আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সংগঠনকে গতিশীল ও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার ৬টি আসনের মধ্যে দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৫১টি আসনে জয়লাভ না করতে পারলে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না শেখ হাসিনা। এমনটা হলে দেশ আবারও পাকিস্তানে পরিণত হবে। তখন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পরিণতির কী হতে পারে তা চিন্তা করে এখনই কোন্দল ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন সেই প্রার্থীকে পছন্দ না হলেও শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে নৌকায় ভোট দিতে হবে। কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

বিগত ১৪ বছরের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন একটা সময় ছিল যখন দেশের মানুষ তিন বেলা ভালোমত খেতেই পারত না, আর এখন দেশেও কোথাও না খেয়ে মানুষ মারা যায় না। আ'লীগ সরকার বিগত ১৪ বছরের উন্নয়নেই দেশ আজ এশিয়ার অর্থনৈতিক টাইগার। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে দলের নেতাকর্মীদের আরো মনোযোগী হতে হবে।

মির্জা আজম বলেন, স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল খুনি জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের হত্যা করতে ১৪টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করিয়েছিলেন তারেক রহমান। বিএনপি যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যায় তাহলে ধরে ধরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করবে। এই বিষয়টি বিবেচনায় করে হলেও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলুন।

হোসেনপুর উপজেলা আ'লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জহিরুল ইসলাম নূরু মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাউছার, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌ. রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, জেলা আ'লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকারি মশিউর রহমান হুমায়ূন, মো. আনিসুল বারী প্রমুখ।

হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আ'লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. জিল্লুর রহমান ও প্রধান বক্তা হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. এম এ আফজল উপস্থিত ছিলেন।