জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রামের উজ্জল হোসেনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে বিউটি বেগম(৩৫) নামে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত ২টায় ওই গ্রামের প্রবাসী শাহ আলমের ছেলে উজ্জল হোসেনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ দামগড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা এক সন্তানের জননী বিউটি বেগমের সঙ্গে ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রামের উজ্জলের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২১ এপ্রিল রাতে মোবাইল ফোনে উজ্জল হোসেন বিউটিকে বিয়ের প্রুতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বিউটি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে উজ্জল ওই রাতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে পুঁতে রাখেন।
নিহতের ভাই বাবলু হোসেন জানান, বিউটি বেগম নিখোঁজের পর থেকে তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখবর নিতে শুরু করি। নিখোঁজের কিছু দিন পর বগুড়ার শাহজানপুর থানায় অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে দেখতে পাই অজ্ঞাত নারী বিউটি নয়। আমার বোন বিউটি নিখোঁজের বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়। অভিযোগের বিবরন অনুযায়ী বগুড়া জেলা পুলিশ নিহতের মোবাইলের সূত্র ধরে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রামের উজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তির মোতাবেক নিখোঁজের এক মাস ৭ দিন পর শুক্রবার রাতে তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে বিউটি বেগমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ ও বগুড়া সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলামসহ একদল ডিবি পুলিশের উপস্থিতে শিবপুর গ্রামের উজ্জলের বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ বিউটির খণ্ড বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করেন।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন ইয়াজদানী জানান, ঘটনাটি ক্ষেতলালে ঘটলেও বগুড়া জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়েছেন। স্থানীয় থানা হিসেবে আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। এবিষয়ে নিহতের ভাই বাবলু বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।