শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর আমলবাগে “দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদরাসা”এর ৩৭তম শাখা উদ্বোধন

রাজধানীর জুরাইন আমলবাগে তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায়ের জন্য গত বৃহ:পতিবার “দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদরাসা”এর ৩৭তম শাখা উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন দাওয়াতুল কুরআন মাদরাসার মহাপরিচালক, বহুগ্রন্থ প্রনেতা মুফতি মুহাম্মাদ আবদুর রহমান আজাদ। প্রধান অতিথি সিহেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণের হিজড়া গুরুমাতা হাজী ফুলকুলি হিজড়া। মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতি আবদুর রহমান আজাদ বলেন, আমরা কোনো এনজিও সংস্থার পক্ষ থেকে এখানে আসিনি, কোনো রাজনৈতিক ব্যানার কিংবা সরকারী কোনো ফান্ড আমাদের নেই । আমরা স্ব উদ্যোগে এবং আমাদের নিজস্ব ফাউন্ডেশন ‘‘মরহুম আহমেদ ফেরদৌস বারী চৌধুরী ফাউণ্ডেশ”এর পৃষ্ঠপোষকতায় এ কাজগুলো পরিচালনা করছি।
একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিই আমাদের উদ্দেশ্যে। আমরা চাই হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আদর্শবান মানুষ ও দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। আমরা আশাবাদী, এই কুরআনী শিক্ষার মাধ্যমেই তাদের পরিবর্তন ঘটবে এবং অদূর ভবিষ্যতে তারা দেশের মানব সম্পদে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ।
প্রধান অতিথি হাজী ফুলকুলি হিজড়া বলেন, এক সময় মানুষ আমাদেরকে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখতো। এখন আমরা আর অবজ্ঞার পাত্র হয়ে থাকতে চাই না; বরং কুরআন শিখে অন্যান্য দশজনের মতো বাঁচতে চাই। আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়ালে আমরা অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবো। দাওয়াতুল কুরআনের জন্য আমরা সব সময় দুআ করি। পদ্মকুড়ি হিজড়া সংঘের সহ সভাপতি, মিতু হিজড়া তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, দাওয়াতুল কুরআনের মাধ্যমে আজ আমরা সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। আমরা আগে কুরআন জানতাম না। কিন্তু এখন ওনাদের মাধ্যমে কুরআন, নামাজ ইত্যাদি শিখতে পেরেছি। তাই ওনাদের জন্য এবং বারী ফাউন্ডেশনের জন্য আমাদের অন্তরের অন্তরস্থল থেকে আজীবন দুআ করবো। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিমলা হিজড়া। তিনি বলেন, আমাদের জন্য এর থেকে বড় কোনো খুশির সংবাদ হতে পারে না যে, এখন আমরা কুরআন পড়বো, নামাজ পড়বো। তাই আমি দাওয়াতুল কুরআনের জন্য প্রাণ খুলে দুআ করি। আরো বক্তব্য রাখেন-হাফেজ মাওলানা মুফতি মাসুম বিল্লাহ (খতিব বাইতুল আলম জামে মসজিদ, জুরাইন, ঢাকা), হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (যুগ্মমহাসচিব, বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা, শিক্ষক সমিতি), হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান মুরসালিন (খতিব, করাতিটোলা জামে মসজিদ, সায়েদাবাদ) , হাফেজ মাওলানা রবিউল ইসলাম (প্রিন্সিপাল হিফজুল কুরআন নূরিয়া মাদরাসা, জুরাইন) , হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (প্রশিক্ষক, দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদরাসা)। এছাড়ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও হিজড়াদের বিভিন্ন দায়িত্বশীলগণ বক্তব্য রাখেন। প্রত্যেকেই পবিত্র কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব ও ইসলামের দৃষ্টিতে হিজড়াদের বিধান সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং দেশবাসীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে হিজড়াদের পাশের দাঁড়ানোর আহবান জানান।

