বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিকরগাছার পল্লীতে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩

যশোরের ঝিকরগাছার পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনায় সন্ত্রাসী হামলায় ৩জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ২জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে এবং ১জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উপজেলার ৬নং ঝিকরগাছা ইউনিয়নের লক্ষিপুর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের আব্দুল আজিজ ও তার স্ত্রী মোছাঃ খদেজা বেগম (৪৮) এবং পুত্রবধূ মিনা খাতুন(২৫)। আহতের ছেলে মোঃ সবুজ হোসেন (৩২) বাদি  হয়ে ৫জনকে বিবাদী করে এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিবাদীরা হলেন একই গ্রামের আলতাফ বিশ্বাসের ছেলে সজল হোসেন (২৩), আমজাদ আলীর ছেলে জুয়েল রানা (৩৬), রয়েল হোসেন (৩৫), মৃত খোদা বক্সের ছেলে আলতাফ হোসেন(৫৫) ও আমজাদ বিশ্বাস (৫৯)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদি এবং  বিবাদীদ্বয় পাড়াপ্রতিবেশী হওয়ায় কারণে অকারণে সব সময় বাদিদের সাথে ঝগড়াঝাটি করে ও মারপিট করতে আসে। উক্ত ঝগড়া বিবাদের জের ধরে কাঠাল পাড়াকে কেন্দ্র করে বিবাদীরা ১৭ মে বেলা সাড়ে ১১টার সময় ৪ ও ৫নং বিবাদীর হুকুমে ১নং বিবাদী বাদির বসতবাড়ীতে প্রবেশ করে অতর্কিত ভাবে বাদির মা’কে এলাপাতাড়ী ভাবে কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড়, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখন করে ও বাদির স্ত্রীর পরনে থাকা কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে ছিড়ে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায় ও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি সহ খুন জখম করিবে বলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে ২৯মে সকাল ৬টা ১০মিনিটের সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ১,২ ও ৩নং বিবাদীর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শ্রীরামপুর গ্রামস্থ মাঠে বাদিদের পটলের জমিতে বাদির পিতাকে চোখ ও হাত বেধে বিবাদীরের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা ফোলা রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে বাদির পিতা মাটিতে পড়ে গেলে ১ও ২নং বিবাদীরা বুকের উপর উছে পা দিয়ে দবাইতে থাকে ও কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড়, লাথি মরতে থাকে। পরিশেষে বাদির পিতার হাত পা বাধিয়া উক্ত পটলের জমিতে রেখে চলে যায়।
ঘটনার বিষয়ে বিবাদী আলতাফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সবুজও আমার ছেলেকে মেরেছে। তাদের বিষয়েও আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। স্থানীয় মেম্বর আমাদের বলেছে আমরা সুস্থ হলে স্থানীয় ভাবে হোক বা থানার মাধ্যমে হোক বসা বসি করে ঝামেলা মিটিয়ে দেওয়া হবে।
ঘটনার বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন, উভয় পক্ষেরই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বিবাদী সজল হোসেন এর আগেও গ্রামের অনেককে বিনা কারনে মারধর করেছে। সে সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় গ্রামের কেউ ভয়ে কিছু মুখ খোলে না।

বিএনপি নেতা দস্তগীর চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল 

ঝিকরগাছার পল্লীতে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩

প্রকাশের সময় : ০১:১০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
যশোরের ঝিকরগাছার পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনায় সন্ত্রাসী হামলায় ৩জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ২জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে এবং ১জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উপজেলার ৬নং ঝিকরগাছা ইউনিয়নের লক্ষিপুর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের আব্দুল আজিজ ও তার স্ত্রী মোছাঃ খদেজা বেগম (৪৮) এবং পুত্রবধূ মিনা খাতুন(২৫)। আহতের ছেলে মোঃ সবুজ হোসেন (৩২) বাদি  হয়ে ৫জনকে বিবাদী করে এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিবাদীরা হলেন একই গ্রামের আলতাফ বিশ্বাসের ছেলে সজল হোসেন (২৩), আমজাদ আলীর ছেলে জুয়েল রানা (৩৬), রয়েল হোসেন (৩৫), মৃত খোদা বক্সের ছেলে আলতাফ হোসেন(৫৫) ও আমজাদ বিশ্বাস (৫৯)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদি এবং  বিবাদীদ্বয় পাড়াপ্রতিবেশী হওয়ায় কারণে অকারণে সব সময় বাদিদের সাথে ঝগড়াঝাটি করে ও মারপিট করতে আসে। উক্ত ঝগড়া বিবাদের জের ধরে কাঠাল পাড়াকে কেন্দ্র করে বিবাদীরা ১৭ মে বেলা সাড়ে ১১টার সময় ৪ ও ৫নং বিবাদীর হুকুমে ১নং বিবাদী বাদির বসতবাড়ীতে প্রবেশ করে অতর্কিত ভাবে বাদির মা’কে এলাপাতাড়ী ভাবে কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড়, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখন করে ও বাদির স্ত্রীর পরনে থাকা কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে ছিড়ে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায় ও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি সহ খুন জখম করিবে বলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে ২৯মে সকাল ৬টা ১০মিনিটের সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ১,২ ও ৩নং বিবাদীর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শ্রীরামপুর গ্রামস্থ মাঠে বাদিদের পটলের জমিতে বাদির পিতাকে চোখ ও হাত বেধে বিবাদীরের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা ফোলা রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে বাদির পিতা মাটিতে পড়ে গেলে ১ও ২নং বিবাদীরা বুকের উপর উছে পা দিয়ে দবাইতে থাকে ও কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড়, লাথি মরতে থাকে। পরিশেষে বাদির পিতার হাত পা বাধিয়া উক্ত পটলের জমিতে রেখে চলে যায়।
ঘটনার বিষয়ে বিবাদী আলতাফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সবুজও আমার ছেলেকে মেরেছে। তাদের বিষয়েও আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। স্থানীয় মেম্বর আমাদের বলেছে আমরা সুস্থ হলে স্থানীয় ভাবে হোক বা থানার মাধ্যমে হোক বসা বসি করে ঝামেলা মিটিয়ে দেওয়া হবে।
ঘটনার বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন, উভয় পক্ষেরই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বিবাদী সজল হোসেন এর আগেও গ্রামের অনেককে বিনা কারনে মারধর করেছে। সে সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় গ্রামের কেউ ভয়ে কিছু মুখ খোলে না।