বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কাজী নজরুল নারীর অধিকার আদায়ের এক দীপ্ত প্রয়াস: জাতীয় নারী আন্দোলন

  • ঢাকা ব্যুরো
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • ৪৯

নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সোচ্চার ছিলেন তাঁর লেখনীতেবলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান, এবং সংগঠনের সহ-সভাপতি জীবন নাহার, সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারা বেগম ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাকলি রহমান বলেছেন, শুধুমাত্র কবিতাতেই নয় কাজী নজরুল ইসলামের চিন্তা এবং মননশীলতায়ও ছিল নারী স্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ের এক দীপ্ত প্রয়াস।

মঙ্গলবার (২৪ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, নারীর প্রতি বিচারবোধের জায়গাটিও শানিত করেছেন কাজী নজরুল তাঁর ‘বারাঙ্গনা’ কবিতায়। কবির দাবি, অসতী মাতার সন্তান যদি জারজ হয় তবে যারা অসৎ পিতা তাদের সন্তানও জারজ হবে। তিনি লিখলেন, ‘অসতী মাতার পুত্র সে যদি জারজ পুত্র হয়,/অসৎ পিতার সন্তানও তবে জারজ সুনিশ্চয়’।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের গদ্য-সাধনায় বের হয়ে আসে নারী শিক্ষা, অধিকার, অবরোধ প্রথা সর্বোপরি আপন মর্যাদায় বেঁচে থাকার বলিষ্ঠ প্রত্যয়। সমসাময়িক আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনকে উপেক্ষা করতে পারেন না নজরুল নারী স্বাধীনতার বিষয়টির ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে। নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার মতো নজরুল ইসলামও মনে করতেন, নারী জাতিকে তার সমস্ত অবরোধ আর শৃঙ্খল ভেঙ্গে দৃপ্ত মনোবলে সমস্ত বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করতে হবে। সামগ্রিকভাবে শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং সভ্যতা থেকে অর্ধাংশ নারী জাতিকে পেছনে ফেলে সুষ্ঠুভাবে সমাজ কখনও এগিয়ে যেতে পারে না। তার মতে, ‘আমাদের সকল শুভ কাজ, কল্যাণ, উৎসব আজ শ্রীহীন, বর্ণহীন এবং প্রাণহীন। তোমাদের অর্ধেক আসন ছেড়ে দাও কল্যাণী নারীকে। দূর করে দাও তাদের সামনের এই অসুন্দর অবরোধ। দেখবে তোমাদের কর্তব্যের কঠোরতা, জীবনপথের দূরধিগমতা হয়ে উঠবে সুন্দরের স্পর্শে পুষ্প পেলব।’

তারা বলেন, কাজী নজরুলের জীবনে অনেক খন্ড খন্ড ঘটনা বিধৃত আছে যেখানে নারীর অধিকার ও মুক্তির জন্য তার নিরলস প্রচেষ্টা নিবিড়ভাবে যুক্ত হয়ে আছে। জীবনভর নারী জাতির প্রতি সহানুভূতিশীল, দরদী এবং আবেগপ্রবণ কবি কাজী নজরুল ইসলাম নারীদের উৎসাহ দিয়েছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন সর্বোপরি পথনির্দেশকও ছিলেন।

যশোরে প্রাচ্যসংঘের ইফতার মাহফিল

কাজী নজরুল নারীর অধিকার আদায়ের এক দীপ্ত প্রয়াস: জাতীয় নারী আন্দোলন

প্রকাশের সময় : ০২:১৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সোচ্চার ছিলেন তাঁর লেখনীতেবলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান, এবং সংগঠনের সহ-সভাপতি জীবন নাহার, সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারা বেগম ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাকলি রহমান বলেছেন, শুধুমাত্র কবিতাতেই নয় কাজী নজরুল ইসলামের চিন্তা এবং মননশীলতায়ও ছিল নারী স্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ের এক দীপ্ত প্রয়াস।

মঙ্গলবার (২৪ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, নারীর প্রতি বিচারবোধের জায়গাটিও শানিত করেছেন কাজী নজরুল তাঁর ‘বারাঙ্গনা’ কবিতায়। কবির দাবি, অসতী মাতার সন্তান যদি জারজ হয় তবে যারা অসৎ পিতা তাদের সন্তানও জারজ হবে। তিনি লিখলেন, ‘অসতী মাতার পুত্র সে যদি জারজ পুত্র হয়,/অসৎ পিতার সন্তানও তবে জারজ সুনিশ্চয়’।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের গদ্য-সাধনায় বের হয়ে আসে নারী শিক্ষা, অধিকার, অবরোধ প্রথা সর্বোপরি আপন মর্যাদায় বেঁচে থাকার বলিষ্ঠ প্রত্যয়। সমসাময়িক আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনকে উপেক্ষা করতে পারেন না নজরুল নারী স্বাধীনতার বিষয়টির ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে। নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার মতো নজরুল ইসলামও মনে করতেন, নারী জাতিকে তার সমস্ত অবরোধ আর শৃঙ্খল ভেঙ্গে দৃপ্ত মনোবলে সমস্ত বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করতে হবে। সামগ্রিকভাবে শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং সভ্যতা থেকে অর্ধাংশ নারী জাতিকে পেছনে ফেলে সুষ্ঠুভাবে সমাজ কখনও এগিয়ে যেতে পারে না। তার মতে, ‘আমাদের সকল শুভ কাজ, কল্যাণ, উৎসব আজ শ্রীহীন, বর্ণহীন এবং প্রাণহীন। তোমাদের অর্ধেক আসন ছেড়ে দাও কল্যাণী নারীকে। দূর করে দাও তাদের সামনের এই অসুন্দর অবরোধ। দেখবে তোমাদের কর্তব্যের কঠোরতা, জীবনপথের দূরধিগমতা হয়ে উঠবে সুন্দরের স্পর্শে পুষ্প পেলব।’

তারা বলেন, কাজী নজরুলের জীবনে অনেক খন্ড খন্ড ঘটনা বিধৃত আছে যেখানে নারীর অধিকার ও মুক্তির জন্য তার নিরলস প্রচেষ্টা নিবিড়ভাবে যুক্ত হয়ে আছে। জীবনভর নারী জাতির প্রতি সহানুভূতিশীল, দরদী এবং আবেগপ্রবণ কবি কাজী নজরুল ইসলাম নারীদের উৎসাহ দিয়েছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন সর্বোপরি পথনির্দেশকও ছিলেন।