শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ওবায়দুল কাদেরকে বিএনপিতে যোগদানের আহ্বান ফখরুলের

নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত নিতে হলে ওবায়দুল কাদেরকে আগে বিএনপিতে যোগ দিয়ে দায়িত্ব নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছি, বর্তমান অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এর মধ্যে এতটুকু ফাঁকফোকর নেই। এই সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পরেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

মঙ্গলবার (১০ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

‘আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএমের সক্ষমতা নেই’- নির্বাচন কমিশনের দেওয়া এ মন্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যা বলার বলে দিয়েছেন। এখানে আমাদের বলার তেমন কিছু আছে বলে মনে হয় না। এই সরকার যে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকে এবং নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করে এর প্রমাণ প্রধানমন্ত্রী। তিনি কী করে বলেন যে, ৩০০ আসনেই ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অথচ এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের বিষয়।’

‘এই সরকার সচেতনভাবে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।’

বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ঈদের পরে আন্দোলন কাকে বলে দেখিয়ে দেব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সবকিছুই আন্দোলনের অংশ, আমরা যা কিছু করছি তাই আন্দোলন। আন্দোলন বলতে আপনারা কী বুঝেন, তা জানি না। আমরা যারা আন্দোলন করি তারা বুঝি আন্দোলন মানেই জনগণকে সম্পৃক্ত করা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়েছি এটাও আন্দোলনের কর্মসূচি, জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে যে কর্মসূচি দিয়েছি সেটাও আন্দোলনের কর্মসূচি। অস্থির হবেন না, আপনারা যেটা দেখতে চান সেটা খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন।’

সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের পরিবর্তন হলে দ্রব্যমূল্যসহ সবকিছুই মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে, নিয়ন্ত্রণ হবে।’

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি থেকে বর্তমান সরকারের শিক্ষা নেওয়া উচিত কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার শিক্ষা নিতে জানে না। যদি জানত তাহলে এই দশ বছরে শিক্ষা নিতে পারত। শ্রীলঙ্কাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব, আর এরা বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়বে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বলা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।

ওবায়দুল কাদেরকে বিএনপিতে যোগদানের আহ্বান ফখরুলের

প্রকাশের সময় : ০৩:২২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত নিতে হলে ওবায়দুল কাদেরকে আগে বিএনপিতে যোগ দিয়ে দায়িত্ব নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছি, বর্তমান অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এর মধ্যে এতটুকু ফাঁকফোকর নেই। এই সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পরেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

মঙ্গলবার (১০ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

‘আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএমের সক্ষমতা নেই’- নির্বাচন কমিশনের দেওয়া এ মন্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যা বলার বলে দিয়েছেন। এখানে আমাদের বলার তেমন কিছু আছে বলে মনে হয় না। এই সরকার যে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকে এবং নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করে এর প্রমাণ প্রধানমন্ত্রী। তিনি কী করে বলেন যে, ৩০০ আসনেই ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অথচ এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের বিষয়।’

‘এই সরকার সচেতনভাবে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।’

বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ঈদের পরে আন্দোলন কাকে বলে দেখিয়ে দেব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সবকিছুই আন্দোলনের অংশ, আমরা যা কিছু করছি তাই আন্দোলন। আন্দোলন বলতে আপনারা কী বুঝেন, তা জানি না। আমরা যারা আন্দোলন করি তারা বুঝি আন্দোলন মানেই জনগণকে সম্পৃক্ত করা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়েছি এটাও আন্দোলনের কর্মসূচি, জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে যে কর্মসূচি দিয়েছি সেটাও আন্দোলনের কর্মসূচি। অস্থির হবেন না, আপনারা যেটা দেখতে চান সেটা খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন।’

সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের পরিবর্তন হলে দ্রব্যমূল্যসহ সবকিছুই মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে, নিয়ন্ত্রণ হবে।’

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি থেকে বর্তমান সরকারের শিক্ষা নেওয়া উচিত কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার শিক্ষা নিতে জানে না। যদি জানত তাহলে এই দশ বছরে শিক্ষা নিতে পারত। শ্রীলঙ্কাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব, আর এরা বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়বে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বলা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।