শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বামী পিআইও ওমেগার, স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা তাদের বাড়িতে ত্রাণের ঢেউটিন

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পিআইও অফিসের ওমেগার (মাষ্টাররোল) হিসেবে চাকুরী করে স্বামী অপরদিকে তার সহধর্মিণী আয়মাপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা অথচ বাড়িতে ত্রাণের ঢেউটিন। উপজেলার মিনিগাড়ী গ্রামের মোকসেদ আলী ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনের বাড়িতে সরকারি ত্রাণের প্রায় ৪ ব্যান্ডিল ঢেউটিন দিয়ে ঘরের ছাউনি ও সিমানা প্রাচীর দেওয়ার এই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের মোকসেদ আলী প্রায় ২৬ বছর থেকে ক্ষেতলাল পিআইও অফিসে কর্মরত আছে। অপরদিকে তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন একই উপজেলার আয়মাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। পিআইও অফিসে কর্মরত থাকাবস্থায় সম্প্রতি মোকসেদ আলী ত্রাণের সরকারি (বিক্রির জন্য নয়) নতুন ঢেউটিন দিয়ে তার ঘরের ছাউনি ও বাড়ির সিমানা প্রাচির নির্মান করেছেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসির অভিযোগ, অনেক হত দরিদ্র মানুষ যারা এসব ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য তারা পায়নি অথচ পিআইও অফিসে কাজ করার সুবাদে কর্তাদের যোগসাজসে ও স্বজনপ্রিতিতে গরিব অসহায় মানুষের মাঝে আসা সরকারি ত্রাণের ঢেউটিন মোকসেদ এর বাড়িতে। আবার তার স্ত্রী সরকারি স্কুলে চাকুরী করে। অথচ আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্থ দুস্থ্য ও হতদরিদ্র মানুষ বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়েও এসব পাইনা।
এ বিষয়ে কিছু ত্রাণের টিন বাড়িতে লাগানোর কথা স্বিকার করে মোকসেদ বলেন, আমি পিআইও অফিসে ওমেগার হিসেবে (মাষ্টাররোল) বিল ভাউচারের কাজ সমন্বয় করি।
মোকসেদের স্ত্রী ফরিদা খাতুন বলেন, আমি প্রাইমারি স্কুলে চাকুরী করি। ঝরে আমার ঘড়ের টিন উরে গেলে আমাকে ঢেউটিনগুলো  অনুদান দেওয়া হয়।
অপরদিকে মোকসেদের ছেলে পিয়াদ নাসের বলেন, আমার আব্বু পিআইও অফিসে চাকুরী করে। টিনগুলো সেখান থেকে  সহায়তা পেয়েছে।
ক্ষেতলাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রুহুল আমিন পাপন বলেন, মোকসেদের নামে ২০২০-২১ ইং অর্থ বছরে কোন টিন বরাদ্দ হয়নি। সে যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, মোকসেদ পিআইও অফিসের
কোন কর্মচারী নয়। সে আমাদের অফিসের বিল ভাউচারের কাজ করে।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে আম্পান ঝড়ের সময় এই ঢেউটিন গুলো দেওয়া হয়েছে কি না সেটা তদন্তের জন্য ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বামী পিআইও ওমেগার, স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা তাদের বাড়িতে ত্রাণের ঢেউটিন

প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পিআইও অফিসের ওমেগার (মাষ্টাররোল) হিসেবে চাকুরী করে স্বামী অপরদিকে তার সহধর্মিণী আয়মাপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা অথচ বাড়িতে ত্রাণের ঢেউটিন। উপজেলার মিনিগাড়ী গ্রামের মোকসেদ আলী ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনের বাড়িতে সরকারি ত্রাণের প্রায় ৪ ব্যান্ডিল ঢেউটিন দিয়ে ঘরের ছাউনি ও সিমানা প্রাচীর দেওয়ার এই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের মোকসেদ আলী প্রায় ২৬ বছর থেকে ক্ষেতলাল পিআইও অফিসে কর্মরত আছে। অপরদিকে তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন একই উপজেলার আয়মাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। পিআইও অফিসে কর্মরত থাকাবস্থায় সম্প্রতি মোকসেদ আলী ত্রাণের সরকারি (বিক্রির জন্য নয়) নতুন ঢেউটিন দিয়ে তার ঘরের ছাউনি ও বাড়ির সিমানা প্রাচির নির্মান করেছেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসির অভিযোগ, অনেক হত দরিদ্র মানুষ যারা এসব ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য তারা পায়নি অথচ পিআইও অফিসে কাজ করার সুবাদে কর্তাদের যোগসাজসে ও স্বজনপ্রিতিতে গরিব অসহায় মানুষের মাঝে আসা সরকারি ত্রাণের ঢেউটিন মোকসেদ এর বাড়িতে। আবার তার স্ত্রী সরকারি স্কুলে চাকুরী করে। অথচ আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্থ দুস্থ্য ও হতদরিদ্র মানুষ বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়েও এসব পাইনা।
এ বিষয়ে কিছু ত্রাণের টিন বাড়িতে লাগানোর কথা স্বিকার করে মোকসেদ বলেন, আমি পিআইও অফিসে ওমেগার হিসেবে (মাষ্টাররোল) বিল ভাউচারের কাজ সমন্বয় করি।
মোকসেদের স্ত্রী ফরিদা খাতুন বলেন, আমি প্রাইমারি স্কুলে চাকুরী করি। ঝরে আমার ঘড়ের টিন উরে গেলে আমাকে ঢেউটিনগুলো  অনুদান দেওয়া হয়।
অপরদিকে মোকসেদের ছেলে পিয়াদ নাসের বলেন, আমার আব্বু পিআইও অফিসে চাকুরী করে। টিনগুলো সেখান থেকে  সহায়তা পেয়েছে।
ক্ষেতলাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রুহুল আমিন পাপন বলেন, মোকসেদের নামে ২০২০-২১ ইং অর্থ বছরে কোন টিন বরাদ্দ হয়নি। সে যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, মোকসেদ পিআইও অফিসের
কোন কর্মচারী নয়। সে আমাদের অফিসের বিল ভাউচারের কাজ করে।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে আম্পান ঝড়ের সময় এই ঢেউটিন গুলো দেওয়া হয়েছে কি না সেটা তদন্তের জন্য ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।