দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এ অবস্থায় সমুদ্র বন্দরগুলোতে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ ড. মোহাম্মদ আবুল কামাল মল্লিক রোববার (৮ মে) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
আগামী মঙ্গলবার (১১ মে) নাগাদ এটি ভারতের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। যদিও এর প্রভাব এখনো বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় পড়েনি। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলের আরও কাছাকাছি এলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাসহ সুন্দরবন, সাতক্ষীরাসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত এর গতিপথ ভারতের দিকে। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে ভারতের উপকূলসহ আশপাশের এলাকায়।
এটি শনিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হচ্ছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে নদীবন্দরের জন্য এর দেওয়া বিশেষ সতর্ক বার্তায় বলা হয়, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।