শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উল্লাপাড়ায় হাটে কেনাবেচা হচ্ছে নতুন বোরো ধান

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পুরোদমে বছরের প্রধান আবাদের বোরো ( ইরি ) ধান কাটা শুরু হয়েছে ৷ কৃষকেরা এখন সবচেয়ে বেশী ব্যস্ত সময় পার করছেন ৷
এলাকার হাটগুলোয় নতুন ধান কেনাবেচা হচ্ছে ৷ খোজ নিয়ে জানা গেছে একেবারে শুকনো নয় এমন এক মণ নতুন ধান নয়শো (৯) থেকে সাড়ে নয়শো (৯ ) টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে ৷
সরকারী খাদ্য গুদামে বোরো ধানের চাল ক্রয় সংগ্রহ শুরু হয়েছে ৷ তবে ধান বেচতে কোনো কৃষক আসেননি ৷
উল্লাপাড়া উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই মাঠে বোরো ( ইরি ) ধান কৃষকেরা আবাদ করেছেন ৷ সরকারী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশ হেক্টর বেশী মিলে ৩০ হাজার ২শ ৪০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে ৷ কৃষকেরা বেশী হারে ফলনশীল উন্নত নানা জাতের ধান আবাদ করেছেন ৷ এবারে সব জাতের ধানের ভালো হারে ফলন মিলছে ৷ বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা ধান কাটার মজুরদের দাম মেটাতে হাটে নতুন এ ধান বেচছেন ৷ উপজেলার সলঙ্গা , বোয়ালিয়াসহ আরো কটি হাটে নতুন ধান কেনাবেচায় উঠছে ৷ আজ বৃহস্পতিবার সলঙ্গা হাটে মোটা ধান মন প্রতি নয়শো থেকে সাড়ে নয়শো টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে বলে জানা গেছে ৷ এ ধান পুরোপুরি শুকনো নয় ৷ কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কথায় এ ধান পুরোপুরি শুকানোর পর প্রতি মণ এগারোশো (১১ ) টাকার কিছু বেশী হবে ৷
কৃষক আজমত আলী বলেন তিনি ধান কাটার মজুরদের দাম মেটাতে আবাদের আট (৮) মণ ধান নয়শো পঞ্চাশ (৯৫০)টাকা দরে বিক্রি করেছেন ৷
ধান ব্যবসায়ী আকবার আলী বলেন তিনি মোটা জাতের ধান সর্বোচচ নয়শো আশি টাকা মণ দরে কিনেছেন ৷ এ ধান তার এলাকার ধান চাতালে বিক্রি করবেন ৷
আরেক ব্যবসায়ী মজনু মিয়া বলেন এ হাটের ধান পাবনার মুলাডুলি, ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন এলাকার ধান চাতাল ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা এসে কিনে নিয়ে যান ৷ এবারেও তারা নিচ্ছেন ৷
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান উল্লাপাড়ায় এবারের মৌসুমে চার হাজার চব্বিশ (৪০২৪) মেট্রিক টন ধান এবং তিন হাজার চারশো পাচ (৩৪০৫) মেট্রিক টন চাউল ক্রয় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৷ সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে ৷ প্রতি কেজি ধানের দাম ২৭ টাকা ৷ এছাড়া চাউল ক্রয় সংগ্রহে ৬৭ মিলারের সাথে চুক্তি করা হয়েছে ৷ প্রতি কেজি চাউলের দর চল্লিশ ( ৪০ ) টাকা ৷ প্রতিবেদককে তিনি আরো জানান গত ২৮ এপ্রিল জাতীয় পর্যায়ে ধান চাউলের ক্রয় সংগ্রহ উদ্বোধন হয়েছে ৷ উল্লাপাড়ায় সরকারী খাদ্য গুদামে কোনো কৃষক এখনো ধান নিয়ে বেচতে আসেননি ৷ তবে চাউল ক্রয় সংগ্রহ শুরু হয়েছে বলে জানান ৷

