চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে নয়জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ ছাড়া আহত ও দগ্ধ হয়েছেন আরও চার শতাধিক। তাদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও আছেন।
রবিবার (৫ জুন) দুপুরের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (৪ জুন) দিনগত রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কদমরসুল এলাকায় বিএম ডিপো নামের ওই কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। পরে রাসায়নিকের কনটেইনার একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে উঠে।
এরপর রবিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দগ্ধ হয়ে আহত ছাড়াও মরদেহ আসতে শুরু করে। তবে মরদেহের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, রোভার স্কাউট এবং রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান রবিবার সকালে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও বারবার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। ডিপোতে রাসায়নিক থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত আগুন নেভানো ও উদ্ধারকাজে যুক্ত হওয়া আটজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দীন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, আগুন ও ছড়িয়ে পড়া কেমিক্যাল নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ১৫০-২০০ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহনাজ সুলতানা রবিবার সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানান, রাসায়নিক যাতে সবদিকে ছড়িয়ে যেতে না পারে সেজন্য সেনাবাহিনীর শতাধিক সদস্য কাজ করছেন। আশপাশে কোনো নালা আছে কি-না তাও খুঁজে দেখা হচ্ছে। এ সব রাসায়নিক যাতে সমুদ্রে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালান হচ্ছে।