শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

’বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে’

ছবি-সংগৃহীত

দলীয়ভাবে বিএনপি এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে যে- তারা সরকার গঠন করলে মুক্ত গণমাধ্যমের অন্তরায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব ধরনের নিবর্তনমূলক আইন-অধ্যাদেশ বাতিল করা হবে।

রবিবার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র হত্যায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ আইন, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে তা তুলে ধরা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে বিএনপি।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কার্যকারিতা এখন আর তেমন একটা লক্ষ্য করা যায় না। বিএনপি সরকার গঠন করলে প্রেস কাউন্সিলকে পুনর্গঠন করে এর ক্ষমতা বাড়ানো হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনো বিষয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সংস্থা প্রেস কাউন্সিলে ফয়সালা করে কোনোভাবেই যেন আদালতে মামলা দায়ের করতে না পারেন সেটি নিশ্চিত করা হবে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণমাধ্যমকে স্বাবলম্বী করতে বিএনপি বিজ্ঞাপনের সুষম বণ্টনের ব্যবস্থা করবে। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট সংখ্যক প্রকাশ কিংবা টিআরপির ভিত্তিতে গণমাধ্যমগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার চিন্তাও বিএনপির রয়েছে। দেশের ব্যবসা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশীয় গণমাধ্যমগুলোকে অগ্রাধিকার দেয় সেটি নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।

ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের বিষয়ে বলা হয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছে কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে বেশিরভাগ গণমাধ্যম ওয়েজবোর্ড মেনে চলে না। বিএনপি পরবর্তীতে সরকার গঠন করলে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।

উন্নত দেশের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, সুইডেনসহ উন্নত দেশগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এ ধরনের আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সোহরাব হাসান, রুহুল আমিন গাজী, কামাল উদ্দিন সবুজ, আব্দুল হাই শিকদার, এম, আব্দুল্লাহ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সরদার ফরিদ, ইলিয়াস খান, কাদের গনি চৌধুরী, বাকের হোসেন, ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, মুরসালিন নোমানী, শফিক আহমেদ প্রমুখ।

’বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে’

প্রকাশের সময় : ০৪:৩১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

দলীয়ভাবে বিএনপি এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে যে- তারা সরকার গঠন করলে মুক্ত গণমাধ্যমের অন্তরায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব ধরনের নিবর্তনমূলক আইন-অধ্যাদেশ বাতিল করা হবে।

রবিবার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র হত্যায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ আইন, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে তা তুলে ধরা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে বিএনপি।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কার্যকারিতা এখন আর তেমন একটা লক্ষ্য করা যায় না। বিএনপি সরকার গঠন করলে প্রেস কাউন্সিলকে পুনর্গঠন করে এর ক্ষমতা বাড়ানো হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনো বিষয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সংস্থা প্রেস কাউন্সিলে ফয়সালা করে কোনোভাবেই যেন আদালতে মামলা দায়ের করতে না পারেন সেটি নিশ্চিত করা হবে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণমাধ্যমকে স্বাবলম্বী করতে বিএনপি বিজ্ঞাপনের সুষম বণ্টনের ব্যবস্থা করবে। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট সংখ্যক প্রকাশ কিংবা টিআরপির ভিত্তিতে গণমাধ্যমগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার চিন্তাও বিএনপির রয়েছে। দেশের ব্যবসা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশীয় গণমাধ্যমগুলোকে অগ্রাধিকার দেয় সেটি নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।

ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের বিষয়ে বলা হয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছে কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে বেশিরভাগ গণমাধ্যম ওয়েজবোর্ড মেনে চলে না। বিএনপি পরবর্তীতে সরকার গঠন করলে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।

উন্নত দেশের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, সুইডেনসহ উন্নত দেশগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এ ধরনের আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সোহরাব হাসান, রুহুল আমিন গাজী, কামাল উদ্দিন সবুজ, আব্দুল হাই শিকদার, এম, আব্দুল্লাহ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সরদার ফরিদ, ইলিয়াস খান, কাদের গনি চৌধুরী, বাকের হোসেন, ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, মুরসালিন নোমানী, শফিক আহমেদ প্রমুখ।