রাশিয়া এর জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে। ইউক্রেনের পাল্টা আঙুল রাশিয়ার দিকে। অন্যদিকে, ইউক্রেনে আইসিসি-র তদন্তকারী দল।
যুদ্ধ চলছে, একইসঙ্গে চলছিল দুই দেশের শান্তি আলোচনা। কীভাবে যুদ্ধ থামিয়ে সমাধানসূত্রে পৌঁছানো যায়, তা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। মঙ্গলবার (১৭ মে) রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশের প্রতিনিধিই জানিয়ে দিয়েছেন, শান্তি আলোচনা আপাতত স্থগিত। কোনোপক্ষই সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে পারছে না।
রাশিয়ার অভিযোগ
শান্তিবৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য সামগ্রিকভাবে ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। রাশিয়ার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুডেনকো বলেছেন, কিয়েভ কার্যত আলোচনার টেবিল থেকে উঠে গেছে। আপসমীমাংসার সামান্য সুযোগটুকু তারা রাখেনি।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভের বক্তব্য, ইউক্রেন নিজের স্বার্থের কথা ভাবছে না। তারা পশ্চিমা দেশগুলির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। পশ্চিমা দেশগুলি ইউক্রেনকে কার্যত ব্যবহার করছে নিজেদের স্ট্র্যাটেজি সাজানোর জন্য। এতে ইউক্রেনের কোনো লাভ হবে না। আমরা সবসময়ই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চেয়েছিলাম। কিন্তু ইউক্রেন তা হতে দিচ্ছে না।
ইউক্রেনের বক্তব্য
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পরামর্শদাতা মিখাইলো পদোলিয়াক জানিয়েছেন, আলোচনা স্থগিত করতেই হলো কারণ, রাশিয়া কোনোরকম দাবিই মানতে রাজি নয়। তারা কোনো সমাধানসূত্রেও পৌঁছাতে চাইছে না। রাশিয়ার অবস্থান অত্যন্ত নেতিবাচক বলে অভিযোগ করেছেন পদোলিয়াক।
সুইডেন-ফিনল্যান্ড নিয়ে রাশিয়া
সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগদান নিয়ে সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার রাশিয়া জানিয়েছে, ওই দুই দেশ ন্যাটোয় যোগ দিতে চাইলে তাদের কিছু বলার নেই। বিষয়টিকে তারা হুমকি হিসেবেও দেখছে না। কারণ, ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আগেও একাধিক ন্যাটোর মহড়ায় এই দুই দেশ যোগ দিয়েছে। দেখার বিষয় হলো ওই দুই দেশের জমি ন্যাটো সেনাঘাঁটি তৈরিতে ব্যবহার করে কি না। তা করা হলে রাশিয়া উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার সীমান্তে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করলে রাশিয়াকে তার উত্তর দিতে হবে।