বার্তা/এন

রাজধানীর আমলবাগে “দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদরাসা”এর ৩৭তম শাখা উদ্বোধন

প্রকাশের সময় : ১০:৩২:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

রাজধানীর জুরাইন আমলবাগে তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায়ের জন্য গত বৃহ:পতিবার “দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদরাসা”এর ৩৭তম শাখা উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন দাওয়াতুল কুরআন মাদরাসার মহাপরিচালক, বহুগ্রন্থ প্রনেতা মুফতি মুহাম্মাদ আবদুর রহমান আজাদ। প্রধান অতিথি সিহেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণের হিজড়া গুরুমাতা হাজী ফুলকুলি হিজড়া। মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতি আবদুর রহমান আজাদ বলেন, আমরা কোনো এনজিও সংস্থার পক্ষ থেকে এখানে আসিনি, কোনো রাজনৈতিক ব্যানার কিংবা সরকারী কোনো ফান্ড আমাদের নেই । আমরা স্ব উদ্যোগে এবং আমাদের নিজস্ব ফাউন্ডেশন ‘‘মরহুম আহমেদ ফেরদৌস বারী চৌধুরী ফাউণ্ডেশ”এর পৃষ্ঠপোষকতায় এ কাজগুলো পরিচালনা করছি।
একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিই আমাদের উদ্দেশ্যে। আমরা চাই হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আদর্শবান মানুষ ও দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। আমরা আশাবাদী, এই কুরআনী শিক্ষার মাধ্যমেই তাদের পরিবর্তন ঘটবে এবং অদূর ভবিষ্যতে তারা দেশের মানব সম্পদে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ।
প্রধান অতিথি হাজী ফুলকুলি হিজড়া বলেন, এক সময় মানুষ আমাদেরকে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখতো। এখন আমরা আর অবজ্ঞার পাত্র হয়ে থাকতে চাই না; বরং কুরআন শিখে অন্যান্য দশজনের মতো বাঁচতে চাই। আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়ালে আমরা অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবো। দাওয়াতুল কুরআনের জন্য আমরা সব সময় দুআ করি। পদ্মকুড়ি হিজড়া সংঘের সহ সভাপতি, মিতু হিজড়া তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, দাওয়াতুল কুরআনের মাধ্যমে আজ আমরা সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। আমরা আগে কুরআন জানতাম না। কিন্তু এখন ওনাদের মাধ্যমে কুরআন, নামাজ ইত্যাদি শিখতে পেরেছি। তাই ওনাদের জন্য এবং বারী ফাউন্ডেশনের জন্য আমাদের অন্তরের অন্তরস্থল থেকে আজীবন দুআ করবো। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিমলা হিজড়া। তিনি বলেন, আমাদের জন্য এর থেকে বড় কোনো খুশির সংবাদ হতে পারে না যে, এখন আমরা কুরআন পড়বো, নামাজ পড়বো। তাই আমি দাওয়াতুল কুরআনের জন্য প্রাণ খুলে দুআ করি। আরো বক্তব্য রাখেন-হাফেজ মাওলানা মুফতি মাসুম বিল্লাহ (খতিব বাইতুল আলম জামে মসজিদ, জুরাইন, ঢাকা), হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (যুগ্মমহাসচিব, বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা, শিক্ষক সমিতি), হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান মুরসালিন (খতিব, করাতিটোলা জামে মসজিদ, সায়েদাবাদ) , হাফেজ মাওলানা রবিউল ইসলাম (প্রিন্সিপাল হিফজুল কুরআন নূরিয়া মাদরাসা, জুরাইন) , হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (প্রশিক্ষক, দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদরাসা)। এছাড়ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও হিজড়াদের বিভিন্ন দায়িত্বশীলগণ বক্তব্য রাখেন। প্রত্যেকেই পবিত্র কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব ও ইসলামের দৃষ্টিতে হিজড়াদের বিধান সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং দেশবাসীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে হিজড়াদের পাশের দাঁড়ানোর আহবান জানান।

বার্তা/এন