বাগেরহাট বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি কর্তৃক শরণখোলা থেকে দুরপাল্লার পরিবহন বন্ধের প্রতিবাদে নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাতে শরণখোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৪৮ঘন্টার মধ্যে পূর্বের ন্যায় দুরপাল্লার পরিবহন চলাচল করতে না দেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, শরণখোলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক শেখ মোহাম্মদ আলী, বাবুল দাস, শিক্ষক আক্তারুজ্জামান তালুকদার, পরিবহন কাউন্টার পরিচালক মোঃ জামাল আকন, মাসুদ জোমাদ্দার, মোঃ গুলজার হাওলাদার, আবু তালেব প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বাগেরহাট বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি গত ৩ জুন একটি পত্রের মাধ্যমে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ হতে ৬ জুন থেকে ঢাকা, চট্ট্রগ্রামসহ দুর পাল্লার পরিবহন বন্ধের ঘোষনা দেন। সোমবার সকালে শরণখোলা থেকে ছেড়ে যাওয়া এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ডে আটকে দেওয়া হয়। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপাক প্রতিক্রিয়া শুরু হলে মালিক সমিতি একটি সভা করে শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে পরিবহনগুলি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এবিষয়ে ৮জুন তারা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন বলে ঘোষনা দেন।
বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, সড়কে শৃংখলা ফেরাতে উপজেলা পর্যায় থেকে দুরপাল্লার পরিবহন বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে,পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পূর্ব মুহুর্তে ঢাকাসহ দুরপাল্লার পরিবহন বন্ধের ঘোষণায় শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জের মানুষের মাঝে ব্যপক ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।