানা ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে আনসার ব্যাটালিয়ন ও বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থা পিমাকে সতর্ক রাখা হয়েছে। দিনের পাশাপাশি রাতেও পুলিশের টহলদল কাজ করছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, টানা ছুটিতে যাতে বন্দরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থাকে অন্য সময়ের চেয়ে আরো বেশি নজরদারিতে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরে ঈদের ছুটিতে বাড়তি নিরাপত্তা 

প্রকাশের সময় : ১১:২১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মে ২০২২
ঈদের টানা ছুটিতে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সোমবার দুপুরে বেনাপোল বন্দর এলাকা ঘুরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি নজরদারি চোখে পড়ে। বন্দরের অভ্যন্তরে রাখা কোটি কোটি টাকার আমদানিকৃত মালামাল চুরিরোধ ও কেউ যাতে নাশকতার কোন ঘটনা না ঘটাতে পারে সেজন্য ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তার কাজ করে যাচ্ছে বন্দরের নিয়োগকৃত বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমা, আনসার ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর রাত পর্যন্ত মালামাল লোড-আনলোড হয়েছে। এর পর পরই বন্দরের শেডগুলো সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে টানা ছুটিতে বন্দরের অনেক কর্মকর্তা নিজ নিজ বাড়িতে গেছেন পরিবারের সাথে ঈদ কাটাতে। ৩০ এপ্রিল শনিবার ভারত থেকে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও বন্দরের কোন কার্যক্রম হয়নি। সেই পনগুলো রাস্তার উপর দাড়িয়ে আছে। ১ মে থেকে ৪ মে ঈদের ছুটির পর ৫ মে বন্দর খুলবে। আবার ৬ ও ৭ মে সাপ্তাহিক ছুটিতে ৭ মে শনিবার ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক আসবে বেনাপোল বন্দরে। ৮ মে রবিবার থেকে বন্দর ও কাস্টমসের সকল কায়ক্রম শুরু হবে।
 ছুটিতে বন্দরের অভ্যন্তরে ও বন্দরের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পালাক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা পাহারা দিচ্ছে বন্দরটিকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পাদন হয় এ বন্দর দিয়ে। বন্দরটিতে সব সময় প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন আমদানি পণ্য মজুদ থাকে। যার বাজারমূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। ছুটির মধ্যে সাধারণত দেখা যায় নাশকতা বা দুর্ঘটনামূলক কর্মকান্ড বন্দরে ঘটে। এজন্য এসময়টাতে নজরদারি বেশি দরকার।
বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার ব্যাটালিয়নের কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বন্দরে দেশের কয়েকশ আমদানিকারকের কোটি কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। টানা ছুটিতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ। এসময় যাতে কেউ সেখানে প্রবেশ করে পণ্যের ক্ষতি কিংবা কোনো রকম নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটাতে পারে এজন্য নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। একই কথা বলেন বন্দরের বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থা পিমার কমান্ডার শহিদুল ইসলাম।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, টানা ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে আনসার ব্যাটালিয়ন ও বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থা পিমাকে সতর্ক রাখা হয়েছে। দিনের পাশাপাশি রাতেও পুলিশের টহলদল কাজ করছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, টানা ছুটিতে যাতে বন্দরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থাকে অন্য সময়ের চেয়ে আরো বেশি নজরদারিতে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।