শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালুখালীতে শিক্ষকের হাতে অভিভাবক লাঞ্ছিত

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া রজনীকান্ত সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ হাফিজুর রহমান (হাফিজ) কর্তৃক উক্ত বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাহরিয়ার রুবাইদ এর মা রোমানা খানমকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। রোমানা খানম কালুখালী মহিলা কলেজের পৌরনীতি প্রভাষক।
লাঞ্ছিত শিকার হয়ে এঘটনার বিচার চেয়ে রোমানা খানম কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দিয়েছেন।
রোমানা খানম সাংবাদিকদেরকে অভিযোগ করে বলেন, গত (৩০ মে) সোমবার আনুমানিক সকাল দশটায় রোমানা খানমের ছেলে অত্র বিদ্যালয়ে এডমিট কার্ড আনতে যায়। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, শাহরিয়ার রুবাইদকে এডমিট কার্ড দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে শাহরিয়ার রুবাইদ তার বন্ধু আলিফ মন্ডলের এডমিট কার্ড দেওয়ার জন্য সহকারী শিক্ষককে অনুরোধ করলে। সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে শাহরিয়ার রুবাইদকে একটি চড় মারে এবং আলিফ মন্ডল কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
পরবর্তীতে শাহরিয়ার রুবাইদ, তার মা রোমানা খানমকে বিষয়টি খুলে বললে, তিনি তার ছেলেকে নিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের কাছে তার ছেলের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি জানতে চান। সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ তার ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়ে নেন। এ পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী আরেক মহিলা সহকারি শিক্ষক রোমানা খানমকে কিছু বলতে চায়। সে সময় অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান রোমানা খানকে ডেকে বসতে বলেন। এবং বিষয়টি জানতে চান। কিন্তু অপর পাশ থেকে ওই মহিলা সহকারি শিক্ষক রোমানা খানমের সাথে কথা কাটাকাটি করতে থাকে।
এক পর্যায়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান টেবিল চাপড়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রোমানা খানমকে ধমক দিয়ে উচ্চস্বরে অসদাচরন ও অশালীন মন্তব্য করেন এবং বলেন আমি নাকি অসদ উপায়ে আমার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করেছি। তার সাথে আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও অশালীন মন্তব্য করেন যা আমার জন্য অত্যান্ত অসম্মানের ও মানহানিকর। সহকারি প্রধান শিক্ষক আরো বলেন আপনার বাচ্চাকে আমাদের স্কুল থেকে নিয়ে যান। আপনি যেখানেই যান সেখানেই সমস্যা তৈরি করেন। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের মারধর করব কিন্তু আপনারা কোন অভিযোগ করতে পারবেন না। এবং রোমানা খানমের ছেলে শাহরিয়ার রুবাইদকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দেন সহকারি প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চললেও পরীক্ষা দিতে পারছেন না শাহরিয়ার রুবাইদ। রোমানা খানম আরো বলেন, বিষয়টি আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় কে জানাতে চাইলে সহকারি প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন যাকে খুশি তাকে জানাতে পারেন আমি কাউকে ভয় করিনা।
এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের কাছে শিক্ষার্থীর অভিভাবককে লাঞ্ছনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যান। এবং প্রধান শিক্ষক মোঃ আয়ুব আলী লিখিত অভিযোগের কপি ছাড়া কোন ধরনের বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, গত (১জুন) বুধবার রাত ১১ টার সময় রোমানা খানমের বাবা আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি রোমানা খানমকে ডেকেছি বিষয়টি জানার জন্য। যেহেতু এটা শিক্ষা কর্মকর্তার বিষয় তারা তদন্ত করে যে পদক্ষেপ নিতে বলবেন আমি সেটাই নিব।
কালুখালী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আতিকুর ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালুখালীতে শিক্ষকের হাতে অভিভাবক লাঞ্ছিত

প্রকাশের সময় : ০১:২৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া রজনীকান্ত সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ হাফিজুর রহমান (হাফিজ) কর্তৃক উক্ত বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাহরিয়ার রুবাইদ এর মা রোমানা খানমকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। রোমানা খানম কালুখালী মহিলা কলেজের পৌরনীতি প্রভাষক।
লাঞ্ছিত শিকার হয়ে এঘটনার বিচার চেয়ে রোমানা খানম কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দিয়েছেন।
রোমানা খানম সাংবাদিকদেরকে অভিযোগ করে বলেন, গত (৩০ মে) সোমবার আনুমানিক সকাল দশটায় রোমানা খানমের ছেলে অত্র বিদ্যালয়ে এডমিট কার্ড আনতে যায়। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, শাহরিয়ার রুবাইদকে এডমিট কার্ড দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে শাহরিয়ার রুবাইদ তার বন্ধু আলিফ মন্ডলের এডমিট কার্ড দেওয়ার জন্য সহকারী শিক্ষককে অনুরোধ করলে। সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে শাহরিয়ার রুবাইদকে একটি চড় মারে এবং আলিফ মন্ডল কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
পরবর্তীতে শাহরিয়ার রুবাইদ, তার মা রোমানা খানমকে বিষয়টি খুলে বললে, তিনি তার ছেলেকে নিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের কাছে তার ছেলের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি জানতে চান। সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ তার ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়ে নেন। এ পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী আরেক মহিলা সহকারি শিক্ষক রোমানা খানমকে কিছু বলতে চায়। সে সময় অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান রোমানা খানকে ডেকে বসতে বলেন। এবং বিষয়টি জানতে চান। কিন্তু অপর পাশ থেকে ওই মহিলা সহকারি শিক্ষক রোমানা খানমের সাথে কথা কাটাকাটি করতে থাকে।
এক পর্যায়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান টেবিল চাপড়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রোমানা খানমকে ধমক দিয়ে উচ্চস্বরে অসদাচরন ও অশালীন মন্তব্য করেন এবং বলেন আমি নাকি অসদ উপায়ে আমার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করেছি। তার সাথে আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও অশালীন মন্তব্য করেন যা আমার জন্য অত্যান্ত অসম্মানের ও মানহানিকর। সহকারি প্রধান শিক্ষক আরো বলেন আপনার বাচ্চাকে আমাদের স্কুল থেকে নিয়ে যান। আপনি যেখানেই যান সেখানেই সমস্যা তৈরি করেন। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের মারধর করব কিন্তু আপনারা কোন অভিযোগ করতে পারবেন না। এবং রোমানা খানমের ছেলে শাহরিয়ার রুবাইদকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দেন সহকারি প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চললেও পরীক্ষা দিতে পারছেন না শাহরিয়ার রুবাইদ। রোমানা খানম আরো বলেন, বিষয়টি আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় কে জানাতে চাইলে সহকারি প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন যাকে খুশি তাকে জানাতে পারেন আমি কাউকে ভয় করিনা।
এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের কাছে শিক্ষার্থীর অভিভাবককে লাঞ্ছনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যান। এবং প্রধান শিক্ষক মোঃ আয়ুব আলী লিখিত অভিযোগের কপি ছাড়া কোন ধরনের বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, গত (১জুন) বুধবার রাত ১১ টার সময় রোমানা খানমের বাবা আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি রোমানা খানমকে ডেকেছি বিষয়টি জানার জন্য। যেহেতু এটা শিক্ষা কর্মকর্তার বিষয় তারা তদন্ত করে যে পদক্ষেপ নিতে বলবেন আমি সেটাই নিব।
কালুখালী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আতিকুর ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।