শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ও বর্ষবরণ উদযাপন

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় বাংলা নববর্ষ ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্ম বার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ জুন) অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বালাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতেমা, ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্টদূত মোঃ শামীম আহসান, নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, মিডিয়া ব্যক্তিবর্গসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট জেনারেলকে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আলোকে সজ্জিত করা হয়। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম শুরুতে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং পহেলা বৈশাখকে বাঙালির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করেন। কনসাল জেনারেল যোগ করেন যে, ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘Intangible Cultural Heritage of Humanity’ বলে স্বীকৃতি প্রদান করায় এটি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক উৎসবের রূপ নিয়েছে। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম-কে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে তাঁদের অবদান চিরস্মরনীয়। কনসাল জেনারেল পহেলা বৈশাখের অন্তর্ণিহিত তাৎপর্য  এবং রবীন্দ্র-নজরুলের চিন্তা চেতনা ও দর্শন বিশ্ব শান্তি, সাম্য-ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও কার্যকরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, গ্রাম-বাংলার লোকজ গান ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খ্যাতনামা শিল্পীগণের – একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহিদ হাসান-এর দরদী কন্ঠের পরিবেশনায় কনস্যুলেটে এক মনোরম আবহ তৈরী হয়। নিউইয়র্কস্থ সাংস্কৃতিক সংগঠন, Anup Kumar Dance Academy (AKDA), Bangladesh Institute of Performing Arts (BIPA) তাদের ছন্দেপূর্ণ সৃজনশীল নৃত্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করে।

নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ও বর্ষবরণ উদযাপন

প্রকাশের সময় : ০৪:১৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় বাংলা নববর্ষ ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্ম বার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ জুন) অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বালাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতেমা, ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্টদূত মোঃ শামীম আহসান, নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, মিডিয়া ব্যক্তিবর্গসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট জেনারেলকে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আলোকে সজ্জিত করা হয়। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম শুরুতে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং পহেলা বৈশাখকে বাঙালির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করেন। কনসাল জেনারেল যোগ করেন যে, ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘Intangible Cultural Heritage of Humanity’ বলে স্বীকৃতি প্রদান করায় এটি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক উৎসবের রূপ নিয়েছে। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম-কে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে তাঁদের অবদান চিরস্মরনীয়। কনসাল জেনারেল পহেলা বৈশাখের অন্তর্ণিহিত তাৎপর্য  এবং রবীন্দ্র-নজরুলের চিন্তা চেতনা ও দর্শন বিশ্ব শান্তি, সাম্য-ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও কার্যকরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, গ্রাম-বাংলার লোকজ গান ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খ্যাতনামা শিল্পীগণের – একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহিদ হাসান-এর দরদী কন্ঠের পরিবেশনায় কনস্যুলেটে এক মনোরম আবহ তৈরী হয়। নিউইয়র্কস্থ সাংস্কৃতিক সংগঠন, Anup Kumar Dance Academy (AKDA), Bangladesh Institute of Performing Arts (BIPA) তাদের ছন্দেপূর্ণ সৃজনশীল নৃত্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করে।