বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তালতলীতে টেংরাগিরি ইকোপার্ক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পর্যটক শূন্য

বরগুনার তালতলী উপজেলার শহর থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের এক অংশ নিয়ে বিশাল বনভূমির উপর টেংরাগিরি ইকোপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে।বনটিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য সারি সারি গাছ। ইকোপার্কের পাশেই আরেকটি আকর্ষণীয় স্থান সোনাকাটা সমুদ্রসৈকত। সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়ালে ঝিরি ঝিরি বাতাসে মন মুগ্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টেংরাগিরি ইকোপার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে।সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ইকো পার্কটি। বনের শেষ প্রান্তে অপার সৌন্দর্যের লীলা ভূমিতে গিয়ে দেখা যাবে সাগরের বিশাল ঢেউ, সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় । তবে সেখানে যাওয়ার রাস্তা ও গভীর বনে প্রবেশের রাস্তাগুলো সংস্কারের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ভেঙে গেছে রাস্তা। বনের মধ্য থেকে সমুদ্র পর্যন্ত যেতে কাঠের ব্রিজগুলোও ভেঙে গেছে। ভেঙেছে পর্যটকদের জন্য নির্মিত শৌচাগার, নষ্ট হয়ে গেছে সুপেয় পানির জন্য নির্মাণ করা টিউবয়েলগুলো। পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য নির্মিত গোলঘরসহ সকল স্থাপনা ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে। এ অবস্থায় পর্যটকরা হতাশ হচ্ছেন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ হাজার ৬৩৪ একর জমির ওপর তালতলী উপকূলীয় টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ২০১২-১৩ অর্থবছরে সকিনা বিটের আওতায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ইকোট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ করে। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন। ওই সময় ইকোট্যুরিজমে পাঁচটি কুমির, ৯টি হরিণ, ২৮টি শূকর ও একটি মেছোবাঘ ছিল। খাবার সরবরাহে সঙ্কটের কারণে ২০১৮ সালে সংরক্ষিত এলাকা থেকে শূকর, কচ্ছপ ও মেছোবাঘ বনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরপর হরিণের বেষ্টনী থেকে চারটি হরিণও ছেড়ে দেয়া হয়। বর্তমানে ইকোপার্কের সংরক্ষিত বেষ্টনীতে দু’টি কুমির ও তিনটি হরিণ রয়েছে।
ইকো পার্কে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলছেন, বিশাল এই শ্বাসমূলীয় প্রাকৃতিক বনের সৌন্দর্য রূপ একদিনে দেখে উপভোগ করা সম্ভব নয়। তাই এখানে সরকার কোনো হোটেল মোটেল নির্মাণ করলে স্বাচ্ছন্দে উপভোগ করা যাবে।
তালতলী বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ পর্যটন কেন্দ্রে ম্যানগ্রোভ বনের সৌন্দর্য ও পাশাপাশি বনের শেষ প্রান্তে রয়েছে সুবিশাল সাগর একই সাথে উপভোগ করা যায়। বনের মধ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমরা সর্বদা চেষ্টা করি।

তালতলীতে টেংরাগিরি ইকোপার্ক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পর্যটক শূন্য

প্রকাশের সময় : ০১:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুন ২০২২
বরগুনার তালতলী উপজেলার শহর থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের এক অংশ নিয়ে বিশাল বনভূমির উপর টেংরাগিরি ইকোপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে।বনটিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য সারি সারি গাছ। ইকোপার্কের পাশেই আরেকটি আকর্ষণীয় স্থান সোনাকাটা সমুদ্রসৈকত। সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়ালে ঝিরি ঝিরি বাতাসে মন মুগ্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টেংরাগিরি ইকোপার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে।সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ইকো পার্কটি। বনের শেষ প্রান্তে অপার সৌন্দর্যের লীলা ভূমিতে গিয়ে দেখা যাবে সাগরের বিশাল ঢেউ, সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় । তবে সেখানে যাওয়ার রাস্তা ও গভীর বনে প্রবেশের রাস্তাগুলো সংস্কারের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ভেঙে গেছে রাস্তা। বনের মধ্য থেকে সমুদ্র পর্যন্ত যেতে কাঠের ব্রিজগুলোও ভেঙে গেছে। ভেঙেছে পর্যটকদের জন্য নির্মিত শৌচাগার, নষ্ট হয়ে গেছে সুপেয় পানির জন্য নির্মাণ করা টিউবয়েলগুলো। পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য নির্মিত গোলঘরসহ সকল স্থাপনা ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে। এ অবস্থায় পর্যটকরা হতাশ হচ্ছেন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ হাজার ৬৩৪ একর জমির ওপর তালতলী উপকূলীয় টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ২০১২-১৩ অর্থবছরে সকিনা বিটের আওতায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ইকোট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ করে। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন। ওই সময় ইকোট্যুরিজমে পাঁচটি কুমির, ৯টি হরিণ, ২৮টি শূকর ও একটি মেছোবাঘ ছিল। খাবার সরবরাহে সঙ্কটের কারণে ২০১৮ সালে সংরক্ষিত এলাকা থেকে শূকর, কচ্ছপ ও মেছোবাঘ বনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরপর হরিণের বেষ্টনী থেকে চারটি হরিণও ছেড়ে দেয়া হয়। বর্তমানে ইকোপার্কের সংরক্ষিত বেষ্টনীতে দু’টি কুমির ও তিনটি হরিণ রয়েছে।
ইকো পার্কে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলছেন, বিশাল এই শ্বাসমূলীয় প্রাকৃতিক বনের সৌন্দর্য রূপ একদিনে দেখে উপভোগ করা সম্ভব নয়। তাই এখানে সরকার কোনো হোটেল মোটেল নির্মাণ করলে স্বাচ্ছন্দে উপভোগ করা যাবে।
তালতলী বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ পর্যটন কেন্দ্রে ম্যানগ্রোভ বনের সৌন্দর্য ও পাশাপাশি বনের শেষ প্রান্তে রয়েছে সুবিশাল সাগর একই সাথে উপভোগ করা যায়। বনের মধ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমরা সর্বদা চেষ্টা করি।