শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু

সাতক্ষীরার সদরের খেজুরডাঙ্গা ও দেবহাটা উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু ও চারজন আহত হয়েছে। আজ রবিবার (২৯ মে) সকাল ৮টার দিকে লাবসা খেজুরডাঙ্গায় ঘেরে মাটি কাটার সময় বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মৃত ফারুক হোসেন (৪০) সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। আহতরা হলেন- খেজুরডাঙ্গা গ্রামের আমীর আলীর ছেলে ইরশাদ আলী (৩৫), মৃত ফটিক গাজীর ছেলে মহিদুল মজিদ (৪০), জোহর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০) ও এস্কেভটরচালক ঢাকার হুমায়ুন কবির।

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খেজুরডাঙ্গা গ্রামের মহিদুল মজিদ বলেন, খেজুরডাঙ্গা বিলে আমাদের মাছের ঘেরে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছিল। মাটি কাটার সময় আমরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় শুরু হয় বৃষ্টি ও বজ্রপাত। আমরা নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই বজ্রপাতে ফারুক মারা যান। এছাড়া চারজন আহত হয়।

লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জানান, মাছের ঘেরে মাটি কাটার সময়ে বজ্রপাতে ফারুক প্রাণ হারান ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফারুকের মরদেহ তার খেজুরডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে রাখা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির জানান, বজ্রপাতে হতাহতের বিষয়টি শুনেছি।

এদিকে গতকাল শনিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় দেবহাটায় বজ্রপাতে আব্দুল লতিফ (৫২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। লতিফ দেবহাটার নারিকেলি গ্রামের পিয়ার আলি গাজীর ছেলে।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যায় আব্দুল লতিফ বাড়ির পাশে পাতনার বিলের মাছের ঘেরে বসেছিলেন। এসময় প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাত হলে বজ্রপাতে আব্দুল লতিফের মৃত্যু হয়।

সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০২:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২

সাতক্ষীরার সদরের খেজুরডাঙ্গা ও দেবহাটা উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু ও চারজন আহত হয়েছে। আজ রবিবার (২৯ মে) সকাল ৮টার দিকে লাবসা খেজুরডাঙ্গায় ঘেরে মাটি কাটার সময় বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মৃত ফারুক হোসেন (৪০) সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। আহতরা হলেন- খেজুরডাঙ্গা গ্রামের আমীর আলীর ছেলে ইরশাদ আলী (৩৫), মৃত ফটিক গাজীর ছেলে মহিদুল মজিদ (৪০), জোহর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০) ও এস্কেভটরচালক ঢাকার হুমায়ুন কবির।

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খেজুরডাঙ্গা গ্রামের মহিদুল মজিদ বলেন, খেজুরডাঙ্গা বিলে আমাদের মাছের ঘেরে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছিল। মাটি কাটার সময় আমরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় শুরু হয় বৃষ্টি ও বজ্রপাত। আমরা নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই বজ্রপাতে ফারুক মারা যান। এছাড়া চারজন আহত হয়।

লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জানান, মাছের ঘেরে মাটি কাটার সময়ে বজ্রপাতে ফারুক প্রাণ হারান ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফারুকের মরদেহ তার খেজুরডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে রাখা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির জানান, বজ্রপাতে হতাহতের বিষয়টি শুনেছি।

এদিকে গতকাল শনিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় দেবহাটায় বজ্রপাতে আব্দুল লতিফ (৫২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। লতিফ দেবহাটার নারিকেলি গ্রামের পিয়ার আলি গাজীর ছেলে।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যায় আব্দুল লতিফ বাড়ির পাশে পাতনার বিলের মাছের ঘেরে বসেছিলেন। এসময় প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাত হলে বজ্রপাতে আব্দুল লতিফের মৃত্যু হয়।