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

উল্লাপাড়ায় হাটে কেনাবেচা হচ্ছে নতুন বোরো ধান

প্রকাশের সময় : ০৩:২১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পুরোদমে বছরের প্রধান আবাদের বোরো ( ইরি ) ধান কাটা শুরু হয়েছে ৷ কৃষকেরা এখন সবচেয়ে বেশী ব্যস্ত সময় পার করছেন ৷
এলাকার হাটগুলোয় নতুন ধান কেনাবেচা হচ্ছে ৷ খোজ নিয়ে জানা গেছে একেবারে শুকনো নয় এমন এক মণ নতুন ধান নয়শো (৯) থেকে সাড়ে নয়শো (৯ ) টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে ৷
সরকারী খাদ্য গুদামে বোরো ধানের চাল ক্রয় সংগ্রহ শুরু হয়েছে ৷ তবে ধান বেচতে কোনো কৃষক আসেননি ৷
উল্লাপাড়া উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই মাঠে বোরো ( ইরি ) ধান কৃষকেরা আবাদ করেছেন ৷ সরকারী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশ হেক্টর বেশী মিলে ৩০ হাজার ২শ ৪০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে ৷ কৃষকেরা বেশী হারে ফলনশীল উন্নত নানা জাতের ধান আবাদ করেছেন ৷ এবারে সব জাতের ধানের ভালো হারে ফলন মিলছে ৷ বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা ধান কাটার মজুরদের দাম মেটাতে হাটে নতুন এ ধান বেচছেন ৷ উপজেলার সলঙ্গা , বোয়ালিয়াসহ আরো কটি হাটে নতুন ধান কেনাবেচায় উঠছে ৷ আজ বৃহস্পতিবার সলঙ্গা হাটে মোটা ধান মন প্রতি নয়শো থেকে সাড়ে নয়শো টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে বলে জানা গেছে ৷ এ ধান পুরোপুরি শুকনো নয় ৷ কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কথায় এ ধান পুরোপুরি শুকানোর পর প্রতি মণ এগারোশো (১১ ) টাকার কিছু বেশী হবে ৷
কৃষক আজমত আলী বলেন তিনি ধান কাটার মজুরদের দাম মেটাতে আবাদের আট (৮) মণ ধান নয়শো পঞ্চাশ (৯৫০)টাকা দরে বিক্রি করেছেন ৷
ধান ব্যবসায়ী আকবার আলী বলেন তিনি মোটা জাতের ধান সর্বোচচ নয়শো আশি টাকা মণ দরে কিনেছেন ৷ এ ধান তার এলাকার ধান চাতালে বিক্রি করবেন ৷
আরেক ব্যবসায়ী মজনু মিয়া বলেন এ হাটের ধান পাবনার মুলাডুলি, ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন এলাকার ধান চাতাল ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা এসে কিনে নিয়ে যান ৷ এবারেও তারা নিচ্ছেন ৷
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান উল্লাপাড়ায় এবারের মৌসুমে চার হাজার চব্বিশ (৪০২৪) মেট্রিক টন ধান এবং তিন হাজার চারশো পাচ (৩৪০৫) মেট্রিক টন চাউল ক্রয় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৷ সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে ৷ প্রতি কেজি ধানের দাম ২৭ টাকা ৷ এছাড়া চাউল ক্রয় সংগ্রহে ৬৭ মিলারের সাথে চুক্তি করা হয়েছে ৷ প্রতি কেজি চাউলের দর চল্লিশ ( ৪০ ) টাকা ৷ প্রতিবেদককে তিনি আরো জানান গত ২৮ এপ্রিল জাতীয় পর্যায়ে ধান চাউলের ক্রয় সংগ্রহ উদ্বোধন হয়েছে ৷ উল্লাপাড়ায় সরকারী খাদ্য গুদামে কোনো কৃষক এখনো ধান নিয়ে বেচতে আসেননি ৷ তবে চাউল ক্রয় সংগ্রহ শুরু হয়েছে বলে জানান ৷