বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিকরগাছায় সন্ত্রাসী হামলায় যুবক আহত, দোকান ভাংচুর 

যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড ছালামের মোড়ে এক যুবককে রড দিয়ে পিটিয়ে, চাকু মেরে আহত করা হয়েছে, ভাংচুর করা হয়েছে তার চায়ের দোকান। ঠেকাতে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে তার ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী।স্হানীয় এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ১১টা নাগাদ কামারুল পিতা কোবাদ, জিয়ারুল পিতা কোবাদ, রাকিব পিতা জিয়ারুল, কোবাদ সহ আরও কয়েকজন লাঠি, লোহার রড, চাকু নিয়ে হামলা চালায় চা-দোকানী রনির উপর। এসময় সন্ত্রাসীরা রনির দোকান ভাংচুর করে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে এবং তার পেটে চাকু মারে। চিৎকার চেচামেচি শুনে রনির স্ত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত ডলি খাতুন(২৬) তার স্বামীকে ঠেকাতে আসলে তাকেও রড দিয়ে ব্যাপক মারধোর করে উক্ত সন্ত্রাসীরা। পরে উপস্থিত জনতা আহতদের উদ্ধার করে স্হানীয় ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় যশোর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। রনি এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। স্হানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিরুল ইসলাম রাজা বলেন, রনি এবং কামারুল মামাতো ফুফাতো ভাই। একটা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক গোলযোগের সুত্র ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়ে রনি যশোর সদর হাসপাতালে এবং কামারুল ঝিকরগাছা হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি আজ দুজনকেই দেখে এসেছি। তারা সুস্থ হয়ে বাড়িতে এলেই স্হানীয় ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করবো। যদি না মেটে তবে আইনানুগ ব্যবস্হা নেওয়া হবে। এবিষয়ে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব সুমন ভক্ত জানান, মারামারির বিষয় শুনে পুলিশ ঘটনাস্হলে যায় এবং একজনকে আটক করে নিয়ে আসে। কিন্তু থানায় কোনো মামলা না হওয়ায় এবং উক্ত ঘটনায় আটককৃত যুবকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না যাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ঝিকরগাছায় সন্ত্রাসী হামলায় যুবক আহত, দোকান ভাংচুর 

প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২

যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড ছালামের মোড়ে এক যুবককে রড দিয়ে পিটিয়ে, চাকু মেরে আহত করা হয়েছে, ভাংচুর করা হয়েছে তার চায়ের দোকান। ঠেকাতে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে তার ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী।স্হানীয় এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ১১টা নাগাদ কামারুল পিতা কোবাদ, জিয়ারুল পিতা কোবাদ, রাকিব পিতা জিয়ারুল, কোবাদ সহ আরও কয়েকজন লাঠি, লোহার রড, চাকু নিয়ে হামলা চালায় চা-দোকানী রনির উপর। এসময় সন্ত্রাসীরা রনির দোকান ভাংচুর করে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে এবং তার পেটে চাকু মারে। চিৎকার চেচামেচি শুনে রনির স্ত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত ডলি খাতুন(২৬) তার স্বামীকে ঠেকাতে আসলে তাকেও রড দিয়ে ব্যাপক মারধোর করে উক্ত সন্ত্রাসীরা। পরে উপস্থিত জনতা আহতদের উদ্ধার করে স্হানীয় ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় যশোর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। রনি এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। স্হানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিরুল ইসলাম রাজা বলেন, রনি এবং কামারুল মামাতো ফুফাতো ভাই। একটা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক গোলযোগের সুত্র ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়ে রনি যশোর সদর হাসপাতালে এবং কামারুল ঝিকরগাছা হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি আজ দুজনকেই দেখে এসেছি। তারা সুস্থ হয়ে বাড়িতে এলেই স্হানীয় ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করবো। যদি না মেটে তবে আইনানুগ ব্যবস্হা নেওয়া হবে। এবিষয়ে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব সুমন ভক্ত জানান, মারামারির বিষয় শুনে পুলিশ ঘটনাস্হলে যায় এবং একজনকে আটক করে নিয়ে আসে। কিন্তু থানায় কোনো মামলা না হওয়ায় এবং উক্ত ঘটনায় আটককৃত যুবকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না যাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।