ক্রমান্বয়ে বাড়ছে আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা। এখনপর্যন্ত ৯৫০ জন নিহত এবং ছয় শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা। তবে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ বুধবার (২২ জুন) ভোরে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে।
আফগান গণমাধ্যমে দেখা গেছে বাড়িগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং মৃতদেহগুলো মাটিতে পড়ে আছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আইয়ুবি বলেন, দুর্গম পাহাড়ি গ্রামে আহতদের কাছে পৌঁছাতে এবং ওষুধ ও খাবারের সরবরাহ করতে উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে কারণ কিছু গ্রাম পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রয়েছে এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে কিছুটা সময় লাগবে।
আইয়ুবি বলেন, নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের অধিকাংশই পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকা প্রদেশের। সেখানে ২৫৫ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। খোস্ত প্রদেশে ২৫ জন মারা গেছে এবং ৯০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ক্ষমতাসীন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছেন।
বুধবারের ভূমিকম্পটি ২০০২ সালের পর সবচেয়ে মারাত্মক ছিল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি পাকিস্তান আফগানিস্তান সীমান্তের খোস্ত শহর থেকে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দূর ৫১ কিলোমিটার গভীরে রাত ২টা ৫৪ মিনিটে আঘাত হানে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ভারতের ৫০০ কিলোমিটারের বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রায় ১১৯ মিলিয়ন মানুষ কম্পন অনুভব করেছে।
পাকিস্তানে, পেশোয়ার, ইসলামাবাদ, লাহোর, কোহাট, মহমান্দ, সোয়াত, বুনের, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনের অন্যান্য অংশে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
২০১৫ সালে আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বে এবং নিকটবর্তী উত্তর পাকিস্তানে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে কয়েক শতাধিক লোক নিহত হয়েছিল।
-সূত্র : রয়টার্স