শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১০ জুন) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা থেকে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বাংলাবাজার মোড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।

এসময় মিছিলে বিভিন্ন স্লোগান ও ফ্যাস্টুন লিখে শিক্ষার্থী তাদের দাবি জানান, ‘মোদির দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’, ‘বিশ্ব নবীর অপমান সইবেনারে মুসলমান, তোমার নেতা আমার নেতা বিশ্ব নবী মোস্তফা’, ‘ইন্ডিয়ান পণ্য বয়কট বয়কট’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও এক হও’ নূপুর শর্মার বিচার চাই’-সহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য বলেন, ভারতে মহানবী (সা.) ও হজরত আয়েশা (রা.) কে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে অবিলম্বে ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, মহানবী (সা.) কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিজেপির দুই নেতা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ভারতের ইসলামবিদ্বেষী কুলাঙ্গারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, যেকোনো ধর্মের মনিষী বা নেতারা শ্রদ্ধার পাত্র। তাদের নিয়ে অযথা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য অবশ্যই নিচু মানসিকতার কাজ। হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও হযরত আয়েশা (রা.)-কে নিয়ে ভারতের বিজেপি নেত্রী যে মন্তব্য করেছেন এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে তার বিচারের দাবি করছি। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখব।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও তার স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নুপুর শর্মা। পরে একই বিষয়ে টুইটারে পোস্ট দলটির আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা দেন নাভিন কুমার জিন্দাল। এ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ প্রতিবাদ জানায়।

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ১০:৪৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১০ জুন) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা থেকে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বাংলাবাজার মোড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।

এসময় মিছিলে বিভিন্ন স্লোগান ও ফ্যাস্টুন লিখে শিক্ষার্থী তাদের দাবি জানান, ‘মোদির দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’, ‘বিশ্ব নবীর অপমান সইবেনারে মুসলমান, তোমার নেতা আমার নেতা বিশ্ব নবী মোস্তফা’, ‘ইন্ডিয়ান পণ্য বয়কট বয়কট’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও এক হও’ নূপুর শর্মার বিচার চাই’-সহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য বলেন, ভারতে মহানবী (সা.) ও হজরত আয়েশা (রা.) কে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে অবিলম্বে ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, মহানবী (সা.) কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিজেপির দুই নেতা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ভারতের ইসলামবিদ্বেষী কুলাঙ্গারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, যেকোনো ধর্মের মনিষী বা নেতারা শ্রদ্ধার পাত্র। তাদের নিয়ে অযথা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য অবশ্যই নিচু মানসিকতার কাজ। হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও হযরত আয়েশা (রা.)-কে নিয়ে ভারতের বিজেপি নেত্রী যে মন্তব্য করেছেন এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে তার বিচারের দাবি করছি। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখব।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও তার স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নুপুর শর্মা। পরে একই বিষয়ে টুইটারে পোস্ট দলটির আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা দেন নাভিন কুমার জিন্দাল। এ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ প্রতিবাদ জানায়।