শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মৌসুমের হালকা বৃষ্টিতেই ডুবে গেছে বাকলিয়ার একাংশ

মৌসুমের শুরুতে হালকা বৃষ্টিতে প্রায় সময় পানিতে ডুবে থাকে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কে বি আমান আলী সড়কের পুলিশবিট, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র, গনি কলোনি সড়ক,খালপাড়,শান্তি নগর, সড়কের বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক। পুলিশবিট হয়ে মাজার গেইট সহ ফুলতলা,জালিয়া পাড়া, খালপাড় অংশটি হালকা বৃষ্টিতেই পানিতে ডুবে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ।
 সোমবার(৯ মে, ২০২২ ইং) এলাকার বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন করে একই চিত্র দেখা গেছে। সড়কের মাজার গেইট থেকে পুলিশবিট অংশটি হাঁটু পানিতে ডুবে আছ। পানির উপর দিয়েই বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল করছে। ভোগান্তিতে পড়ছেন ঈদে গ্রাম থেকে শহর মুখী বাসিন্দা ও বাজার, অফিসগামী জনসাধারণ।
এসময় স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকায় কলোনি ও একাধিক সড়ক ডুবে যায়। এটি যেন বর্ষার মৌসুমের আগেই নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাওয়া সময় সমস্যায় পড়তে হয়। সড়কে পানি দেখলে রিক্সা চালকরা বেশি ভাড়া দাবি করে। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হয় তাঁদের। সকালে অফিসগামী যাত্রীদের পড়তে হয় বিপাকে। ভাড়া বৃদ্ধির সাথে সাথে সময়ও লাগে বেশি। বাজারে যাওয়াসহ নিত্যনৈমিত্তিক কাজে যেতেও তাঁরা এই সব সড়ক ব্যবহার করেন। বিকল্প কোনো সড়ক নেই। তাই তাঁদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
তাঁরা আরো জানান, কাউন্সিলর আসে, কাউন্সিলর যায়। কিন্তু তাঁদের জলাবদ্ধতা সমস্যার কোনো কূল-কিনারা হয়না। সবাই আশ্বাস দিয়ে যান। তাঁরাও অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু সমস্যাতো সমাধান হয়ই-না, বরং তা আরো বাড়তে থাকে বলে হতাশা প্রকাশ করেন তাঁরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহেদুল আলম বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে যায়। একবার জমলে একসপ্তায়ও তা আর যায়না। তখন মনে হয় এটি রাস্তা নয়, খাল।’
এ বিষয়ে চসিক স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর (১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া) শহিদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘এখন শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রতিটি খালের মুখে বাঁধ দেয়া আছে। তাই পানি নামতে সময় লাগে। বাকলিয়া এলাকাটি শহরের ঢালুতে অবস্থিত বলে উঁচু এলাকার সব পানি বাকলিয়ার উপর দিয়েই কর্ণফুলীতে গড়িয়ে পড়ে। তবে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সমস্যাটা কমে আসবে।’
মেগা প্রকল্পের কাজ কখন শেষ হবে? – প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘এ প্রকল্পতো স্থানীয় কাউন্সিলরের অধীনে নয়। এ প্রকল্পের সাথে সিডিএ চেয়ারম্যান, সেনাবাহিনী এবং মেয়রসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট,আমি কিভাবে বলব?’
এই সব বিষয়ে স্থানীয় মহল্লা কমিটি, মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই দ্রুত এই সব মেগা প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত না হলে এলাকাবাসীকে এইবার ও চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

মৌসুমের হালকা বৃষ্টিতেই ডুবে গেছে বাকলিয়ার একাংশ

প্রকাশের সময় : ১২:২৪:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
মৌসুমের শুরুতে হালকা বৃষ্টিতে প্রায় সময় পানিতে ডুবে থাকে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কে বি আমান আলী সড়কের পুলিশবিট, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র, গনি কলোনি সড়ক,খালপাড়,শান্তি নগর, সড়কের বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক। পুলিশবিট হয়ে মাজার গেইট সহ ফুলতলা,জালিয়া পাড়া, খালপাড় অংশটি হালকা বৃষ্টিতেই পানিতে ডুবে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ।
 সোমবার(৯ মে, ২০২২ ইং) এলাকার বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন করে একই চিত্র দেখা গেছে। সড়কের মাজার গেইট থেকে পুলিশবিট অংশটি হাঁটু পানিতে ডুবে আছ। পানির উপর দিয়েই বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল করছে। ভোগান্তিতে পড়ছেন ঈদে গ্রাম থেকে শহর মুখী বাসিন্দা ও বাজার, অফিসগামী জনসাধারণ।
এসময় স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকায় কলোনি ও একাধিক সড়ক ডুবে যায়। এটি যেন বর্ষার মৌসুমের আগেই নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাওয়া সময় সমস্যায় পড়তে হয়। সড়কে পানি দেখলে রিক্সা চালকরা বেশি ভাড়া দাবি করে। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হয় তাঁদের। সকালে অফিসগামী যাত্রীদের পড়তে হয় বিপাকে। ভাড়া বৃদ্ধির সাথে সাথে সময়ও লাগে বেশি। বাজারে যাওয়াসহ নিত্যনৈমিত্তিক কাজে যেতেও তাঁরা এই সব সড়ক ব্যবহার করেন। বিকল্প কোনো সড়ক নেই। তাই তাঁদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
তাঁরা আরো জানান, কাউন্সিলর আসে, কাউন্সিলর যায়। কিন্তু তাঁদের জলাবদ্ধতা সমস্যার কোনো কূল-কিনারা হয়না। সবাই আশ্বাস দিয়ে যান। তাঁরাও অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু সমস্যাতো সমাধান হয়ই-না, বরং তা আরো বাড়তে থাকে বলে হতাশা প্রকাশ করেন তাঁরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহেদুল আলম বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে যায়। একবার জমলে একসপ্তায়ও তা আর যায়না। তখন মনে হয় এটি রাস্তা নয়, খাল।’
এ বিষয়ে চসিক স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর (১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া) শহিদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘এখন শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রতিটি খালের মুখে বাঁধ দেয়া আছে। তাই পানি নামতে সময় লাগে। বাকলিয়া এলাকাটি শহরের ঢালুতে অবস্থিত বলে উঁচু এলাকার সব পানি বাকলিয়ার উপর দিয়েই কর্ণফুলীতে গড়িয়ে পড়ে। তবে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সমস্যাটা কমে আসবে।’
মেগা প্রকল্পের কাজ কখন শেষ হবে? – প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘এ প্রকল্পতো স্থানীয় কাউন্সিলরের অধীনে নয়। এ প্রকল্পের সাথে সিডিএ চেয়ারম্যান, সেনাবাহিনী এবং মেয়রসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট,আমি কিভাবে বলব?’
এই সব বিষয়ে স্থানীয় মহল্লা কমিটি, মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই দ্রুত এই সব মেগা প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত না হলে এলাকাবাসীকে এইবার ও চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।